উইঘুর ইস্যুতে চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ

উইঘুর ইস্যুতে চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর আবারও সামনে এল চীনের উইঘুর মুসলিম ইস্যু। উইঘুরসহ তিব্বত ও হংকংয়ের নাগরিকদের ওপর যে ধরনের পদক্ষেপ চীন সরকার নিচ্ছে, তা বন্ধে দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর এএফপির।

এ নিয়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশনের পরিচালক ইয়াং জিয়েচির সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমি এটি পরিষ্কার করে বলেছি যে আমাদের জাতীয় স্বার্থ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার অপব্যবহারের অভিযোগে চীনকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল শক্রবার ইয়াং জিয়েচির সঙ্গে কথা বলেন ব্লিঙ্কেন। এরপর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, শিনজিয়াং, তিব্বত, হংকং ইস্যুসহ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা এবং মানবাধিকার রক্ষায় পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। এই কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন পরিষ্কার করে বলেছেন। এ ছাড়া মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে নিন্দা জানিয়েছে, তাতে যুক্ত হওয়ার জন্যও চীনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ব্লিঙ্কেন বলেন, এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা নষ্টের ক্ষেত্রে চীন যে হুমকি সৃষ্টি করেছে, তার জন্য দেশটিকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়। কিন্তু ট্রাম্প যেসব নীতি গ্রহণ করেছেন, সেই নীতিই ধরে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। এরপরই তিনি চীনের উদ্দেশ্যে এমন কড়া বার্তা দিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *