সংখ্যালঘুদের পর প্রগতিশীলদের ওপর হামলাঃ প্রশাসন নীরব ও নিরুত্তর

সংখ্যালঘু ও প্রগতিশীল গোষ্ঠীসমূহের লাগাতার হামলার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে সম্প্রতি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি প্রেস ব্রিফিং-এ গত পাঁচ মাসে উঠে এসেছে এই হামলার কথা। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সাথে সাথে প্রগতিশীল মুক্তমনা লেখক/ব্লগার ওপরে হামলার যে হার, সেটা আশঙ্কাজনক বলে আখ্যায়িত হয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর রিপোর্টে এবং আন্তর্জাতিক সরকারী ও বেসরকারী গণমাধ্যমে। এই সমালোচনার কোনো যথার্থ জবাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিতে পারেনি আজতক এবং এই ব্যার্থতাকে বর্তমান অন্তঃবর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এইসকল আক্রমণ-হামলাকে সমর্থন দেয়া হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে বেশ কিছু সেক্যুলার ও প্রগতিশীল ধর্ম-অবিশ্বাসী ব্লগ/ওয়েবসাইট/মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লেখালেখি করা বা মন্তব্য করা লেখক/মন্তব্যকারী/ব্লগারদের বাসায় হামলার ঘটনা। বিশেষ করে এথিস্টনোট, এথিস্ট ইন বাংলাদেশ, এথিস্ট এরা এসম্ত প্ল্যাটফর্মে যারা লিখালিখি করেছেন তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে। ঢাকায়, চট্টগ্রামে, রাজশাহীতে, কুমিল্লায়, সিলেটে বিশেষ করে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে জানা গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লেখক/ব্লগারদের আক্রান্ত পরিবারেরা নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছেন এবং এইসব হামলার বিচারের জন্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের কাছে কোনো সাহায্য পাননি। অত্র এলাকাগুলোর থানায় যোগাযোগ করলে এ-ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আক্রান্ত লেখক/ব্লগারদের মধ্যে নিম্নোক্তদের সনাক্ত করে গেছে – রোমানা আক্তার রুমকি, ফাহিন আলম, মোর্শেদ আলম, আব্দুল কাদের সুমেল, শামীম আল মামুন, শিপলু কুমার বর্মণ, মোঃ জাকির হোসাইন, আবু বকর সিদ্দিক, মোঃ সাব্বির হোসাইন, মোঃ আবির হোসাইন, মনিরা পারভীন, মোঃ ফাহাদ হোসাইন, মিজানুর রহমান সহ প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলায়য়ের প্রতিক্রিয়া এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইলিয়াস আলীকে নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচার প্রকাশ পেয়েছে: নাছিম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দলটির নেতা এম ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ’ নিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের মিথ্যাচারের ভয়ংকর রূপ প্রকাশ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন।

রোববার দুপুরে করোনা মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ফ্রি টেলিহেলথ সার্ভিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বিএনপির মিথ্যাচারের থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বারবার মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে যে, সরকার ইলিয়াস আলীকে নিখোঁজ করেছে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন— গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ইলিয়াস আলীকে গুম করার পেছনে জড়িত বিএনপির ভিতরে থাকা কতিপয় নেতা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের কথায় সত্য উন্মোচিত হয়েছে।

‘এদের এতদিনের এই মিথ্যাচারের বিচার আমি দেশের মানুষের কাছে রাখতে চাই। তারা দেশ-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। এরা সবসময় মিথ্যাচার করে দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন’।

২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানীর বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ ‘নিখোঁজ’ হন সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী।

রাস্তায় পড়ে থাকা তার গাড়ি উদ্ধার করে বনানী থানার পুলিশ। এখন পর্যন্ত তার সন্ধান পায়নি পুলিশ ও পরিবার। গতকাল ছিল ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজের’ নবম বছর।

এ উপলক্ষে গতকাল সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী সংহতি সম্মেলনী–ঢাকার উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

ভার্চুয়াল সভায় একপর্যায়ে মির্জা আব্বাস বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, ইলিয়াস গুমের পেছনে আমার দলের অভ্যন্তরে লুক্কায়িত যে বদমাইসগুলো আছে, তাদেরকে একটু দয়া করে একটু আইডেন্টিফাই (শনাক্ত) করার ব্যবস্থা করেন, প্লিজ।

যদিও আজ রোববার বিকেলে আবার মির্জা আব্বাস সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, নিখোঁজ ইলিয়াস আলীকে নিয়ে গতকাল শনিবার তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন গণমাধ্যম সেই বক্তব্য বিকৃত করে ছেপেছে।

তিনি বলেন, সরকার বা আওয়ামী লীগ ইলিয়াস আলীকে গুম করেনি, একথা আমি বলিনি। গণমাধ্যমে আমার কথাকে, বক্তব্যকে টুইস্ট করা হয়েছে, বিকৃত করা হয়েছে।

যেভাবে দিন কাটাচ্ছেন করোনা আক্রান্ত খালেদা জিয়া

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।তাকে গুলশানের বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে রাজধানীর একটি হাসপাতালে আইসিইউ প্রস্তুতও রাখা হয়েছে।

বুধবার থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। বিএনপি চেয়ারপারসনের বোন সেলিমা ইসলাম জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া রমজানের প্রথম দিন ইবাদতে কাটিয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে। এইটুকু বলতে পারি যে, তার অবস্থা স্থিতিশীল, ভালো ইমপ্রুভ করছে। আপনারা উনার জন্য দোয়া করবেন।

সেলিমা ইসলাম বলেন, রমজান মাস বুঝতেই পারেন। এখন কোরআন তেলওয়াত, তাসবিহ তাহরিমা, দোয়া দরুদ, নামাজ পড়ে সময় কাটছে তার। টেলিফোনে আমরা কথা-বার্তা বলছি নিয়মিত।

ছোট ভাই শামীম এস্কেন্দারের বাসা থেকে খালেদার জন্য ইফতার পাঠানোর কথাও তিনি জানান।

এদিকে খালেদা জিয়ার রক্তে কোনো ঝুঁকি আছে কি না, জানার জন্য বায়োকেমিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। রক্তের বায়োকেমিক্যাল স্যাম্পলের রিপোর্টে কোনো ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ডা. আল মামুন।

এর আগে বুধবার দুপুরে ডা. আল মামুন জানান, এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে রাতে জরুরি মেডিকেল বোর্ড আহ্বান করা হয়েছে।

খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে গিয়েছিলেন। গত বছরের মার্চে সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।এর পর থেকে তিনি গুলশানের বাসায় রয়েছেন।

নিউইয়র্ক স্টেট ও সিটি যুবলীগের অনুষ্ঠানে ব্যাপক হট্টগোল

নিউইয়র্ক স্টেট যুবলীগ ও নিউইয়র্ক সিটি যুবলীগের যৌথ উদ্যোগে নিউইয়র্কের ওজোন পার্কে একটি রেস্টুরেন্টে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে থাকে । সেখানে প্রধান অতিথির আসন নিয়ে কেন্দ্র করে ব্যাপক হট্টগোল, হাতাহাতি-মারামারি বাঁধার উপক্রম হয় । নিউইয়র্ক স্টেট যুবলীগের আহবায়ক মহি উদ্দীন চৌধুরী ও যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ হোসেন চেয়েছিলেন প্রধান অতিথি করতে চেয়েছিলেন আব্দুল হাসিব আল মামুন যিনি সাংগঠনিক সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের অপর পক্ষ নিউইয়র্ক সিটি যুবলীগর আহবায়ক রেজাউল আলম অপু ও যুগ্ম আহবায়ক জুনেদ আহমেদ চেয়েছিলেন মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম কে প্রধান অতিথি করতে যিনি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের। এসব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি, মারামারি বাধার উপক্রম হয়েছিল । সে অনুষ্ঠানের মোট অতিথির সংখ্যা ছিল আনুমানিক ১৫ জনের বেশি না । যুবলীগ করে সে ১৫ জনের মধ্য মাত্র ৫ জন হাতেগোনা পদধারী মাত্র ।অথচ তাদের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি করার কথা ছিল গঠন তন্ত্র অনুযায়ী সে সংগঠনের প্রধানের যিনি জানাব তারিকুল হায়দার চৌধুরী যিনি আহবায়ক যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহবায়ক আর প্রধান বক্তা হবার কথা ছিল যুগ্ম আহবায়ক জনাব বাহার খন্দকার সবুজ কে তারা সেটি না করে সিটি যুবলীগ ও স্টেট যুবলীগ করেছেন উনাদের মনগরা অন্যদেরকে যা কিনা একটি সংগঠনের নিয়মনীতি বিরোধী। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহবায়ক জনাব তারিকুল হায়দার চৌধুরীরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি অবগত নই এবং সিটি ও স্টেট যুবলীগ দীর্ঘদিন ধরে অসহযোগীতা করে আসছে আমাদের এমনকি সাংগঠনিক ভাবে পুরোপুরি নিষ্ক্রীয় । তারা আওয়ামীলীগের গ্রুপিংয়ে জরিয়ে যায় নিজেরা যার ফলশ্রুতিতে দুটি কমিটিই গতিহীন । দুটিকমিটিকে তিন বছর ধরে বলার পরেও সম্মেলনের আয়োজন করতে পারে নি তাদের নিষ্ক্রিয়তার ও কোন্দলের কারণে। এবং যুগ্ম আহবায়ক জানাব বাহার খন্দকার সবুজের সাথে যোগাযোগ করতে পারে নি কারণ উনার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় ।1

হাসিনা-মোদির বৈঠকে কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন, ৫ সমঝোতা সই

বাংলাদেশে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

শনিবার বিকাল ৫টার পর মোদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।

দুই সরকারপ্রধান প্রথমে কিছু সময় একান্তে বৈঠক করেন। পরে তাদের নেতৃত্বে শুরু হয় দুই দেশের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, যা চলে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত।

বৈঠকে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি ‘মিতালী’ এক্সপ্রেস ট্রেনসহ কয়েকটি প্রকল্প ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করা হয়েছে।এছাড়া দুই দেশের মধ্যে ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন গত বুধবার বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবেন, যেগুলো আলোচনা হয়েছে এবং মোটামুটি একটা ঠিক হয়েছে, ওইগুলো যাতে বলবৎ থাকে, বাস্তবায়নে অসুবিধা না হয়, সেজন্য হয়ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরতে পারেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ (২৭ মার্চ) রাতে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার সকালে মোদি ঢাকায় আসেন।

স্বাধীনতা আজ চোর ও দুর্নীতিবাজদের

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, যারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছি তাদের কোনো স্বাধীনতা নেই। আজ স্বাধীনতা আছে ভোট চোর, ঘুসখোর, চোর-বাটপার, বিদেশে টাকা পাচারকারী ও দুর্নীতিবাজদের।

বুধবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে আরও অংশ নেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

গয়েশ্বর বলেন, আমাদের নেতা শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। আমাদের নেতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। স্বাধীনতার ঘোষকের দল বিএনপি। দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতার স্বাদ এখনো আমরা পাইনি। আজ এই অনুষ্ঠান থেকে শপথ হোক স্বাধীন দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব।

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বৃদ্ধির কারণে বিএনপির সব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার মধ্যে আমরা একে অপরের জন্য দোয়া করব, যাতে সবাই সুস্থ থাকতে পারি। আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব, জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উৎসাহিত করব। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরলে দেশে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব। আমাদের গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনার পরিবেশ সৃষ্টি করব।

দোয়া-মাহফিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমান, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ অসুস্থ নেতাকর্মীদের আরোগ্য লাভের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

নোয়াগাঁও গ্রামে নির্যাতিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশে বিএনপি

সুনামগঞ্জে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত পারিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে শনিবার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর পরিদর্শন করেন।

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী। তাদের সঙ্গে যুক্ত হন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলামসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী।

দুপুরে সেখানে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলার পর প্রতিনিধি দলের নেতা নিতাই রায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে যে হামলা ও লুটপাট হয়েছে তার সঙ্গেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা জড়িত। নাসিরনগর, রামুসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর-মন্দিরসহ উপসানালয়ে হামলা হয়েছিল-এসব প্রতিটি ঘটনার সঙ্গেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জড়িত ছিল। কিন্তু তারা নিজেরা দোষ করলেও বিচার না করে বারবার অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছে।

‘কারণ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন, একটি দুর্বল সরকার। এরা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।’

তিনি আরও বলেন, এই নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে যে হামলা, লুটপাট হয়েছে এ ঘটনায় দেশে ও দেশের বাইরেও ব্যাপক প্রতিবাদ হচ্ছে। আমরা এ ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।

অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, এখানে শুধু বাড়িঘরে হামলাই নয়; নারী ও শিশুদের ওপরও নির্যাতন হয়েছে। নির্যাতিত মানুষদের বুকফাটা কান্না আমরা শুনতে পেয়েছি। হামলার সময় বাথরুমে পালিয়ে থাকা নারী ও শিশুদের বের করে নির্যাতন করা হয়েছে। এখানকার প্রশাসন ঘটনা ঘটার আগে জানার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আপনারা দেখবেন প্রশাসন আছে শুধুমাত্র বিরোধী মত ও বিএনপিকে দমান করার কাজে। নোয়াগাঁও গ্রামের সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট, নারী ও শিশু নির্যাতনের এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমরা এই নির্যাতিত পারিবারের পাশে আছি এবং থাকব।

তিনি আরও বলেন, দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ করতেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি এবং থাকব। আমরা মনে করি, যারা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম হামলা চালাচ্ছে, তারা মানবজাতির শত্রু।

পরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

মওদুদের লাশ দেশে আসছে আজ দাফন কাল

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের লাশ সিঙ্গাপুর থেকে আজ দেশে আসছে।

বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে এসে পৌঁছাবে। হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ ও নয়াপল্টনে শুক্রবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জানাজা হবে।

পরে মওদুদ আহমদের কফিন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ আসর আরেক দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে তার লাশ দাফন করা হবে।

এদিকে তার মৃত্যুতে আজ সারা দেশে শোক পালন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। মওদুদ আহমদের একান্ত সহকারী মোমিনুর রহমান সুজন বলেন, বৃহস্পতিবার (আজ) সন্ধ্যায় স্যারের (মওদুদ আহমদ) লাশ দেশে পৌঁছাবে। বিমানবন্দর থেকে লাশ নিয়ে যাওয়া হবে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে। শুক্রবার সকালে ঢাকার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ও বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুদফা জানাজা হবে।

সুজন বলেন, স্পিকারের অনুমতি সাপেক্ষে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আরেক দফা জানাজা হতে পারে সাবেক এ সংসদ সদস্যের। নয়াপল্টনে জানাজা শেষে অ্যাম্বুলেন্সে মওদুদ আহমদের কফিন নিয়ে যাওয়া হবে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে। সেখানে বাদ আসর কোম্পানীগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা হবে। এরপর নিজের বাড়ির আঙিনায় আরেক দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে মওদুদ আহমদের লাশ দাফন করা হবে।

নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বুধবার সকাল থেকে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা কোম্পানীগঞ্জের ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বাড়িতে ছুটে আসেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু বলেন, শুক্রবার বিকালে মওদুদ আহমেদের বাসভবন হোয়াইট হাউজের সামনে জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কফিন রাখা হবে। এদিকে মওদুদ আহমেদের লাশ নোয়াখালী নিয়ে এলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন অবনতি না ঘটে সে ব্যাপারে পুলিশ সার্বক্ষণিক সতর্ক প্রস্তুত থাকবেন বলে পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন।

সারা দেশে বিএনপির শোক আজ : ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে একদিনের শোক ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঢাকাসহ সারা দেশে আজ শোক দিবস পালন করবে দলটি। বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে এ শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এ উপলক্ষ্যে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

এদিকে মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে আরও শোক প্রকাশ করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, লেবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম এবং এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি বদরুদ্দোজা সুজা, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, নির্বাহী সভাপতি আবদুল আজিজ হাওলাদার, এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রমিশন কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসরুল্লাহ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম।

যে পোস্ট সরিয়ে নিয়ে আবার ফেসবুকে দিলেন কাদের মির্জা

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার একটি পোস্ট ভাইরাল (ছড়িয়ে পড়া) হয়েছে। প্রথমে শনিবার বিকেল চারটার দিকে কাদের মির্জা তাঁর নিজের ফেসবুকে ওই পোস্ট দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিচে নানা মন্তব্য আসতে থাকলে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। অবশ্য রাত আটটার দিকে পোস্টটি আবারও কাদের মির্জার ফেসবুকে দেখা যায়।

ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়, ‘ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন/ যদিও পৃথক হয় নারীর কারণ। আবদুল কাদের মির্জা, মেয়র, বসুরহাট পৌরসভা।’ কাদের মির্জা তাঁর পোস্টটির সঙ্গে দুটি ছবিও দেন। একটিতে ওবায়দুল কাদের ও কাদের মির্জাকে কোলাকুলি করতে দেখা যায়। অন্যটিতে কাদের মির্জার পাশে রয়েছেন তাঁর বড় দুই ভাই ওবায়দুল কাদের ও ফজলুল কাদের ওরফে মিন্টু এবং ছোট ভাই শাহদাত হোসেন। এই ছবির পেছনে দাঁড়িয়ে ফজলুল কাদেরের ছেলে ফজলুল করিম ওরফে তমাল।

বিকেল চারটার দিকে পোস্টটি দিতেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। পোস্টটির নিচে নানা মন্তব্য আসতে থাকলে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সেটি সরিয়ে ফেলা হয়। ততক্ষণে পোস্টটিতে দু শর বেশি মন্তব্য পড়ে। পোস্টটি শেয়ার করা হয় প্রায় ২০০ বার। পরে রাত আটটার দিকে কাদের মির্জার ফেসবুকে পুনরায় পোস্টটি দেখা যায়।

রাত পৌনে ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মন্তব্য পড়েছে ৯০৯টি। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে ৩৮৩ বার। এতে ‘লাইক’সহ বিভিন্ন ‘রি-অ্যাকশন’ আছে ৭ হাজার ২০০ জনের।
পোস্টের নিচে সাব্বির পাটোয়ারী নামের একজন লিখেছেন, ‘খুব শীঘ্রই এই একই ফ্রেমে আবারও দেখা যাবে নোয়াখালীর গর্বিত পরিবারের এই চার ভাইকে।’ এমডি খান আজম নামের একজন লিখেছেন, ‘জাতি দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে কোদাইল মশাই বুকেই টানে।’ নাভিব চৌধুরী লিখেছেন, ‘অভিনয়ের জন্য অস্কার পাবেন আপনি! গ্রেপ্তারের ভয়ে এখন ওবায়দুল কাদের আপনার ভাই।’ তানভির আহমেদ শাকিন লিখেছেন, ‘দুইটা লাশের পরনি এই কথা।’

কাদের মির্জা পোস্টে নারীর প্রসঙ্গ টানলেও এর মাধ্যমে তিনি কাকে বুঝিয়েছেন, তা জানা যায়নি। গতকাল বিকেলে এবং সন্ধ্যায় একাধিকবার তাঁর মুঠোফোন নম্বরে ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। অবশ্য স্থানীয় লোকজন বলছেন, কাদের মির্জা সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বক্তব্যে তাঁর ভাবিকে (সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীকে) সমালোচনা করেছেন।

‘দেশের উন্নয়নের জন্য ভিক্ষুকরা আর চাল নেয় না’

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য ভিক্ষুকরা আর চাল নেয় না। তাদের ২-৫ টাকা দিলে তাকিয়ে থাকে; ২০ টাকা দিলে সন্তুষ্ট হয়।

বুধবার দুপুরে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে কালাই সরকারি মহিলা কলেজ চত্বরে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ব সংবাদ হই তখন, যখন কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন- পৃথিবীর তিনজন কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তিনজন নারীনেত্রী; যারা এ করোনার মধ্যে পৃথিবীকে পথ দেখিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বদলে গেছে। জাতিসংঘের  সুপারিশে বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। উন্নয়নে এ দেশ এখন ভারত ও পাকিস্তানকে ছেড়ে গেছে। আমাদের দেশের উন্নয়ন ভারত ও পাকিস্তানের চোখে পড়ে, বহির্বিশ্বের নজরে পড়ে; কিন্তু বিএনপির চোখে পড়ে না। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম, ড. মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র, রিজভী আহমেদসহ অনেকের চোখে পড়ে না।

জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের মণ্ডলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।