নেত্রকোনায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২

নেত্রকোনায় প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেলে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চল্লিশা ঝাউসী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত পুলিশ সদস্য হলেন- জেলার বারহাট্রা উপজেলার ফকিরের বাজার তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল আজিজুল হাকিম। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুরে। এছাড়া নিহত অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের মধ্যে সঞ্জিত বর্মণ (৫৮) কে সনাক্ত করা গেছে। তার বাড়ি শাহাপাড়ার নাগ্রা।

নেত্রকোনা মডেল থানার এসআই মশিউল জানান, নেত্রকোনাগামী প্রাইভেটকারের সঙ্গে ময়মনসিংহগামী যাত্রীবোঝাই অটোরিকশার সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত ও ছয়জন আহত হন। নিহতরা অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। পরে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে সঞ্জিত বর্মণসহ তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সংখ্যালঘুদের পর প্রগতিশীলদের ওপর হামলাঃ প্রশাসন নীরব ও নিরুত্তর

সংখ্যালঘু ও প্রগতিশীল গোষ্ঠীসমূহের লাগাতার হামলার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে সম্প্রতি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি প্রেস ব্রিফিং-এ গত পাঁচ মাসে উঠে এসেছে এই হামলার কথা। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সাথে সাথে প্রগতিশীল মুক্তমনা লেখক/ব্লগার ওপরে হামলার যে হার, সেটা আশঙ্কাজনক বলে আখ্যায়িত হয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর রিপোর্টে এবং আন্তর্জাতিক সরকারী ও বেসরকারী গণমাধ্যমে। এই সমালোচনার কোনো যথার্থ জবাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিতে পারেনি আজতক এবং এই ব্যার্থতাকে বর্তমান অন্তঃবর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এইসকল আক্রমণ-হামলাকে সমর্থন দেয়া হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে বেশ কিছু সেক্যুলার ও প্রগতিশীল ধর্ম-অবিশ্বাসী ব্লগ/ওয়েবসাইট/মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লেখালেখি করা বা মন্তব্য করা লেখক/মন্তব্যকারী/ব্লগারদের বাসায় হামলার ঘটনা। বিশেষ করে এথিস্টনোট, এথিস্ট ইন বাংলাদেশ, এথিস্ট এরা এসম্ত প্ল্যাটফর্মে যারা লিখালিখি করেছেন তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে। ঢাকায়, চট্টগ্রামে, রাজশাহীতে, কুমিল্লায়, সিলেটে বিশেষ করে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে জানা গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লেখক/ব্লগারদের আক্রান্ত পরিবারেরা নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছেন এবং এইসব হামলার বিচারের জন্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের কাছে কোনো সাহায্য পাননি। অত্র এলাকাগুলোর থানায় যোগাযোগ করলে এ-ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আক্রান্ত লেখক/ব্লগারদের মধ্যে নিম্নোক্তদের সনাক্ত করে গেছে – রোমানা আক্তার রুমকি, ফাহিন আলম, মোর্শেদ আলম, আব্দুল কাদের সুমেল, শামীম আল মামুন, শিপলু কুমার বর্মণ, মোঃ জাকির হোসাইন, আবু বকর সিদ্দিক, মোঃ সাব্বির হোসাইন, মোঃ আবির হোসাইন, মনিরা পারভীন, মোঃ ফাহাদ হোসাইন, মিজানুর রহমান সহ প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলায়য়ের প্রতিক্রিয়া এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বামীকে বাঁচাতে স্ত্রীর প্রাণপণ চেষ্টার যে দৃশ্যে হৃদয় কাঁপে

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের তাণ্ডবলীলায় লণ্ডভণ্ড ভারত। হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না অনেক করোনা রোগীর।

রাস্তায় রাস্তায় উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরছেন অনেকে। কেউ কেউ দম ফেলে অসাড় হয়ে পড়ে আছেন লাশ হয়ে ফুটপাতে, অটোরিকশায়, হাসপাতালের করিডোরে।

হাসপাতালে অক্সিজেন আর ওষুধের অভাবের তীব্রতা চরমে। স্থানীয় দোকানগুলোতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের খোঁজ করতে করতে রোগীর স্বজনরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ছয় হাজার টাকার সিলিন্ডারের দাম আকাশচুম্বী। অনেকে ৫০ হাজার টাকায় রাজি হয়েও হাতে পাচ্ছেন না।

মূলত অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। মরদেহের চিতা জ্বলার আগুনেধোঁয়াচ্ছন্ন ভারতের আকাশ।

আর এসব করুণ দৃশ্য ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেখছে গোটা বিশ্ব।

এদের মধ্যে অনেক ছবি ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই নিজেদের টাইমলাইনে শেয়ার করে ভারতের নাগরিকদের জন্য প্রার্থনা করছেন। করোনার ভয়াবহতা বুঝিয়ে সতর্ক থাকতে বলছেন।

এসব করুণ দৃশ্যের মধ্যে রোববার থেকে ভাইরাল একটি ছবি, যা গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। এ ছবি দেখে পাষাণ হৃদয়ের মানুষের চোখেও গড়গড় করে জল গড়িয়ে পড়বে।

ছবিতে দেখা গেছে, করোনাক্রান্ত এক ব্যক্তিকে বাঁচাতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিলেন এক নারী। অটোরিকশায় করে হাসাপাতালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তারা। ওই নারীর হাতে পানির বোতল ও অন্যহাতে মোবাইল ফোন। এ সময় ব্যক্তিটির শ্বাস বন্ধ হওয়া উপক্রম। তাকে বাঁচাতে নিজের মুখ দিয়ে ওই নারী অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রাণপণে।

বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ, ছবিটি ভারতর উত্তর প্রদেশ রাজ্যর আগরায় তোলা। করোনায় আক্রান্ত স্বামী রবি সিংঘালকে বাঁচাতে এভাবে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তার সহধর্মিণী রেনু সিংঘাল। উত্তরপ্রদেশের আগরার আভাস বিকাশ সেক্টর ৭ এর বাসিন্দা এই দম্পতি। তার স্বামীর হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তিনি তাকে স্বরোজিনি নাইরু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের (এসএনএমসি) উদ্দেশ্যে নিয়ে যেতে থাকেস। কিন্তু পথিমধ্যে রবি সিংঘালের দম বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে নিজেই মুখ দিয়ে অক্সিজেন দেওয়া চেষ্টা করতে থাকেন রেনু।

নিজের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও স্বামীকে বাঁচাতে সে কথা ভুলে যান রেনু। চোখের সামনে স্বামীর দম বন্ধ হয়ে মারা যাচ্ছেন, তা সহ্য করতে পারছিলেন না রেনু।

জানা গেছে, এমন ঝুঁকি নিয়েও শেষমেষ আর স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি রেনু। আগ্রার একটি হাসপাতালের বাইরে অটোর মধ্যেই রবি সিংঘালের মৃত্যু হয়।

হাসিনা-মোদির বৈঠকে কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন, ৫ সমঝোতা সই

বাংলাদেশে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

শনিবার বিকাল ৫টার পর মোদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।

দুই সরকারপ্রধান প্রথমে কিছু সময় একান্তে বৈঠক করেন। পরে তাদের নেতৃত্বে শুরু হয় দুই দেশের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, যা চলে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত।

বৈঠকে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি ‘মিতালী’ এক্সপ্রেস ট্রেনসহ কয়েকটি প্রকল্প ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করা হয়েছে।এছাড়া দুই দেশের মধ্যে ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন গত বুধবার বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবেন, যেগুলো আলোচনা হয়েছে এবং মোটামুটি একটা ঠিক হয়েছে, ওইগুলো যাতে বলবৎ থাকে, বাস্তবায়নে অসুবিধা না হয়, সেজন্য হয়ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরতে পারেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ (২৭ মার্চ) রাতে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার সকালে মোদি ঢাকায় আসেন।

সুন্দরবনে মৃত বাঘ উদ্ধার

বাগেরহাটের পূর্বসুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদীর পাশে ধনচেবাড়িয়াচর থেকে একটি মৃত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।

শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে বনজীবিরা ধনচেবাড়িয়ার চরে ওই মৃত বাঘ দেখতে পেয়ে বনবিভাগকে খবর দেয়। মৃত এই মাদী বাঘটি লম্বায় ৭ ফুট ও আনুমানিক বয়স ১৫ বছর।

শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নুল আবেদীন বনরক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাঘের মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে।

বাগেরহাট পূর্বসুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয়  বন কর্মকতা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মৃত বাঘটির শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ নেই। শরীরের কোন অঙ্গ পতঙ্গও কেটে নেয়নি। ধারণা করা হচ্ছে ১৫ বছর বয়সী এই মাদী বাঘটি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যেয়ে থাকতে পারে। মৃত বাঘটিকে রাতেই শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে।

শনিবার সকালে এই বাঘটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করে ভিসেরা ঢাকায় পাঠানো হবে।

এর আগে গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি শরণখোলা রেঞ্জের ছাফড়াখালী এলাকা থেকে একটি বাঘিনীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত ও বাঘটির পেছনের একটি অংশ কুমিরে খাওয়া অবস্থায় সেটিকে বন বিভাগ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা দিয়েছিল।

কারাগার-পালানো সেই রুবেল রিমান্ডে

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় গ্রেফতার হাজতি ফরহাদ হোসেন রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে জানান, রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদে ১১ মার্চ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার এসআই আয়ুব আলী। রুবেল অসুস্থ থাকায় ওই সময় শুনানি হয়নি। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

রুবেল কারাগারের পঞ্চমতলার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে থাকত। ৬ মার্চ ভোরে সে চারতলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। ওই দিন বিকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। রাতে তিনি মামলা করেন। ৯ মার্চ নরসিংদীর আদিয়াবাদ শেরপুর এলাকায় ফুফুর বাসা থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

রুবেল একটি হত্যা মামলার আসামি। ৫ ফেব্রুয়ারি সদরঘাট থানাধীন এসআরবি রেলবিট এলাকায় আবুল কালাম কালু নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে রুবেল। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ রুবেলকে গ্রেফতার করে।

বঙ্গবন্ধুর কাজ সমাপ্ত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। বাণীতে তিনি দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব শিশুদের কল্যাণে বর্তমানকে উৎসর্গ করার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের শিশুরা আগামীর বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠুক, মেধা ও প্রজ্ঞায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করুক, আন্তর্জাতিকভাবে গৌরব বয়ে আনুক প্রিয় মাতৃভূমির জন্য- এটাই আমরা চাই।’

জাতির পিতার জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে তিনি সব শিশু, দেশের সব নাগরিক এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘এবারের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর হৃদয় হোক রঙিন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন ও সুরক্ষার বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে জাতীয় শিশু নীতি-২০১১, শিশু আইন-২০১৩, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ প্রণয়ন করেছে। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উদযাপন, সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর বিকাশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান করা হচ্ছে। প্রায় শতভাগ শিশু স্কুলে যাচ্ছে। আমরা শিশুদের জন্য জাতির পিতার জীবন ও কর্মভিত্তিক বই প্রকাশ এবং পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংযোজন করেছি। সব শিশুর সমঅধিকার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে পিতা-মাতা, পরিবার ও সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। শিশুর প্রতি সহিংস আচরণ এবং সব ধরনের নির্যাতন বন্ধ করার জন্য সবাইর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

ভাল্লুকের আক্রমণে আহত উপজাতি, সেনা ও বিমানবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে হেলিকপ্টারে হাসপাতালে

ঝিরি থেকে পানি আনতে গিয়ে বন্য ভাল্লুকের আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছেন বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ী এলাকার এক উপজাতি। সমথং কারবারিপাড়া গ্রামের ওই উপজাতির নাম ট্রয়েল মুরং (৬৬)। তার পিতার নাম রেন হেং মুরং।

রোববার তাকে সেনা ও বিমানবাহিনীর সহায়তায় উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এসব তথ্য জানায়।

আইএসপিআরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ী এলাকার সমথং কারবারি পাড়া গ্রামের উপজাতি ট্রয়েল মুরং সকালে ঝিরি থেকে পানি আনতে গেলে বন্য ভাল্লুক তাকে আক্রমণ করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বলিয়ারপাড়া আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে আসে। পরে তাকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বেল-২১২ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বান্দরবান হতে চট্টগ্রামে আনা হয়।

উল্লেখ্য, জাতীয় যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী সর্বদা বেসামরিক প্রশাসনকে জরুরি বিমান পরিবহন এবং মেডিকেল ইকোয়েশন (MEDEVAC) সহায়তা প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বেল-২১২ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উপজাতি ট্রয়েল মুরংকে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য জরুরি ভিত্তিতে বান্দরবান হতে চট্টগ্রাম আনা হয়।

যে পোস্ট সরিয়ে নিয়ে আবার ফেসবুকে দিলেন কাদের মির্জা

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার একটি পোস্ট ভাইরাল (ছড়িয়ে পড়া) হয়েছে। প্রথমে শনিবার বিকেল চারটার দিকে কাদের মির্জা তাঁর নিজের ফেসবুকে ওই পোস্ট দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিচে নানা মন্তব্য আসতে থাকলে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। অবশ্য রাত আটটার দিকে পোস্টটি আবারও কাদের মির্জার ফেসবুকে দেখা যায়।

ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়, ‘ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন/ যদিও পৃথক হয় নারীর কারণ। আবদুল কাদের মির্জা, মেয়র, বসুরহাট পৌরসভা।’ কাদের মির্জা তাঁর পোস্টটির সঙ্গে দুটি ছবিও দেন। একটিতে ওবায়দুল কাদের ও কাদের মির্জাকে কোলাকুলি করতে দেখা যায়। অন্যটিতে কাদের মির্জার পাশে রয়েছেন তাঁর বড় দুই ভাই ওবায়দুল কাদের ও ফজলুল কাদের ওরফে মিন্টু এবং ছোট ভাই শাহদাত হোসেন। এই ছবির পেছনে দাঁড়িয়ে ফজলুল কাদেরের ছেলে ফজলুল করিম ওরফে তমাল।

বিকেল চারটার দিকে পোস্টটি দিতেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। পোস্টটির নিচে নানা মন্তব্য আসতে থাকলে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সেটি সরিয়ে ফেলা হয়। ততক্ষণে পোস্টটিতে দু শর বেশি মন্তব্য পড়ে। পোস্টটি শেয়ার করা হয় প্রায় ২০০ বার। পরে রাত আটটার দিকে কাদের মির্জার ফেসবুকে পুনরায় পোস্টটি দেখা যায়।

রাত পৌনে ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মন্তব্য পড়েছে ৯০৯টি। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে ৩৮৩ বার। এতে ‘লাইক’সহ বিভিন্ন ‘রি-অ্যাকশন’ আছে ৭ হাজার ২০০ জনের।
পোস্টের নিচে সাব্বির পাটোয়ারী নামের একজন লিখেছেন, ‘খুব শীঘ্রই এই একই ফ্রেমে আবারও দেখা যাবে নোয়াখালীর গর্বিত পরিবারের এই চার ভাইকে।’ এমডি খান আজম নামের একজন লিখেছেন, ‘জাতি দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে কোদাইল মশাই বুকেই টানে।’ নাভিব চৌধুরী লিখেছেন, ‘অভিনয়ের জন্য অস্কার পাবেন আপনি! গ্রেপ্তারের ভয়ে এখন ওবায়দুল কাদের আপনার ভাই।’ তানভির আহমেদ শাকিন লিখেছেন, ‘দুইটা লাশের পরনি এই কথা।’

কাদের মির্জা পোস্টে নারীর প্রসঙ্গ টানলেও এর মাধ্যমে তিনি কাকে বুঝিয়েছেন, তা জানা যায়নি। গতকাল বিকেলে এবং সন্ধ্যায় একাধিকবার তাঁর মুঠোফোন নম্বরে ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। অবশ্য স্থানীয় লোকজন বলছেন, কাদের মির্জা সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বক্তব্যে তাঁর ভাবিকে (সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীকে) সমালোচনা করেছেন।

৬ বিভাগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

ওয়েব ডেস্ক

 

আপডেট
১১-০৩-২০২১, ০৮:২৫

৬ বিভাগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

৬ বিভাগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস
ছয় বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। 

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, বুধবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এ বৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলা এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, আগামী দুই দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তার পরের পাঁচ দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।