নেত্রকোনায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২

নেত্রকোনায় প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেলে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চল্লিশা ঝাউসী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত পুলিশ সদস্য হলেন- জেলার বারহাট্রা উপজেলার ফকিরের বাজার তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল আজিজুল হাকিম। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুরে। এছাড়া নিহত অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের মধ্যে সঞ্জিত বর্মণ (৫৮) কে সনাক্ত করা গেছে। তার বাড়ি শাহাপাড়ার নাগ্রা।

নেত্রকোনা মডেল থানার এসআই মশিউল জানান, নেত্রকোনাগামী প্রাইভেটকারের সঙ্গে ময়মনসিংহগামী যাত্রীবোঝাই অটোরিকশার সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত ও ছয়জন আহত হন। নিহতরা অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। পরে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে সঞ্জিত বর্মণসহ তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সংখ্যালঘুদের পর প্রগতিশীলদের ওপর হামলাঃ প্রশাসন নীরব ও নিরুত্তর

সংখ্যালঘু ও প্রগতিশীল গোষ্ঠীসমূহের লাগাতার হামলার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে সম্প্রতি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি প্রেস ব্রিফিং-এ গত পাঁচ মাসে উঠে এসেছে এই হামলার কথা। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সাথে সাথে প্রগতিশীল মুক্তমনা লেখক/ব্লগার ওপরে হামলার যে হার, সেটা আশঙ্কাজনক বলে আখ্যায়িত হয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর রিপোর্টে এবং আন্তর্জাতিক সরকারী ও বেসরকারী গণমাধ্যমে। এই সমালোচনার কোনো যথার্থ জবাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিতে পারেনি আজতক এবং এই ব্যার্থতাকে বর্তমান অন্তঃবর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এইসকল আক্রমণ-হামলাকে সমর্থন দেয়া হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে বেশ কিছু সেক্যুলার ও প্রগতিশীল ধর্ম-অবিশ্বাসী ব্লগ/ওয়েবসাইট/মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লেখালেখি করা বা মন্তব্য করা লেখক/মন্তব্যকারী/ব্লগারদের বাসায় হামলার ঘটনা। বিশেষ করে এথিস্টনোট, এথিস্ট ইন বাংলাদেশ, এথিস্ট এরা এসম্ত প্ল্যাটফর্মে যারা লিখালিখি করেছেন তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে। ঢাকায়, চট্টগ্রামে, রাজশাহীতে, কুমিল্লায়, সিলেটে বিশেষ করে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে জানা গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লেখক/ব্লগারদের আক্রান্ত পরিবারেরা নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছেন এবং এইসব হামলার বিচারের জন্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের কাছে কোনো সাহায্য পাননি। অত্র এলাকাগুলোর থানায় যোগাযোগ করলে এ-ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আক্রান্ত লেখক/ব্লগারদের মধ্যে নিম্নোক্তদের সনাক্ত করে গেছে – রোমানা আক্তার রুমকি, ফাহিন আলম, মোর্শেদ আলম, আব্দুল কাদের সুমেল, শামীম আল মামুন, শিপলু কুমার বর্মণ, মোঃ জাকির হোসাইন, আবু বকর সিদ্দিক, মোঃ সাব্বির হোসাইন, মোঃ আবির হোসাইন, মনিরা পারভীন, মোঃ ফাহাদ হোসাইন, মিজানুর রহমান সহ প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলায়য়ের প্রতিক্রিয়া এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বামীকে বাঁচাতে স্ত্রীর প্রাণপণ চেষ্টার যে দৃশ্যে হৃদয় কাঁপে

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের তাণ্ডবলীলায় লণ্ডভণ্ড ভারত। হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না অনেক করোনা রোগীর।

রাস্তায় রাস্তায় উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরছেন অনেকে। কেউ কেউ দম ফেলে অসাড় হয়ে পড়ে আছেন লাশ হয়ে ফুটপাতে, অটোরিকশায়, হাসপাতালের করিডোরে।

হাসপাতালে অক্সিজেন আর ওষুধের অভাবের তীব্রতা চরমে। স্থানীয় দোকানগুলোতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের খোঁজ করতে করতে রোগীর স্বজনরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ছয় হাজার টাকার সিলিন্ডারের দাম আকাশচুম্বী। অনেকে ৫০ হাজার টাকায় রাজি হয়েও হাতে পাচ্ছেন না।

মূলত অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। মরদেহের চিতা জ্বলার আগুনেধোঁয়াচ্ছন্ন ভারতের আকাশ।

আর এসব করুণ দৃশ্য ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেখছে গোটা বিশ্ব।

এদের মধ্যে অনেক ছবি ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই নিজেদের টাইমলাইনে শেয়ার করে ভারতের নাগরিকদের জন্য প্রার্থনা করছেন। করোনার ভয়াবহতা বুঝিয়ে সতর্ক থাকতে বলছেন।

এসব করুণ দৃশ্যের মধ্যে রোববার থেকে ভাইরাল একটি ছবি, যা গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। এ ছবি দেখে পাষাণ হৃদয়ের মানুষের চোখেও গড়গড় করে জল গড়িয়ে পড়বে।

ছবিতে দেখা গেছে, করোনাক্রান্ত এক ব্যক্তিকে বাঁচাতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিলেন এক নারী। অটোরিকশায় করে হাসাপাতালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তারা। ওই নারীর হাতে পানির বোতল ও অন্যহাতে মোবাইল ফোন। এ সময় ব্যক্তিটির শ্বাস বন্ধ হওয়া উপক্রম। তাকে বাঁচাতে নিজের মুখ দিয়ে ওই নারী অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রাণপণে।

বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ, ছবিটি ভারতর উত্তর প্রদেশ রাজ্যর আগরায় তোলা। করোনায় আক্রান্ত স্বামী রবি সিংঘালকে বাঁচাতে এভাবে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তার সহধর্মিণী রেনু সিংঘাল। উত্তরপ্রদেশের আগরার আভাস বিকাশ সেক্টর ৭ এর বাসিন্দা এই দম্পতি। তার স্বামীর হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তিনি তাকে স্বরোজিনি নাইরু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের (এসএনএমসি) উদ্দেশ্যে নিয়ে যেতে থাকেস। কিন্তু পথিমধ্যে রবি সিংঘালের দম বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে নিজেই মুখ দিয়ে অক্সিজেন দেওয়া চেষ্টা করতে থাকেন রেনু।

নিজের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও স্বামীকে বাঁচাতে সে কথা ভুলে যান রেনু। চোখের সামনে স্বামীর দম বন্ধ হয়ে মারা যাচ্ছেন, তা সহ্য করতে পারছিলেন না রেনু।

জানা গেছে, এমন ঝুঁকি নিয়েও শেষমেষ আর স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি রেনু। আগ্রার একটি হাসপাতালের বাইরে অটোর মধ্যেই রবি সিংঘালের মৃত্যু হয়।

ইলিয়াস আলীকে নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচার প্রকাশ পেয়েছে: নাছিম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দলটির নেতা এম ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ’ নিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের মিথ্যাচারের ভয়ংকর রূপ প্রকাশ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন।

রোববার দুপুরে করোনা মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ফ্রি টেলিহেলথ সার্ভিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বিএনপির মিথ্যাচারের থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বারবার মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে যে, সরকার ইলিয়াস আলীকে নিখোঁজ করেছে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন— গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ইলিয়াস আলীকে গুম করার পেছনে জড়িত বিএনপির ভিতরে থাকা কতিপয় নেতা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের কথায় সত্য উন্মোচিত হয়েছে।

‘এদের এতদিনের এই মিথ্যাচারের বিচার আমি দেশের মানুষের কাছে রাখতে চাই। তারা দেশ-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। এরা সবসময় মিথ্যাচার করে দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন’।

২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানীর বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ ‘নিখোঁজ’ হন সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী।

রাস্তায় পড়ে থাকা তার গাড়ি উদ্ধার করে বনানী থানার পুলিশ। এখন পর্যন্ত তার সন্ধান পায়নি পুলিশ ও পরিবার। গতকাল ছিল ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজের’ নবম বছর।

এ উপলক্ষে গতকাল সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী সংহতি সম্মেলনী–ঢাকার উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

ভার্চুয়াল সভায় একপর্যায়ে মির্জা আব্বাস বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, ইলিয়াস গুমের পেছনে আমার দলের অভ্যন্তরে লুক্কায়িত যে বদমাইসগুলো আছে, তাদেরকে একটু দয়া করে একটু আইডেন্টিফাই (শনাক্ত) করার ব্যবস্থা করেন, প্লিজ।

যদিও আজ রোববার বিকেলে আবার মির্জা আব্বাস সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, নিখোঁজ ইলিয়াস আলীকে নিয়ে গতকাল শনিবার তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন গণমাধ্যম সেই বক্তব্য বিকৃত করে ছেপেছে।

তিনি বলেন, সরকার বা আওয়ামী লীগ ইলিয়াস আলীকে গুম করেনি, একথা আমি বলিনি। গণমাধ্যমে আমার কথাকে, বক্তব্যকে টুইস্ট করা হয়েছে, বিকৃত করা হয়েছে।

যেভাবে দিন কাটাচ্ছেন করোনা আক্রান্ত খালেদা জিয়া

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।তাকে গুলশানের বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে রাজধানীর একটি হাসপাতালে আইসিইউ প্রস্তুতও রাখা হয়েছে।

বুধবার থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। বিএনপি চেয়ারপারসনের বোন সেলিমা ইসলাম জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া রমজানের প্রথম দিন ইবাদতে কাটিয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে। এইটুকু বলতে পারি যে, তার অবস্থা স্থিতিশীল, ভালো ইমপ্রুভ করছে। আপনারা উনার জন্য দোয়া করবেন।

সেলিমা ইসলাম বলেন, রমজান মাস বুঝতেই পারেন। এখন কোরআন তেলওয়াত, তাসবিহ তাহরিমা, দোয়া দরুদ, নামাজ পড়ে সময় কাটছে তার। টেলিফোনে আমরা কথা-বার্তা বলছি নিয়মিত।

ছোট ভাই শামীম এস্কেন্দারের বাসা থেকে খালেদার জন্য ইফতার পাঠানোর কথাও তিনি জানান।

এদিকে খালেদা জিয়ার রক্তে কোনো ঝুঁকি আছে কি না, জানার জন্য বায়োকেমিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। রক্তের বায়োকেমিক্যাল স্যাম্পলের রিপোর্টে কোনো ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ডা. আল মামুন।

এর আগে বুধবার দুপুরে ডা. আল মামুন জানান, এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে রাতে জরুরি মেডিকেল বোর্ড আহ্বান করা হয়েছে।

খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে গিয়েছিলেন। গত বছরের মার্চে সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।এর পর থেকে তিনি গুলশানের বাসায় রয়েছেন।

নিউইয়র্ক স্টেট ও সিটি যুবলীগের অনুষ্ঠানে ব্যাপক হট্টগোল

নিউইয়র্ক স্টেট যুবলীগ ও নিউইয়র্ক সিটি যুবলীগের যৌথ উদ্যোগে নিউইয়র্কের ওজোন পার্কে একটি রেস্টুরেন্টে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে থাকে । সেখানে প্রধান অতিথির আসন নিয়ে কেন্দ্র করে ব্যাপক হট্টগোল, হাতাহাতি-মারামারি বাঁধার উপক্রম হয় । নিউইয়র্ক স্টেট যুবলীগের আহবায়ক মহি উদ্দীন চৌধুরী ও যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ হোসেন চেয়েছিলেন প্রধান অতিথি করতে চেয়েছিলেন আব্দুল হাসিব আল মামুন যিনি সাংগঠনিক সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের অপর পক্ষ নিউইয়র্ক সিটি যুবলীগর আহবায়ক রেজাউল আলম অপু ও যুগ্ম আহবায়ক জুনেদ আহমেদ চেয়েছিলেন মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম কে প্রধান অতিথি করতে যিনি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের। এসব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি, মারামারি বাধার উপক্রম হয়েছিল । সে অনুষ্ঠানের মোট অতিথির সংখ্যা ছিল আনুমানিক ১৫ জনের বেশি না । যুবলীগ করে সে ১৫ জনের মধ্য মাত্র ৫ জন হাতেগোনা পদধারী মাত্র ।অথচ তাদের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি করার কথা ছিল গঠন তন্ত্র অনুযায়ী সে সংগঠনের প্রধানের যিনি জানাব তারিকুল হায়দার চৌধুরী যিনি আহবায়ক যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহবায়ক আর প্রধান বক্তা হবার কথা ছিল যুগ্ম আহবায়ক জনাব বাহার খন্দকার সবুজ কে তারা সেটি না করে সিটি যুবলীগ ও স্টেট যুবলীগ করেছেন উনাদের মনগরা অন্যদেরকে যা কিনা একটি সংগঠনের নিয়মনীতি বিরোধী। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহবায়ক জনাব তারিকুল হায়দার চৌধুরীরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি অবগত নই এবং সিটি ও স্টেট যুবলীগ দীর্ঘদিন ধরে অসহযোগীতা করে আসছে আমাদের এমনকি সাংগঠনিক ভাবে পুরোপুরি নিষ্ক্রীয় । তারা আওয়ামীলীগের গ্রুপিংয়ে জরিয়ে যায় নিজেরা যার ফলশ্রুতিতে দুটি কমিটিই গতিহীন । দুটিকমিটিকে তিন বছর ধরে বলার পরেও সম্মেলনের আয়োজন করতে পারে নি তাদের নিষ্ক্রিয়তার ও কোন্দলের কারণে। এবং যুগ্ম আহবায়ক জানাব বাহার খন্দকার সবুজের সাথে যোগাযোগ করতে পারে নি কারণ উনার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় ।1

হাসিনা-মোদির বৈঠকে কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন, ৫ সমঝোতা সই

বাংলাদেশে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

শনিবার বিকাল ৫টার পর মোদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।

দুই সরকারপ্রধান প্রথমে কিছু সময় একান্তে বৈঠক করেন। পরে তাদের নেতৃত্বে শুরু হয় দুই দেশের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, যা চলে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত।

বৈঠকে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি ‘মিতালী’ এক্সপ্রেস ট্রেনসহ কয়েকটি প্রকল্প ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করা হয়েছে।এছাড়া দুই দেশের মধ্যে ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন গত বুধবার বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবেন, যেগুলো আলোচনা হয়েছে এবং মোটামুটি একটা ঠিক হয়েছে, ওইগুলো যাতে বলবৎ থাকে, বাস্তবায়নে অসুবিধা না হয়, সেজন্য হয়ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরতে পারেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ (২৭ মার্চ) রাতে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার সকালে মোদি ঢাকায় আসেন।

স্বাধীনতা আজ চোর ও দুর্নীতিবাজদের

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, যারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছি তাদের কোনো স্বাধীনতা নেই। আজ স্বাধীনতা আছে ভোট চোর, ঘুসখোর, চোর-বাটপার, বিদেশে টাকা পাচারকারী ও দুর্নীতিবাজদের।

বুধবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে আরও অংশ নেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

গয়েশ্বর বলেন, আমাদের নেতা শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। আমাদের নেতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। স্বাধীনতার ঘোষকের দল বিএনপি। দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতার স্বাদ এখনো আমরা পাইনি। আজ এই অনুষ্ঠান থেকে শপথ হোক স্বাধীন দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব।

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বৃদ্ধির কারণে বিএনপির সব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার মধ্যে আমরা একে অপরের জন্য দোয়া করব, যাতে সবাই সুস্থ থাকতে পারি। আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব, জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উৎসাহিত করব। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরলে দেশে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব। আমাদের গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনার পরিবেশ সৃষ্টি করব।

দোয়া-মাহফিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমান, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ অসুস্থ নেতাকর্মীদের আরোগ্য লাভের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

নোয়াগাঁও গ্রামে নির্যাতিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশে বিএনপি

সুনামগঞ্জে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত পারিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে শনিবার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর পরিদর্শন করেন।

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী। তাদের সঙ্গে যুক্ত হন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলামসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী।

দুপুরে সেখানে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলার পর প্রতিনিধি দলের নেতা নিতাই রায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে যে হামলা ও লুটপাট হয়েছে তার সঙ্গেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা জড়িত। নাসিরনগর, রামুসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর-মন্দিরসহ উপসানালয়ে হামলা হয়েছিল-এসব প্রতিটি ঘটনার সঙ্গেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জড়িত ছিল। কিন্তু তারা নিজেরা দোষ করলেও বিচার না করে বারবার অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছে।

‘কারণ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন, একটি দুর্বল সরকার। এরা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।’

তিনি আরও বলেন, এই নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে যে হামলা, লুটপাট হয়েছে এ ঘটনায় দেশে ও দেশের বাইরেও ব্যাপক প্রতিবাদ হচ্ছে। আমরা এ ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।

অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, এখানে শুধু বাড়িঘরে হামলাই নয়; নারী ও শিশুদের ওপরও নির্যাতন হয়েছে। নির্যাতিত মানুষদের বুকফাটা কান্না আমরা শুনতে পেয়েছি। হামলার সময় বাথরুমে পালিয়ে থাকা নারী ও শিশুদের বের করে নির্যাতন করা হয়েছে। এখানকার প্রশাসন ঘটনা ঘটার আগে জানার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আপনারা দেখবেন প্রশাসন আছে শুধুমাত্র বিরোধী মত ও বিএনপিকে দমান করার কাজে। নোয়াগাঁও গ্রামের সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট, নারী ও শিশু নির্যাতনের এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমরা এই নির্যাতিত পারিবারের পাশে আছি এবং থাকব।

তিনি আরও বলেন, দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ করতেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি এবং থাকব। আমরা মনে করি, যারা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম হামলা চালাচ্ছে, তারা মানবজাতির শত্রু।

পরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

সুন্দরবনে মৃত বাঘ উদ্ধার

বাগেরহাটের পূর্বসুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদীর পাশে ধনচেবাড়িয়াচর থেকে একটি মৃত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।

শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে বনজীবিরা ধনচেবাড়িয়ার চরে ওই মৃত বাঘ দেখতে পেয়ে বনবিভাগকে খবর দেয়। মৃত এই মাদী বাঘটি লম্বায় ৭ ফুট ও আনুমানিক বয়স ১৫ বছর।

শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নুল আবেদীন বনরক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাঘের মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে।

বাগেরহাট পূর্বসুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয়  বন কর্মকতা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মৃত বাঘটির শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ নেই। শরীরের কোন অঙ্গ পতঙ্গও কেটে নেয়নি। ধারণা করা হচ্ছে ১৫ বছর বয়সী এই মাদী বাঘটি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যেয়ে থাকতে পারে। মৃত বাঘটিকে রাতেই শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে।

শনিবার সকালে এই বাঘটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করে ভিসেরা ঢাকায় পাঠানো হবে।

এর আগে গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি শরণখোলা রেঞ্জের ছাফড়াখালী এলাকা থেকে একটি বাঘিনীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত ও বাঘটির পেছনের একটি অংশ কুমিরে খাওয়া অবস্থায় সেটিকে বন বিভাগ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা দিয়েছিল।