ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার সাংবিধানিক: সিনেট

ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার সাংবিধানিক: সিনেট

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন বিচারকে সাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে মার্কিন সিনেট। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা অভিশংসন বিচার শুরু হয়েছে। ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরও সংবিধান অনুযায়ী অভিশংসন কার্যক্রম চলতে পারে বলে সিনেটে প্রস্তাব পাস হয়েছে।

সিনেটে অভিশংসন বিচারকাজ সাংবিধানিক কি না, তার ওপর ভোটাভুটি হয়। ৫৪-৪৪ ভোটে বিচারকাজ সাংবিধানিক বলে পাস হয়। সিনেটের সব ডেমোক্র্যাট সদস্য ছাড়াও ছয়জন রিপাবলিকান সিনেটর এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তাঁরা হলেন সিনেটর বিল কেসেডি, সুজান কলিন্স, লিসা মুরকৌস্কি, মিট রমনি, বেন সেসই ও প্যাট টমি। এর মধ্যে পাঁচজন রিপাবলিকান সিনেটর আগেই সিনেটে আদালত গঠনের পক্ষে দলের অবস্থান থেকে বেরিয়ে ভোট দিয়েছিলেন। নতুন যোগ হয়েছেন সিনেটর বিল কেসেডি। তিনি বলেছেন, যুক্তিতর্ক শুনে তিনি মনে করেন, সিনেট এমন অভিশংসন আদালত পরিচালনার এখতিয়ার রাখে। তবে বাকি ১৭ জন রিপাবলিকান সিনেটরের সমর্থন পাওয়া যাবে কি না, তা নিশ্চিত নয়

প্রথম দিনে আদালতের কার্যক্রমে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষের আইনজীবীরা জোরালো বক্তব্য দিতে পারেননি। সিএনএনের খবরে জানা যায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও হতাশ এবং বিরক্ত হয়েছেন।

ক্যাপিটল হিলে হামলা।

ক্যাপিটল হিলে হামলা।  রয়টার্স ফাইল ছবি।

স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ক্যাপিটল হিলে সিনেটের প্রবীণ সদস্য প্যাট্রিক লেহির সভাপতিত্বে অভিশংসন আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতেই অভিশংসন ব্যবস্থাপকদের পক্ষ থেকে ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের সহিংস ঘটনার ওপর একটি ভিডিও দেখানো হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এরপরই ট্রাম্প–সমর্থকদের ক্যাপিটল হিলে ঢুকে হামলা চালাতে দেখা যায়।

আদালতে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কংগ্রেসম্যান জ্যামি রাস্কিন। ৬ জানুয়ারি জ্যামি রাস্কিন ক্যাপিটল হিলে উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে ও জামাতা। জ্যামি রাস্কিন বলেন, মেয়ে তাঁকে বলেছেন, আর কখনো ওয়াশিংটন ডিসিতে তাঁরা ফিরতে চান না।

ট্রাম্পের আইনজীবী ডেভিড স্কোহেন আদালতে বলেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন দণ্ড হলে দেশে আরেকটি গৃহযুদ্ধ শুরু হবে। ট্রাম্পের আইনজীবীরা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী এ আদালত চলতে পারেন না। ট্রাম্প আর ক্ষমতায় নেই। সিনেট এমন আদালতে তাঁকে দণ্ড দেওয়ার এখতিয়ার রাখে না। তবে তাঁদের যুক্তি সাংবিধানিক ব্যাখ্যায় ধোপে টেকেনি।

রিপাবলিকান সিনেটর জন কারনাইন আইনজীবীদের সমালোচনা করে বলেছেন, প্রথম আইনজীবী সাংবিধানিক গ্রহণযোগ্যতার যুক্তি জোরালোভাবে উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছেন।

অভিশংসন আদালতের বিচারকাজ স্থানীয় সময় আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। আজ দুপুরে অভিশংসন আদালত আবার বসবেন। আদালতে সহিংসতা ও উসকানি প্রমাণ করার জন্য আরও কিছু ভিডিওচিত্র ও প্রমাণ উপস্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

অভিশংসন আদালত চলাকালে ট্রাম্প ফ্লোরিডার মার এ লাগোতে অবস্থান করছেন। ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার নিয়েও অনেকটা নীরব মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *