যে পোস্ট সরিয়ে নিয়ে আবার ফেসবুকে দিলেন কাদের মির্জা

যে পোস্ট সরিয়ে নিয়ে আবার ফেসবুকে দিলেন কাদের মির্জা

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার একটি পোস্ট ভাইরাল (ছড়িয়ে পড়া) হয়েছে। প্রথমে শনিবার বিকেল চারটার দিকে কাদের মির্জা তাঁর নিজের ফেসবুকে ওই পোস্ট দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিচে নানা মন্তব্য আসতে থাকলে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। অবশ্য রাত আটটার দিকে পোস্টটি আবারও কাদের মির্জার ফেসবুকে দেখা যায়।

ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়, ‘ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন/ যদিও পৃথক হয় নারীর কারণ। আবদুল কাদের মির্জা, মেয়র, বসুরহাট পৌরসভা।’ কাদের মির্জা তাঁর পোস্টটির সঙ্গে দুটি ছবিও দেন। একটিতে ওবায়দুল কাদের ও কাদের মির্জাকে কোলাকুলি করতে দেখা যায়। অন্যটিতে কাদের মির্জার পাশে রয়েছেন তাঁর বড় দুই ভাই ওবায়দুল কাদের ও ফজলুল কাদের ওরফে মিন্টু এবং ছোট ভাই শাহদাত হোসেন। এই ছবির পেছনে দাঁড়িয়ে ফজলুল কাদেরের ছেলে ফজলুল করিম ওরফে তমাল।

বিকেল চারটার দিকে পোস্টটি দিতেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। পোস্টটির নিচে নানা মন্তব্য আসতে থাকলে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সেটি সরিয়ে ফেলা হয়। ততক্ষণে পোস্টটিতে দু শর বেশি মন্তব্য পড়ে। পোস্টটি শেয়ার করা হয় প্রায় ২০০ বার। পরে রাত আটটার দিকে কাদের মির্জার ফেসবুকে পুনরায় পোস্টটি দেখা যায়।

রাত পৌনে ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মন্তব্য পড়েছে ৯০৯টি। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে ৩৮৩ বার। এতে ‘লাইক’সহ বিভিন্ন ‘রি-অ্যাকশন’ আছে ৭ হাজার ২০০ জনের।
পোস্টের নিচে সাব্বির পাটোয়ারী নামের একজন লিখেছেন, ‘খুব শীঘ্রই এই একই ফ্রেমে আবারও দেখা যাবে নোয়াখালীর গর্বিত পরিবারের এই চার ভাইকে।’ এমডি খান আজম নামের একজন লিখেছেন, ‘জাতি দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে কোদাইল মশাই বুকেই টানে।’ নাভিব চৌধুরী লিখেছেন, ‘অভিনয়ের জন্য অস্কার পাবেন আপনি! গ্রেপ্তারের ভয়ে এখন ওবায়দুল কাদের আপনার ভাই।’ তানভির আহমেদ শাকিন লিখেছেন, ‘দুইটা লাশের পরনি এই কথা।’

কাদের মির্জা পোস্টে নারীর প্রসঙ্গ টানলেও এর মাধ্যমে তিনি কাকে বুঝিয়েছেন, তা জানা যায়নি। গতকাল বিকেলে এবং সন্ধ্যায় একাধিকবার তাঁর মুঠোফোন নম্বরে ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। অবশ্য স্থানীয় লোকজন বলছেন, কাদের মির্জা সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বক্তব্যে তাঁর ভাবিকে (সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীকে) সমালোচনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *