অনুমতি ছাড়া মিছিল-সমাবেশ করলেই ব্যবস্থা

রাজধানী ঢাকাতে অনুমতি ছাড়া মিছিল ও সভা-সমাবেশ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আর এই নির্দেশনা করে কেউ যদি মিছিল ও সমাবেশ করে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে ডিএমপি।

২ ডিসেম্বর, বুধবার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে ডিএমপি এলাকায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন সভা, সমাবেশ, গণজমায়েতসহ নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিচ্ছে। ফলে রাস্তায় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যমান আইনে বৈধ কোনো দল বা গোষ্ঠীর সমাবেশের স্বাধীনতা থাকলেও বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের আরোপিত যুক্তিসংগত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগ দেয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে।

তবে সাধারণ জনগণের নাগরিক সুবিধা অক্ষুণ্ন রাখা, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে এ ধরনের কর্মসূচি পালন এবং শব্দযন্ত্র ব্যবহারের জন্য ডিএমপি অধ্যাদেশ অনুসারে ডিএমপি কমিশনারের পূর্বানুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা আছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আরো বলা হয়, ডিএমপি ঢাকা মহানগরের নাগরিকদের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো প্রকার মিছিল, সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কার্যক্রম গ্রহণ এবং এ জন্য শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করছে। পূর্বানুমতি ছাড়া কেউ এরূপ কার্যকলাপে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

গোপন নথি ফাঁস, করোনা নিয়ে ভয়ানক মিথ্যাচার চীনের

করোনা নিয়ে চীনের মুখোশ খুলে দিয়েছে গোপন নথি।সম্প্রতি, চীনের করোনা মহামারি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন। সেখানে স্থানীয়ও স্বাস্থ্যকর্মীদের রিপোর্টের ভিত্তিতে দাবি করা হযেছে যে, প্রথমদিকে করোনা সংক্রমণের কথা গোপন রেখেছিল হুবেই প্রশাসন।

হুবেই প্রভিন্সিয়াল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের এক কর্মীর কাছ থেকে ১১৭ পৃষ্ঠার একটি গোপন নথি সংগ্রহ করেছে সিএনএন। জানা গেছে, অন্তত ছ’জন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সেই নথি খতিয়ে দেখে এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। ওই নথিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে অক্টোবর ২০১৯ থেকে এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত করোনা সংক্রান্ত খবর চেপে গিয়েছে চীন সরকার।

নথিতে বলা হয়, স্থানীয় চিকিৎসকদের মতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত হুবেইয়ে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৯১৮। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যানে এর অর্ধেক দেখানো হয়েছিল। ফলে, কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি।

এখনো অনেকেই মনে করেন উহানের একটি গবেষণাগার থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আবার অনেকের দাবি, উহানের একটি সামুদ্রিক মাছের ও মাংসের বাজার থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নভেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়।

ট্রাম্পের ক্ষমার জন্য ঘুষ: যুক্তরাষ্ট্রে তদন্ত শুরু

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য হোয়াইট হাউজে ঘুষ লেনদেনের পরিকল্পনার সম্ভাব্য এক ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট জজ বেরিল হাওয়েল মঙ্গলবার প্রসিকিউশনকে এই তদন্ত শুরুর অনুমতি দেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া যোগসূত্র নিয়ে এফবিআইয়ের কাছে মিথ্যা বলার কারণে বরখাস্ত হয়েছিলেন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ অবশ্য বলেছে, সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে নিশানা করে এই তদন্ত তারা শুরু করছে না। বার্তা রয়টার্স জানিয়েছে, আদালতের নথিতে এ বিষয়টিকে ‘ক্ষমার জন্য ঘুষ নিয়ে তদন্ত’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

তবে ১৮ পৃষ্ঠার ওই নথির যে সংস্করণটি সবার দেখার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে অর্ধেক তথ্যই ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যে অংশটুকু পড়া যায়, তাতে কারও নাম বা অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেই।

ওয়াশিংটনে ফেডারেল প্রসিকিউটররা আদালতকে বলেছেন, ঘুষ লেনদেনের পরিকল্পনার কিছু প্রমাণ তারা পেয়েছেন, যেখানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমা বা দণ্ড মওকুফের বিনিময়ে ‘বড় ধরনের রাজনৈতিক সুবিধা’ দেওয়ার প্রস্তাব করার কথা রয়েছে।নিয়ম ভেঙে গোপনে তদবির করার একটি অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করার অনুমতি পেয়েছেন ফেডারেল প্রসিকিউটররা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন লিখেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদের শেষ বেলায় বিচার বিভাগের এই তদন্তের ঘোষণা নতুন আলোচনার জন্ম দিল।

তবে এই বিষয়ে এখনো হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

কক্সবাজার কারাগারে হাজতির রহস্যজনক মৃত্যু: কারারক্ষী বরখাস্ত

হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় রিমান্ড আদেশ পাওয়া আসামি মোস্তফার কক্সবাজার জেলা কারাগারে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান কারারক্ষী আবু তাহের, সহকারী প্রধান কারারক্ষী ফখরুল ইসলাম ও কারারক্ষী বিল্লাল হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।

একই ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন মোস্তফার ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী জাহাঙ্গীর আলম।

এছাড়াও কারাগারের সর্বপ্রধান কারারক্ষী মো: হেলাল উদ্দিনের কাছ থেকে এ ঘটনায় আগামী ৩ কর্মদিবসে ‘লিখিত কৈফিয়ত’ তলব করা হয়েছে। কৈফিয়ত দিতে বলা হয়েছে কারারক্ষী ইকবাল হোসেনকেও। বুধবার (২ ডিসেম্বর) সকালে জেল সুপার নেছার আলম এ তথ্য জানান।

জেল সুপার জানান, কারাগারে বন্দির আত্মহত্যা কোনমতেই কাম্য নয়। হাজতি-কয়েদি এরা আমাদের আমানত। তাদের দেখভালের জন্য ২৪ ঘন্টা কারারক্ষী রয়েছে। এত তদারকির মাঝে কিভাবে হাজতি মোস্তফা আত্মহত্যা করলো তা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তাই সেসময়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকাদের কাছ থেকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। যিনি ওয়ার্ডে দায়িত্বে ছিল তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং যারা দায়িত্বে এড়াতে পারেন না তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) রাতেই এসংক্রান্ত অফিসিয়াল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

একইদিন বিকেলে বিধি অনুসারে লিখিত অভিযোগ উত্থাপন করেন কারাগারের জেলার মোস্তফা কামাল।

এদিকে, সোমবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কারাভ্যন্তরেই হাজতি মোস্তফা আত্মহত্যার ঘটনার (কারা কর্তৃপক্ষের দাবি মতে) পরপরই দুইটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটিতে ডেপুটি জেলার সাইদুল ইসলামকে প্রধান করে সার্জেন্ট ইন্সপেক্টর মামুনুর রশীদ ও একাউন্টেন্ট খন্দকার আজাদুর রহমানকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধানপূর্বক দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেল সুপার।

একই ঘটনায় কারা হাসপাতালের ডা. মো: শামীম রাসেলকে প্রধান ও ডা. শামীম রেজাকে সদস্য করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাও ঘটনার বিস্তারিত জেনে প্রতিবেদন জমা দিবেন।

কারা কর্তৃপক্ষের কমিটি ছাড়াও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটও পৃথক তদন্ত কমিটি গড়ে তদন্ত চালাচ্ছেন। কক্সবাজার এসেছেন ডিআইজি প্রিজন। তিনিও আলাদা ভাবে তদন্ত কাজ চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জেল সুপার নেছার আলম।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান আজাদকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলায় কারান্তরীণ হাজতি মোস্তফা রহস্যজনক ভাবে জেলা কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। সোমবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হাজতি ময়লাহীন ফাঁসিতে আত্মহত্যায় মারা গেছেন বলে দাবি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

তবে কারাগারে ফাঁসি খাওয়ার মতো কোন অবস্থা বন্দিদের পক্ষে থাকে না বলে দাবি করেছে কারাভোগ করে বের হওয়া অনেক বন্দি। এ কারণে তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেধেছে।

মারা যাওয়া হাজতি মোস্তফা (২৫) কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হরিপুর এলাকার বশির আহমেদের ছেলে। তবে, তারা এলাকায় ‘রোহিঙ্গা’ বলে পরিচিত।

মারামারি ও হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় গত ১৮ নভেম্বর মোস্তফা কারাগারে আসেন। তার মামলায় ২৯ নভেম্বর রিমান্ড শুনানি ছিল। আদালত তাকে একদিনের রিমান্ডও মনজুর করে। আদালত থেকে তাকে কারাগারে আনার পর তার কক্ষেই পাঠিয়ে দেয়া হয়। ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে পেয়ে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক হাজতি মোস্তফাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমান জানিয়েছিলেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে মোস্তফা নামের এক বন্দিকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের আনার আগেই সে মারা যায়। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর হস্তান্তর করা হয়েছে।

কারাভ্যন্তরে হাজতি মোস্তফার মৃত্যুর খবর পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দুর্বৃত্ত হামলায় আহত হয়ে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সদর আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান আজাদ লুতু। তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটি কখনো বিশ্বাস করা যায় না আমাকে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তফা আত্মহত্যা করেছেন। তাকে কৌশলে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। কোন একটি গ্রুপ আমার উপর পরিকল্পিত হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন এটা নিশ্চিত। যারা এ ঘটনা ঘটালো তারা জানলো যে, গ্রেফতার মোস্তফার রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। রিমান্ডে নেয়া হলে আমাকে হামলার ঘটনায় কারা জড়িত তা হয়তো উঠে আসতো। তাই কোন কৌশলে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া। বিপুল অংকের বিনিময়ে কূটকৌশলে এমনটি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেল সুপার নেছার আলম বলেন, কারাবন্দীরা আমাদের আমানত। তাদের রক্ষা না করে কেন আমরা মারব? তার মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত। এটার রহস্য বের করতে চেষ্টা চলছে।

আর মাত্র চারটি মেডেন দরকার সাকিবের

দিন যত যাচ্ছে, সাকিব আল হাসানের রেকর্ডের খাতাটা ততোই সমৃদ্ধ হচ্ছে। এবার আরও একটি রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আর মাত্র চারটি মেডেন ওভার করতে পারলেই বনে যাবেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মেডেনধারী বোলার।

টি-টোয়েন্টি, এই ফরম্যাটের খেলা মানেই চার-ছক্কার বন্যা। সংক্ষিপ্ত ওভারের এই ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানরা সব সময় সুযোগ খোঁজেন কিভাবে রানের সংখ্যা বাড়ানো যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ফরম্যাটে বোলাররা বেশ চাপে থাকেন। সেখানে মেডেন নেয়া কতটা কঠিন সেটা নতুন করে বলার দরকার নেই। যদিও কঠিন এই কাজটি প্রায়ই করে দেখান কয়েকজন খেলোয়াড়। সাকিব তাদের মধ্যে অন্যতম।

ক্রিকেটের সর্বশেষ সংস্করণে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ২৪ মেডেন আছে ক্যারিবিয়ান বোলার সুনিল নারিনের। তার পরের স্থানেই যৌথভাবে আছেন সাকিব এবং স্যামুয়েল বাদ্রি। এই দুইজনের নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ২১টি করে মেডেন ওভার।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে গতকাল (৩০ নভেম্বর) বেক্সিমকো ঢাকার মুখোমুখি হয় জেমকন খুলনা। এদিন অসাধারণ বোলিং করেন সাকিব। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে দুই মেইডেন দেন। তুলে নেন ১ উইকেট। এর বিপরীতে খরচ করেন মাত্র ৮ রান।

অনিশ্চয়তা কাটছে, কমছে সোনার দাম

যেমন হু হু করে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়েছিল, ঠিক তেমনভাবেই কমছে। গতকাল সোমবার সোনার দাম কমেছে ১ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দাম হয়েছে ১ হাজার ৭৭১ দশমিক ২২ ডলার। কেবল এই নভেম্বর মাসেই বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমেছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৬ সালের নভেম্বরের পর এই প্রথম এক মাসে এত কমল সোনার দাম। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দাম আরও কমবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কেবল সোনা নয়, গতকাল বিশ্ববাজারে কমেছে রুপা ও প্লাটিনামের দামও। প্রতি আউন্সে ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে রুপার দাম। প্রতি আউন্সের দাম হয়েছে ২২ দশমিক শূন্য ৩ ডলার। প্লাটিনামের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। ফলে প্রতি আউন্সের দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪২০ দশমিক ৩৬ ডলার।

নভেম্বর মাসজুড়েই বিশ্ববাজারে কমেছে সোনার দাম। অথচ কয়েক মাস আগেই নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত এই ধাতুর দাম বলা যায় আকাশ ছুঁয়ে ফেলে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনা, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা ঢেউ ও ডলারের দাম কমে যাওয়ায় মানুষ সোনাকে নিরাপদ বিনিয়োগ বলে মনে করা শুরু করে।

অনিশ্চয়তা যত বাড়ছিল, ততই বাড়ছিল সোনার দাম। টিকা আসছে, অনিশ্চয়তাও কাটছে। এতে কমতে শুরু করেছে সোনার দর।

করোনা ছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সোনার বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতার কারণেও সবাই সোনার মজুত বাড়িয়েছিল। এতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে দাম, নতুন রেকর্ড হয়। গত ২৭ জুলাই প্রথম ৯ বছরের রেকর্ড ভাঙে দাম। বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স (এক আউন্স সমান ২৮ দশমিক ৩৫ গ্রাম) সোনার দাম বেড়ে হয় ১ হাজার ৯৪৪ ডলার। এর আগে ২০১১ সালে প্রতি আউন্স সোনার দাম উঠেছিল ১ হাজার ৯২১ ডলারে। অর্থাৎ সে সময়ের চেয়ে ২৪ ডলার বেড়ে দামের নতুন রেকর্ড গড়ে মূল্যবান এই ধাতু। ওই বৃদ্ধি নিয়ে বছরের ৭ মাস পর্যন্ত সোনার দাম বাড়ে ২৭ শতাংশ।

এরপরও বাড়তে থাকে দাম। আগস্টে একপর্যায়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৭২ ডলার ৫০ সেন্ট পর্যন্ত উঠে যায়। এরপর ৭ আগস্ট থেকে কিছুটা কমতে দেখা যায়। এভাবেই কমা–বাড়া চলতে থাকে। নভেম্বরে এসে বেশ কমতে শুরু করে দাম। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন ৯ মাস ধরে বিশ্বকে আটকে রাখা করোনা নামক ভাইরাসের একটি টিকা আসছে তা নিয়ে আশা, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট আসছেন এবং করোনার সংকট কাটিয়ে এগিয়ে চলেছে চীন।

আসলে যেকোনো অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মন্দার সময় মূলত সোনার চাহিদা বেড়ে যায়। নভেম্বরে করোনার টিকা নিয়ে বেশ কয়েকটি সুখবর আসে। প্রথমে মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক জানায়, তাদের টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকর। এরপর সুখবর দেয় আরেক মার্কিন কোম্পানি মডার্না। এরপর ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলে তাদের তৈরি করা করোনাভাইরাসের টিকা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে। রাশিয়াও টিকার অগ্রগতির কথা জানায়। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটছে, এমন একটি আশা বিরাজ করতে শুরু করে বিনিয়োগকারীদের মনে। তাঁরা আর হুড়মুড় করে সোনা কিনছেন না। ফলে কমছে সোনার দাম।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিএমসি মার্কেটসের প্রধান কৌশলবিদ মাইকেল ম্যাকার্থি বলেন, ভ্যাকসিন আসছে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, এমন আশাবাদ সোনার মতো নিরাপদ-আশ্রয়ে বিনিয়োগের আকর্ষণকে কমিয়ে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে এর দাম ১ হাজার ৮০০ ডলারের নিচে নামায় বিক্রি কমে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে নভেম্বরের শুরুতে মার্কিন নির্বাচনে জো বাইডেন জেতার পর ট্রাম্প গদি ছাড়া নিয়ে ঝামেলা করবেন, এমন একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তা কেটে যাওয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এসেছে যুক্তরাষ্ট্রে। যার প্রভাবও দেখা যাচ্ছে সোনার বাজারে। এ ছাড়া টানা তিন মাস শিল্পোৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে চীনের, যা বিনিয়োগকারীকে ঝুঁকি আছে, এমন মনোভাব থেকে সরিয়ে দিচ্ছে।

বিশ্ববাজারে দর নিম্নমুখী থাকায় দেশের বাজারেও সোনার দাম কমায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। গত ২৫ নভেম্বর থেকে দেশের বাজারে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার অলংকারের দাম হয় ৭৩ হাজার ৮৩৩ টাকা। ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি হয় ৭০ হাজার ৬৮৪ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬১ হাজার ৯৩৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার অলংকার প্রতি ভরি হয় ৫১ হাজার ৬১৩ টাকা।

মুদ্রাবাজারেও ভ্যাকসিনের প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। ডলারের দাম কমে দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি আশা তৈরি হয়েছে যে করোনায় যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থা হয়তো আরও শিথিল হবে। গতকাল বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। তবে বেড়েছে ইউরো ও অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দাম।

এবার স্ত্রীসহ সেই গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়ার সান্তাহার বাফার গুদামের আলোচিত সার কেলেঙ্কারির ঘটনায় গুদামটির সাবেক (অবসরপ্রাপ্ত) উপপ্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) নবীর উদ্দিন খান ও তাঁর স্ত্রী মোহছীনা বেগমের নামে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়ার সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এই মামলা করেন।

দুদক জানায়, গত বছরের ১৬ অক্টোবর প্রথমে নবীর উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়। এরপরেই নবীর উদ্দিন ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ তাঁর স্ত্রীর নামে হস্তান্তর করেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে জানা গেছে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ স্ত্রীর নামে হস্তান্তর করেছেন নবীর উদ্দিন। এ কারণে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সোমবার নবীর উদ্দিন খান ও তাঁর স্ত্রী মোহছীনা বেগমের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।

সান্তাহার বাফার গুদামের সার কেলেঙ্কারির অভিযোগে নবীর উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে সার আত্মসাতের অভিযোগে আরও দুটি মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ার পর তিনি পলাতক। তাঁর বাড়ি নওগাঁর রানীনগর উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামে।

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন সান্তাহার বাফার গুদামে সরবরাহ না করেই বিপুল পরিমাণ সার লোপাট নিয়ে ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল প্রথম আলোয় ‘২০ কোটি টাকার সার গেল কই’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হয়। এরপর দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বিসিআইসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করা সার সান্তাহার বাফার গুদামে সরবরাহই করা হয়নি। তা কালোবাজারে বিক্রি করে বলা হয়েছিল সার সরবরাহের নথি উইপোকায় খেয়েছে। এ ঘটনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাউথ ডেল্টা শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মশিউর রহমান খান, গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর উদ্দিন খান, শ্রমিক লীগের নেতা রাশেদুল ইসলামসহ কয়েকজনের নামে এরপর ২০১৭ সালে অক্টোবরে দুটি মামলা করে দুদক। মামলায় ৪ হাজার ১৬১ মেট্রিক টন সার গুদাম থেকে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

স্বাধীনতার ধারণাকে জনপ্রিয় করেন বঙ্গবন্ধু: মুহিত

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ধারণাকে বঙ্গবন্ধু ধারাবাহিকভাবে সাধারণ মানুষের মাঝে বোধগম্য করে তুলেছিলেন। এভাবে তিনি জাতি গঠন ও রাষ্ট্রের ধারণাকে জনপ্রিয় করেছেন।

বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের প্রথম দিনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজধানীর সুগন্ধায় নবনির্মিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ লেকচার সিরিজের আয়োজন করে।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল সংকল্প, সাহস, উদারতা এবং দরিদ্রদের প্রতি সমবেদনা। বঙ্গবন্ধু দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন, দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করার জন্য উর্বর ভূমি, বিশাল জনগোষ্ঠীসহ সবকিছুই তাঁর ছিল। দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জনকল্যাণের নীতি অনুসরণ করেন জাতির পিতা।

আবদুল মুহিত বলেন, ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে। বিখ্যাত নেতা সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে তাঁর আজীবন সম্পর্ক ছিল ছাত্র-শিক্ষকের। জাতির পিতা মাত্র তিন বছর সাত মাসে সংবিধান সংশোধনসহ ৫১৯টি আইন পাস বা সংশোধন করেছিলেন, যাতে জনগণের সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি ১৯৭৪ সালে সমুদ্রসীমা আইন পাস করেছিলেন।

সূচনা বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের ৬৮টি বৈদেশিক মিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকসহ প্রবাসীদের অংশগ্রহণে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বনেতাদের কাছে আমরা বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে চাই।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দুজন বিশিষ্ট কূটনীতিককে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একজন বাংলাদেশি এবং একজন বিদেশিকে স্বর্ণপদক দিতে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে নাম ঘোষণা করা হবে।
বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের প্রথম দিনের আলোচনায় আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। এ ছাড়া ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, ঢাকায় বিদেশি রাষ্ট্রদূত, বুদ্ধিজীবী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ভার্চ্যুয়ালি ও সরাসরি এ আলোচনায় অংশ নেন।

নির্যাতন রোধের হেল্পলাইনে করোনা নিয়ে ৯০% কল

নাটোরের গুরুদাসপুরে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হেল্পলাইনে (১০৯ নম্বর) ফোন করে নিজের বাল্যবিবাহ ঠেকিয়ে দেয়। এ ঘটনা চলতি বছরের শুরুর দিকে। মেয়েটি ফোন করার পর হেল্পলাইন থেকে তথ্য পাঠানো হয় গুরুদাসপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তমাল হোসেনের কাছে। তিনি মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে মেয়েটির বাড়িতে পাঠিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন।

শুধু বাল্যবিবাহ নয়, যেকোনো ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১২ সালে হেল্পলাইনটি চালু করে। তবে চলতি বছর এতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধবিষয়ক কলের বদলে করোনা নিয়ে জানতে বেশি ফোন আসছে।

নির্যাতন রোধের হেল্পলাইনে করোনা নিয়ে ৯০% কল

হেল্পলাইনটি পরিচালিত হয় মন্ত্রণালয়ের নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের আওতায়। তাদের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে ১১ লাখ ১৯ হাজারের মতো কল আসে। এর মধ্যে মাত্র ১ লাখ ১৯ হাজার কল আসে সাধারণ চিকিৎসা, পরামর্শ, পুলিশি সহায়তা, আইনি সহায়তা ও তথ্য চেয়ে। বাকি কলগুলোকে অন্যান্য শ্রেণিভুক্ত করা হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু বাদ দিয়ে অন্যান্য শ্রেণিভুক্ত কলগুলো মূলত করোনা নিয়ে। ১০ মাসে সাধারণ চিকিৎসা বিষয়ে জানতে ১ হাজার ৭৩৭, পরামর্শ সেবা পেতে ৫৭৯, পুলিশি সহায়তা পেতে ১১ হাজার ৫৭৯, আইনি সহায়তা পেতে ১৮ হাজার ৫৬৮ এবং তথ্য পেতে ৮৬ হাজার ৬৭১টি কল আসে।

বিগত কয়েক বছরের হিসাবে দেখা যায়, সাধারণত অন্যান্য শ্রেণিভুক্ত কলের সংখ্যা খুব কম থাকে। যেমন ২০১৯ সালেও ১৮ লাখের মধ্যে ২৪ হাজারের মতো কল ছিল অন্যান্য শ্রেণিভুক্ত। এবার মোট কলের ৯০ শতাংশই অন্যান্য শ্রেণিভুক্ত। এ বিষয়ে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম প্রকল্পের পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, এ বছর মানুষের করোনা নিয়ে উদ্বেগ বেশি ছিল। তাই এ হেল্পলাইনে করোনা নিয়েই ফোন বেশি এসেছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১২ সালে যখন হেল্পলাইনটি চালু করে, তখন নম্বর ছিল ১০৯২১। ২০১৭ সাল থেকে এটি ১০৯ নম্বরের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে এটি টোল ফ্রি, অর্থাৎ বিনা মূল্যে কল করা যায়।

কর্মকর্তারা জানান, হেল্পলাইনটিতে তিন পালায় (শিফট) ২৪ ঘণ্টা ৭৮ জন কর্মী সেবা দেন। তবে গত আগস্টে জাতীয় সংসদের মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ২৪ ঘণ্টা সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেন কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ। তিনি বলেন, গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর শ্যামলীর এক নারী নির্যাতনের শিকার হয়ে উদ্ধার পেতে ১০৯ নম্বরে বারবার ফোন করেও সাড়া পাননি। এ বিষয়ে মেহের আফরোজ প্রথম আলোকে বলেন, হেল্পলাইনে জনবল কম। পরিসর আরও বাড়াতে হবে।

বর্তমান পরিস্থিতি কী, তা জানতে ১০৯ নম্বরে গত ২৪ নভেম্বর সকাল সাতটা ও বিকেল চারটায় দুবার প্রথম আলোর পক্ষ থেকে কল করা হয়। দুবারই কল ধরেন কর্মীরা। এর মধ্যে সকাল সাতটায় মো. রাসেল হোসেন নামের একজন কর্মী কল ধরেন। রাসেল বলেন, তিনি রাতের পালায় ৪৫টি কল ধরেছেন। এর মধ্যে মধ্যরাতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও যশোর থেকে নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে তিন নারী ফোন করেন। তিনটি ক্ষেত্রেই অভিযোগকারীকে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়।

অবশ্য নারীদের অনেকেই সরকারের এ হেল্পলাইন সম্পর্কে জানেন না। সাতক্ষীরা জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির প্রধান সাকিবুর রহমান বলেন, এটি নিয়ে আরও প্রচার দরকার।

তামিমের ৬ হাজার

ক্রিকেটের ক্ষুদে সংস্করণে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তামিম ইকবাল। মাইলফলক থেকে ২৭ রান দূরে থেকে বুধবার ঢাকার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক।

মিরপুর স্টেডিয়ামে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে ইনিংসের ১১তম ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে ৬ হাজারী ক্লাবে নাম লেখান তামিম। ২১৩ ম্যাচে ২১২তম ইনিংসে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এই ম্যাচে ব্যক্তিগত ৩১ রানেই আউট হয়েছেন তিনি।

তামিমের আগে টি-২০ ক্রিকেটে এই ক্লাবে স্পর্শ করেছেন ৩৯ জন ব্যাটসম্যান। ৬ হাজারের ক্লাবে নাম লেখানো ১০ম দ্রুততম ব্যাটসম্যান তামিম। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তামিমের পরই রয়েছেন সাকিব আল হাসান। বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপেই ৫ হাজার রান পূর্ণ করেছেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। এছাড়া ৪ হাজারের বেশি রান আছে মুশফিকের।