উইঘুর ইস্যুতে চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর আবারও সামনে এল চীনের উইঘুর মুসলিম ইস্যু। উইঘুরসহ তিব্বত ও হংকংয়ের নাগরিকদের ওপর যে ধরনের পদক্ষেপ চীন সরকার নিচ্ছে, তা বন্ধে দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর এএফপির।

এ নিয়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশনের পরিচালক ইয়াং জিয়েচির সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমি এটি পরিষ্কার করে বলেছি যে আমাদের জাতীয় স্বার্থ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার অপব্যবহারের অভিযোগে চীনকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল শক্রবার ইয়াং জিয়েচির সঙ্গে কথা বলেন ব্লিঙ্কেন। এরপর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, শিনজিয়াং, তিব্বত, হংকং ইস্যুসহ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা এবং মানবাধিকার রক্ষায় পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। এই কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন পরিষ্কার করে বলেছেন। এ ছাড়া মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে নিন্দা জানিয়েছে, তাতে যুক্ত হওয়ার জন্যও চীনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ব্লিঙ্কেন বলেন, এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা নষ্টের ক্ষেত্রে চীন যে হুমকি সৃষ্টি করেছে, তার জন্য দেশটিকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়। কিন্তু ট্রাম্প যেসব নীতি গ্রহণ করেছেন, সেই নীতিই ধরে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। এরপরই তিনি চীনের উদ্দেশ্যে এমন কড়া বার্তা দিলেন।

সেনাপণ্য কেনা বন্ধ কর, মিয়ানমারজুড়ে প্রতিবাদ

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অবৈধ ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে সেনা সংশ্লিষ্ট পণ্য ও পরিষেবা না কেনার ডাক দেয়া হয়েছে।  ‘স্টপ বায়িং জান্তা বিজনেস’ (সেনাপণ্য কেনা বন্ধ কর) কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এই ডাক দিয়েছেন দেশটির খ্যাতনামা সাবেক ছাত্রনেতারা।

শুধু তাই নয়, চলমান অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে কৃষক, শ্রমিক-মজুর ও ছাত্রছাত্রীদের সংগঠিত করছেন তারা। খবর মিয়ানমার টাইমস ও দ্য ইরাবতীর।

মিয়ানমারে গত সপ্তাহে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। সেই সঙ্গে দেশটির নেত্রী ও সরকারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শীর্ষ নেতাদের আটক করেছে।

এছাড়া এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করেছে। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।

সেনাশাসন প্রত্যাখ্যান ও গণতন্ত্রের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন চিকিৎসক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সাধারণ জনগণকে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পণ্য ও পরিষেবা বয়কটের ডাক দিয়েছেন ছাত্রনেতারা। ৮৮ জেনারেশন পিস অ্যান্ড ওপেন সোসাইটি মিয়ানমারের সাবেক ছাত্রছাত্রীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন।

ক্রমবর্ধমান অসহযোগ আন্দোলনের প্রশংসা করে এর প্রধান দুই সংগঠক কো মিন কো নাইং ও কো জিমি এক বিবৃতিতে বলেন, সেনাশাসনের প্রতিবাদে কৃষক, শ্রমিক-মজুর ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

তারা আরও বলেন, মিয়ানমারের জনগণকে সেনাবাহিনীর অর্থের উৎসগুলোর দিকে নজর দিতে হবে। সামরিক বাহিনী মিয়ানমারে তাতমাদো বলেও পরিচিত।

তাদের সঙ্গে খাদ্যদ্রব্য ও মদ-পানীয় জাতীয় সামগ্রী, বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি, ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া কোম্পানি, ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, তেল কোম্পানি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা করা সংস্থার সম্পর্ক আছে। সেগুলোই বয়কটের ডাক উঠেছে।

ছাত্রনেতারা বলেন, ‘জনগণের উচিৎ এখনই সেনা সংশ্লিষ্ট সকল পণ্য ও পরিষেবা কেনা বন্ধ করে দেয়া।’

সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সব ফ্লাইট বন্ধ

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দায়িত্বে থাকা দেশটির সরকারি সংস্থা দেশের সব ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে মিয়ানমারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এদিকে মার্কিন দূতাবাস ‘নিরাপত্তা সতর্কতা’ জারি করে বলেছে, তারা মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির আটকের পাশাপাশি ইয়াঙ্গুনসহ বেশ কয়েকটি শহরে ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ রাখার বিষয়ে অবগত রয়েছে।

সোমবার ভোরে দেশটির সেনাবাহিনী মিয়ানমারের নেত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও তার ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে আকস্মিকভাবে আটক করে।

সেনা অভ্যুত্থানের এ ঘটনায় দেশটিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ করে দেওয়া হয় ব্যাংক। খাদ্যের দোকানগুলোয় মানুষের ভিড় বাড়ছে। রাস্তায় নামানো হয়েছে পুলিশ। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। তারা বলছে, সামরিক শাসন শেষে সুষ্ঠু নির্বাচনের পর বিজয়ীদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে।

গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির দল দ্য ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি জয়ী হয়। তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সংকটের শুরুটা মূলত এখান থেকেই। ২০১৭ সালে দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর গণহত্যা নিয়ে সু চি কার্যত দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষেই ছিলেন। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।

গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। ২০১৫ সালের তুলনায়ও সে বছর সু চির দল বেশি ভোটে জয়ী হয়। এরপর সু চি ক্ষমতায় আসেন। এ নির্বাচন নিয়ে সেনাবাহিনীর অভিযোগ, ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। সেনাবাহিনীর দাবি, ভোটে কারচুপির এক কোটির বেশি ঘটনার প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে। যাচাই–বাছাইয়ের জন্য সেনাবাহিনী সরকার পরিচালিত নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটার তালিকা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

কিছুদিন আগে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এক বক্তব্যে মিয়ানমারের সংবিধান বাতিল করার হুঁশিয়ারি দেন। এরপরই উত্তেজনা চরমে ওঠে। গত সপ্তাহে ইয়াঙ্গুনের বাণিজ্যিক এলাকার রাস্তায়, রাজধানী নেপিডো ও অন্যান্য এলাকায় সেনাবাহিনীর ট্যাংক মোতায়েন করা হয়। নির্বাচনের ফল নিয়ে সেনা–সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন। এসবেরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটল।

করোনায় সুস্থ সাড়ে ৭ কোটি

বিশ্বে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এবং ইউরোপসহ কয়েকটি দেশে মিলেছে করোনার নতুন ধরন। এটি আগের ভাইরাস থেকে অনেকটা শক্তিশালী বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরইমধ্যে বর্তমানে করোনায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ কোটি ৩৫ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২ লাখ ৩৭ হাজার। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৭ কোটি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৩৫ লাখ ১৪ হাজার ২৯৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২২ লাখ ৩৭ হাজার ২৫২ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাত কোটি ৫১ লাখ ১৬ হাজার ৭৪ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন দুই কোটি ৬৭ লাখ ৬৭ হাজার ২২৯ জন। মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৫২ হাজার ২৭৯ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি সাত লাখ ৫৮ হাজার ৬১৯ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৪২৮ জন।

আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ৯২ লাখ ৪ হাজার ৭৩১ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ২৪ হাজার ৫৩৪ জনের।

আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া চতুর্থ স্থানে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ লাখ ৫০ হাজার ৪৩৯ জন। ভাইরাসটিতে মারা গেছে ৭৩ হাজার ১৮২ জন।

আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে যুক্তরাজ্য বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮ লাখ ১৭ হাজার ১৭৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছে এক লাখ ছয় হাজার ১৫৮ জন।

এদিকে আক্রান্তের তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম এবং জার্মানি দশম স্থানে আছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।

বিশ্বে করোনায় ১০ কোটি ৩১ লাখ মানুষ সংক্রমিত

বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ৩১ লাখ ছাড়িয়েছে। এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ২২ লাখ ২৯ হাজারের বেশি মানুষ।

মহামারির শুরু থেকে বিশ্বের সব দেশ ও অঞ্চলের করোনা সংক্রমণের হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ করছে ওয়ার্ল্ডোমিটারস নামের একটি ওয়েবসাইট। তার সর্বশেষ তথ্য বলছে, আজ রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার ২৩৪। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ২২ লাখ ২৯ হাজার ২৩৪ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ৩৪২।

বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৬৬ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪০। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৮১ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯১। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩১২ জন।

ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯১ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭৫। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৯৭১ জন।

তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। যুক্তরাজ্য পঞ্চম। ফ্রান্স ষষ্ঠ। স্পেন সপ্তম। ইতালি অষ্টম। তুরস্ক নবম। জার্মানি দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে একই বছরের ১১ জানুয়ারি।

গত বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।

গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’।

গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল শনিবারের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৭৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ১১১ জনের। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৭ জন।

বাংলাদেশে প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানানো হয় গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানানো হয় গত বছরের ১৮ মার্চ।

ট্রাম্পকে হুমকি দেয়ায় খামেনির নামে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল টুইটার

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হুমকি দেয়ার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনির নামে একটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার।

টুইটারের এক মুখপাত্রের দাবি, এই অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করা হয়েছে। তাই ‘@খামেনেই_সাইট’ নামে ওই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করা হয়েছে। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।

টুইটার আরও জানিয়েছে, খামেনির যে অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেটি হল @খামেনেই_ফা। যা এখনও সচল রয়েছে। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে খামেনির তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়ায়া যায়নি।

খামেনির ওই অ্যাকাউন্টে শুক্রবার পোস্ট করা একটি ছবি এবং সেই সঙ্গে হুমকির বার্তা ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। ওই অ্যাকাউন্টে এক গল্ফারের ছবি পোস্ট করা হয়েছে।

যাকে দেখতে অনেকটা আমেরিকার সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতোই। তাকে একটি ড্রোন থেকে হামলা করার ছবি ওই অ্যাকাউন্টে পোস্ট করার এক ঘণ্টা পরই শুক্রবার খামেনির নামে করা অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয় টুইটার।

আমেরিকার ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের সেনা কম্যান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানির বদলা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল অ্যাকাউন্টটি থেকে।

সিঙ্গাপুর বিএনপির সভাপতি ফিলিপ, সাধারণ সম্পাদক কামরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিঙ্গাপুর শাখা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে শামসুর রহমান ফিলিপকে সভাপতি এবং মোহাম্মদ কামরুলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এদিকে নবনির্বাচিত সিঙ্গাপুর বিএনপির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাকিরুল ইসলাম খান শাকিল ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মধ্যপ্রাচ্য সাংগঠনিক সমন্বয়ক সৌদি আরব বিএনপির সভাপতি আহমদ আলী মুকিব।

এক অভিনন্দন বার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, নবনির্বাচিত  সভাপতি শামসুর রহমান ফিলিপ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুলের নেতৃত্বে আগামী দিনে বহির্বিশ্বে অবৈধ সরকার পতন আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রাখবে সিঙ্গাপুর বিএনপি। একই সঙ্গে দলের অগ্রযাত্রাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রকৃত মুক্তির আন্দোলনে এ কমিটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

বাইডেন-কমলাকে বিশ্ব নেতাদের শুভেচ্ছা

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন জো বাইডেন। তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করেন কমলা হ্যারিস। বুধবার (২০ জানুয়ারি) প্রখ্যাত মার্কিন সংগীত শিল্পী লেডি গাগার কণ্ঠে আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত দিয়েই শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। তারপরই শপথ বাক্য পাঠ করতে বেগুনি রঙের ব্লেজার পরে মঞ্চে আসেন কামালা হ্যারিস। তাকে শপথ পড়ান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সোনিয়া সোটোমায়র। এর পর তাদের জন্য শুভেচ্ছার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। বাইডেন-হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন বিভিন্ন দেশ, সংস্থা ও জোটের প্রধানরা। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন বাইডেন ও কমলা।

শপথ নেওয়া পরপরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটবার্তায় দু’জনকেই উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান। ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোদি।

পিছিয়ে নেই পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। তিনি টুইটারে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অভিষেকের জন্য অভিনন্দন জানাই। বাণিজ্যিক-অর্থনৈতিক চুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক এবং এর বাইরে উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী পাক-মার্কিন অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করার অপেক্ষায় থাকলাম।’

ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল দু’জনের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন। শিগগিরই হোয়াইট হাউজে নতুন বন্ধু পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্রিটিশ সংস্করণ বলে পরিচিত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইটারে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের জন্য জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসকে তার ঐতিহাসিক অভিষেকের জন্য অভিনন্দন। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে কোভিড পর্যন্ত যেসব বিষয় আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেসব ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।

ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ভিডিওবার্তা পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইটারে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অভিষেকের জন্য অভিনন্দন জানাই। বাণিজ্যিক-অর্থনৈতিক চুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক এবং এর বাইরে উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী পাক-মার্কিন অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করার অপেক্ষায় থাকলাম।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, আজকের দিনটা চমৎকার। জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের প্রশাসন যাত্রা শুরু করল। আমরা গণতন্ত্র এবং আরও ন্যায্য, টেকসই ও সর্বাত্মক বিশ্বব্যাপী শাসন ব্যবস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করব।

এছাড়াও বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ, চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস প্রমুখ।

রাশিয়া অনেক ভ্যাকসিন দিতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারত থেকে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) করোনাভাইরাসের ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসছে। তবে বুধবার (২০ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং- বিষয়ক এক অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন ভারত থেকে আগামীকাল ৩৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসছে।

পরবর্তীতে বিকেলে মন্ত্রীর বক্তব্যের সংশোধনী দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মন্ত্রী ৩৫ লাখ ডোজের কথা বলেছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ। বেক্সিমকো প্রথম দফায় আনবে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন।

মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ভারত উপহার হিসেবে করোনার ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দেবে। এছাড়া চুক্তির আওতায় প্রথম চালান হিসেবে ১৫ লাখ ভ্যাকসিন দেশে আসবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগামীকাল সব মিলিয়ে ৩৫ লাখ ভ্যাকসিন দেশে আসবে। দেশে ভ্যাকসিন আসার পরই তা দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হবে।

ভ্যাকসিনের কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে জানিয়ে তিনি আরও জানান, ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে আমরা এখন যথেষ্ট নিশ্চিত।

রাশিয়া, চীনসহ আরও কয়েকটি দেশ বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান আব্দুল মোমেন। তিনি জানান, রাশিয়া অনেক ভ্যাকসিন দিতে চায়। এই দলে চীনও আছে।

চীন কোনো উপহার দিচ্ছে কি না, সে সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না।

শেষবেলায়ও সৌজন্য নেই ট্রাম্প-মেলানিয়ার

হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আজ শেষ দিন। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প চলে যাবেন। যাওয়ার আগে জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ বা বিদায়বেলায় করমর্দনের কোনো কর্মসূচি রাখেননি ট্রাম্প। ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের কর্মসূচিও একই ধরনের। উত্তরসূরি ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে কোনো আমন্ত্রণ জানাননি তিনি।

ট্রাম্প নিজেই জয়েন্ট এন্ড্রু বেস থেকে নিজের ফেয়ারওয়েল নেবেন। স্থানীয় সময় দুপুরে জো বাইডেনের শপথ নেওয়ার আগেই তিনি বোয়িং-৭৪৭ নিয়ে ফ্লোরিডার মার এ লাগোতে যাবেন। জো বাইডেন শপথ নেওয়ার ঠিক আগমুহূর্ত পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের উড়োজাহাজে এয়ারফোর্স ওয়ান সাইন থাকবে। এয়ারফোর্স ওয়ানের সাইন নিয়েই ফ্লোরিডা যাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প।

ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও স্বামীর পথেই হাঁটছেন। ট্রাম্পের মতোই আচরণ করেছেন তাঁর স্ত্রী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও। প্রথা অনুযায়ী পূর্বসূরি ফার্স্ট লেডি উত্তরসূরিকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান। নানা কক্ষ ঘুরে দেখান। হোয়াইট হাউসে বসবাসের বিষয়ে নানা তথ্য দেন। মেলানিয়াও উত্তরসূরি ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে কোনো আমন্ত্রণ করেননি।

জো বাইডেনের মেয়ে অ্যাশলি বাইডেন বলেছেন, মেলানিয়া ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য লঙ্ঘন করেছেন। তবে অ্যাশলি বাইডেন বলেন, টি অ্যান্ড টুর নামে পূর্বসূরি এবং উত্তরসূরি ফার্স্ট লেডিদের অনুষ্ঠান না হলেও তাঁরা নিজেরা ঠিক আছেন। ঠিক থাকবেন।

জো বাইডেন ও জিল বাইডেন ।

জো বাইডেন ও জিল বাইডেন । 
রয়টার্স ফাইল ছবি।

জো বাইডেনের প্রতি শেষ সৌজন্যও দেখাননি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথা অনুযায়ী উত্তরসূরি প্রেসিডেন্টকে নিতে পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট এয়ারফোর্সের বিমান পাঠান। ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও ওয়াশিংটনে শপথ নিতে আসার জন্য নিউইয়র্কে এয়ারফোর্সের বিমান পাঠিয়েছিলেন পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

তবে বাইডেনের ক্ষেত্রে তা করেননি ট্রাম্প। বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে ভাড়া করা বিমানে ওয়াশিংটন ডিসিতে যেতে হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ভাড়া করা বোয়িং-৭৩৭ বিমানে এন্ড্রু জয়েন্ট বেসে নামেন জো বাইডেন। তখন রানওয়েতে এয়ারফোর্সের বিমানটি দাঁড়িয়ে ছিল।

জো বাইডেন অবশ্য শপথ নিতে উইমলিংটন শহর থেকে দেড় ঘণ্টার পথ ট্রেনে করেই ওয়াশিংটন ডিসিতে যেতে চেয়েছিলেন। সিনেটর হিসেবে ৩০ বছর ধরে তিনি এভাবে যাত্রা করেছেন। নিরাপত্তার জন্য গোয়েন্দা বিভাগ থেকে এমন যাত্রা না করতে তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয়।

জো বাইডেন যখন ওয়াশিংটনে নামেন, তখন হোয়াইট হাউস থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ মিনিটের ভিডিও বার্তা অবমুক্ত করা হয়। জাতির উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর উত্তরসূরি জো বাইডেনের নামটাও মুখে নেননি। জানাননি কোনো অভিনন্দন। আমেরিকার সংস্কৃতিতে এসবই এক বিরল ঘটনা।

আজ বুধবার ওয়াশিংটন সময় মধ্যদুপুরে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা) যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস। কংগ্রেস ভবন পেছনে রেখে নির্মিত হয়েছে সুউচ্চ মঞ্চ। এখানে দাঁড়িয়েই শপথ নেবেন তাঁরা। তাঁদের শপথ পড়াবেন যথাক্রমে প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ও বিচারপতি সোনিয়া সটোমাইয়র।

অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন হাজারখানেক অতিথি, যাঁদের অধিকাংশই কংগ্রেস সদস্য ও বাইডেন-হ্যারিস পরিবারের লোকজন। থাকবেন বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ অনুষ্ঠানের ঘণ্টা তিনেক আগে স্ত্রী মেলানিয়াসহ ওয়াশিংটন ছেড়ে চলে যাবেন ফ্লোরিডায়।