আসামে কারফিউ শিথিল, ইন্টারনেট এখনও বন্ধ

ভারতের আসাম রাজ্যে কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। রাজধানী গুয়াহাটিতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে কারফিউ। তবে নিরাপত্তার কারণে ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে।

শুক্রবার অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আসু) শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আবেদন জানায়। আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বিক্ষোভকারীদের সংযত হওয়ার আহ্বান জানান। ফলে সেখানে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে আসাম, ত্রিপুরাসহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলোতে বিক্ষোভ চলছে। আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে হাজারও মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর, যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া মতো ঘটনাও ঘটে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে আধাসামরিক বাহিনী নামানো হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। কারফিউ জারি করা হয় গুয়াহাটিতে। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই চলে আন্দোলন। তবে রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে রাজ্যে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

আসাম পুলিশের ডিজি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত শুক্রবার রাতে জানান, পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। নতুন করে যাতে সহিংসতা ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে রাজ্যজুড়ে।

তার দাবি, মানুষের উপর জোর করে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করছে না পুলিশ। সাধারণ মানুষ যাতে বাইরে বেরিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারে, সে কারণে লাগাম অনেকটাই আলগা করা হয়েছে। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে বলে জানিয়েছেন মহন্ত।

আসাম ছাড়াও ত্রিপুরা, মেঘালয়েও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছড়িয়ে প়ড়েছে। বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও। মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়েও পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় শুক্রবারেও। দিল্লিতেও জামিয়া-মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্বিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পশ্চিমবঙ্গের উলুবেড়িয়া, বেলডাঙাতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রেল ও সড়ক অবরোধ করা হয়। ভাঙচুর চালানো এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া মতো ঘটনাও ঘটেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *