পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে একসাথে লড়াই করার লক্ষ্যে কংগ্রেস এবং বাম নেতৃত্ব আজ বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা সম্পন্ন করলেন।
যদিও কে ক’টি আসন পাচ্ছেন তা নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানালেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। একই কথা জানান সিপিএম-এর বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র. মহম্মদ সেলিমরা।
যদিও ভারতীয় গণমাধ্যমের ধারণা পশ্চিমবঙ্গে এবারের নির্বাচন হতে চলেছে বিজেপির সাথে তৃণমূলের লড়াই , বাম এবং কংগ্রেস নেতাদের দাবি লড়াই হবে আসলে ত্রিমুখী।
অধীরের মতে, আগামী দিনে বাংলায় সরকার গড়তে চাইছে বাম-কংগ্রেস জোট।
“এবার লড়াই হবে ত্রিমুখী। অর্থাৎ বাম-কংগ্রেস জোট একই সঙ্গে লড়বে বিজেপি এবং তৃণমূলর বিরুদ্ধে,” অধীর আরও বললেন।
তাঁর মতে, বাম এবং কংগ্রেসকে ছোট করে দেখলে ভুল করবে গণমাধ্যম। “কয়েকটি ছোট ছোট দল যেমন ইন্ডিয়ান সেক্যুলাকর ফ্রন্ট, আরজেডি, ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি এই জোটে অংশ নিতে চাইছে। তাঁদের জন্যও জায়গা ছাড়বে জোটের দুই বড় শরিক,” বলেন অধীর বাবু, যিনি ভারতের লোকসভাতে কংগ্রেসের নেতা।
এবার বিধানসভায় যে বাম-কংগ্রেস জোট করে লড়বে তা স্থির হয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু ধোঁয়াশা ছিল আসন সমঝোতা নিয়ে। আজকের বৈঠক থেকে অধীর-বিমানরা বার্তা দিতে চাইলেন, আর কোনো দোলাচল নেই।
জোটে প্রায় ৪০টি আসন চেয়েছিল হুগলিতে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। মালদহেই তাঁদের ৬টি আসনের দাবি ছিল। এইসব শর্তাশর্ত পেরিয়ে সেকুলার ফ্রন্টকে কি জোটসঙ্গী করবে বাম-কংগ্রেস, এখন প্রশ্ন সেটাই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে হানা দিতে জোটে আইএসএফ-কে চাইছে বাম-কংগ্রেস।
কে কত আসনে প্রার্থী দিচ্ছে, কেন বলতে চাইছেন না জোটের মুখ্য শরিকরা? অধীর চৌধুরীর যুক্তি, “বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে বিগত কয়েক দিনে। বেশ কিছু ছোট দল আমাদের হাত ধরতে চাইছে। আমরা যদি আগে থেকে ঘোষণা করে দিই কংগ্রেস এবং বামেদের আসন রফা, তাহলে তাঁদের কাছে ঠিক বার্তা যাবে না।”
অধীর জানাচ্ছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রকে প্রাধান্য দিতে চায় যে রাজনৈতিক দল, তাঁদের সম্মান দিতে চায় বাম কংগ্রেস।
“আগামীকাল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সাথে কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতাদের মিটিংয়ে আশা করা যাচ্ছে আসনসংখ্যা চূড়ান্ত হবে ,”জানিয়েছেন এক সূত্র।