করাচি হামলার নেপথ্যে রয়েছে ভারত, দাবি ইমরান খানের

করাচি হামলার নেপথ্যে রয়েছে ভারত, দাবি ইমরান খানের

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে স্টক এক্সচেঞ্জের অফিসে হামলার ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে তিনি এই দাবি করেন।

তিনি বলেন, ‘আমার কোনো সন্দেহ নেই যে, করাচি হামলার নেপথ্যে রয়েছে ভারত। বিগত দুমাস ধরেই এমন হামলার আশঙ্কা করছিলেন আমাদের গোয়েন্দারা। এই বিষয়ে আমার মন্ত্রিসভার সদস্যরাও জানেন।’ তবে সোমবার নয়াদিল্লি পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জ হামলায় ভারতের কোনো হাত নেই। খবর দ্য প্রিন্ট।

গত সোমবার পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে ভবনে হামলা  সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হন। মৃতদের মধ্যে দুজন সাধারণ নাগরিক ও কমপক্ষে চারজন বালুচ বিদ্রোহী রয়েছে বলে জানা যায়। হামলার ঘটনার কিছুক্ষণ পরে বিষয়টির দায় স্বীকার করে ‘বালুচ লিবারেশন আর্মি’।

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বহুদিন ধরে কেন্দ্রীয় শাসকদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ রয়েছে। তাদের অভিযোগ, বেলুচিস্তানের খনিজ সম্পদ উত্তোলন করে তা বেলুচিস্তানের প্রকৃত প্রয়োজনে না লাগিয়ে কেন্দ্রীয় শাসকগোষ্ঠী নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়ছে।

গত মাসেই বালুচ বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন ৯ পাকিস্তানি সেনা। প্রদেশটিতে ক্রমেই জোরাল হচ্ছে স্বাধীনতার দাবি। রাস্তায় নেমে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। আন্দোলন দমাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।

পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পাকিস্তানি সেনাদের অমানুষিক অত্যাচার। এরকম  পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেছেন হাজার হাজার মানুষ।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সালে স্বাক্ষর হওয়া একটি চুক্তির ভিত্তিতে চীন-পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি নির্মাণকার্য শুরু হয়েছে। চীনের প্রস্তাবিত ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ নীতির ওপর ভিত্তি করে তাদের অর্থ সাহায্যেই এই করিডর তৈরি হচ্ছে। পাকিস্তানের গদর পোর্ট থেকে চীনের শিনজিং প্রদেশ পর্যন্ত মোট দুই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথটি তৈরি করা হচ্ছে।

তবে এই করিডর নিয়ে প্রথম থেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন বালুচিস্তানসহ গিলগিট, বালতিস্তান ও পিওকের জনগণ। তাদের অভিযোগ, পেশিশক্তির জোরপূর্বক তাদের বাসভূমি কেড়ে নিয়ে এই করিডর তৈরি করছে পাকিস্তান। এই অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানি প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন বালুচ নাগরিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *