চীনের মধ্যস্থতায় আগামীকাল ত্রিপক্ষীয় বৈঠক

চীনের মধ্যস্থতায় আগামীকাল ত্রিপক্ষীয় বৈঠক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক শুরু হচ্ছে। এই বৈঠকে আগামী বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে এবং রাখাইন রাজ্যের সুনির্দিষ্ট গ্রাম ধরে তালিকা করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টিতে জোর দেবে বাংলাদেশ।

তিন দেশের পররাষ্ট্রসচিবকে নিয়ে এ ধরনের বৈঠক এটিই প্রথম। তবে এই বৈঠকে নাটকীয় কিছু ঘটবে, এমনটা আশা করছেন না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশের প্রত্যাশার বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ চায় যত শিগগির সম্ভব প্রত্যাবাসন শুরু হোক। চীনের সহায়তায় বৈঠকটি হচ্ছে। আগেও চীন একবার তারিখ দিয়েছিল, কিন্তু মিয়ানমার রাজি না থাকায় বৈঠকটি হয়নি।’

প্রত্যাবাসনের জন্য ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ছয় দফায় মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৩৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মিয়ানমার মাত্র ৪২ হাজার রোহিঙ্গার নাম যাচাই-বাছাই করে ফেরত পাঠিয়েছে। তবে তালিকা পরিবারভিত্তিক হওয়ার কথা থাকলেও মিয়ানমারের ফেরত পাঠানো তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন
ফাইল ছবি

এমন পরিস্থিতিতে আলোচনায় বাংলাদেশের অগ্রাধিকার নিয়ে জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, অতীতে যা হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সুতরাং, একই ভুল বা একই পথে যাওয়ার কোনো অর্থ নেই। বিক্ষিপ্তভাবে রোহিঙ্গাদের তালিকা না পাঠিয়ে সুনির্দিষ্ট গ্রাম ধরে তালিকার মাধ্যমে বাস্তবসম্মত উপায়ে প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করা যেতে পারে। যাচাই–বাছাইয়ের পর যে তালিকা এসেছে, সেখান থেকে গ্রামভিত্তিক তালিকা করা যায়। সেই সংখ্যা এক থেকে দুই হাজার হতে পারে। বিষয়টি চীনকেও বলা হয়েছে।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বাংলাদেশ চায় বর্ষার আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হোক। তবে সবকিছু নির্ভর করছে মিয়ানমারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *