বেক্সিমকোর আনা করোনা ভ্যাকসিন ছাড়পত্র দিল ঔষধ প্রশাসন

কোনো সমস্যা না পাওয়ায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আনা করোনার ভ্যাকসিন ছাড়পত্র দিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

বিস্তারিত আসছে…

অটোপাস নয়, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই: শিক্ষামন্ত্রী

অটোপাস নয়, ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গতকাল সোমবার রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) সদ্য স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’-এর উন্মোচন এবং ১৫৯তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীরা তিন থেকে চার মাস প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাবে।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, চলতি বছরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য তিন থেকে চার মাসে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে—এমন একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। যার ভিত্তিতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

অটোপাসের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনো রকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যেভাবে আন্দোলন করা হচ্ছে, তাতে বরং করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। সব রকমের স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। সুতরাং এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আরও বলেন, ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল, কিন্তু সে সময় সংক্রমণের হার বেশি থাকায় সরকার তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অটোপাসের চিন্তা করেছে। কিন্তু ২০২১ সালে যারা পরীক্ষার্থী, তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। তারা তো তেমন প্রস্তুতি নিতে পারেনি। সুতরাং তাদের অটোপাস দেওয়া সম্ভব নয়। সংক্রমণও আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নায়েমে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে ত্যাগ, তিতিক্ষা ও সংগ্রাম প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু তার সবকিছুই করেছেন।

নায়েমের মহাপরিচালক আহম্মেদ সাজ্জাদ রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।

১১ দিনে ‘মাইনাস’ ১১!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনকে সামনে রেখে তফসিল ঘোষণার পরপরই পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়। তবে গঠনের ১১ দিন অর্থাৎ ১৩ থেকে ২৩ জানুয়ারির মধ্যে পদত্যাগ করেছেন ঘোষিত কমিটির ১১ নেতা।

পদত্যাগের এক প্রকার হিড়িক পড়ায় দলটিতে ‘ঝড়’ বইছে। পৌরসভার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা তো দূরের কথা এখন দলের পরিস্থিতি নিয়েই সাধারন কর্মীদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলছে নানা ধরণের সমালোচনা।

পদত্যাগকারী নেতারা হলেন- পৌর বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি মো. বাহার মিয়া, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান (কাউন্সিলর), সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. মন্তাজ মিয়া (কাউন্সিলর), সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাবুল, সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক দুলাল ভুইয়া, সাবেক উপদেষ্টা মো. এলাই মিয়া, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ মালদার, ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মশিউর রহমান বাবুল, সাবেক ৬নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মো সহিদুল ইসলাম, আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম রানা, সদস্য রহিজ খান। তারা জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

পদত্যাগপত্রে বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, কমিটির আহবায়ক হিসেবে অন্য উপজেলার ইউনিয়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদককে নির্বাচিত করা। দলের কারো সঙ্গে পরিচিতি নেই এমন অনেক ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা, বিলুপ্ত কমিটির ১০১ জনের মধ্যে মাত্র সাতজনকে নতুন কমিটিতে স্থান দেয়ার বিষয়টি পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান গত ১৩ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সেলিম ভূইয়াকে আহবায়ক ও আক্তার খানকে সদস্য সচিব করে আখাউড়া পৌর বিএনপির ৩১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। গত ১৬ জানুয়ারি জিল্লুর রহমান নিজের ফেসবুকে আইডিতে এটি পোস্ট করেন।

নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেলিম ভূইয়া সদর উপজেলার বরিশল গ্রামের বাসিন্দা ও সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক। এছাড়া লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারি আব্দুর রহমান ওরফে সানির চাচাতো ভাই হলেন সেলিম ভূঁইয়া। মূলত সানির বড় ভাই বরিশল গ্রামের বাসিন্দা ও ভূইয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কবির আহমেদের হাত ধরেই সেলিম ভূঁইয়া দলে প্রবেশ করেছেন বলে আলোচনা আছে।

নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, সেলিম ভূঁইয়া পৌর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে কখনোই জড়িত ছিলেন না। পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ড বিএনপির কেউই তাকে চিনেন না। সদস্য সচিব আক্তার খান একজন শ্রমিক নেতা। তার সঙ্গেও পৌর বিএনপির কারো সম্পর্ক নেই। সদ্য বিলুপ্ত আখাউড়া পৌর বিএনপির ১০১এক সদস্যের কমিটি থেকে মাত্র সাতজনকে আহবায়ক কমিটিতে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শাহাদাত হোসেনকে সদস্য পদেও রাখা হয়নি। নবঘোষিত আহবায়ক কমিটির ২৪জন সদস্যের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া অন্যরা কখনোই বিএনপির দলীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

নেতা-কর্মীরা জানান, গত ২৪ ডিসেম্বর আখাউড়া পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান কমিটি বিলুপ্তির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, সংশ্লিষ্ট পৌরসভার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। কিন্তু জিল্লুর রহমান পৌর কমিটির কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে পদত্যাগ করা সাবেক সভাপতি মো. বাহার মিয়া জানান, রাজনৈতিক কারণে ১৯৯৯ সালে তিনি এক মাস কারাভোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। ২০১৩ সালে তার ছেলে ও ভাতিজার নামে দুটি মামলা হয়েছে যা চলমান।

শনিবার রাতে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘আমার মতো অনেক ত্যাগী নেতাকেই বর্তমান আহবায়ক কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই অন্য উপজেলার লোকজনকে আহবায়ক করা হয়েছে। আমরা তার নেতৃত্বে থাকবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিএনপির রাজনীতিকে ঘরে ঢুকিয়ে ফেলা হয়েছে। এভাবে তো আর রাজনীতি করা সম্ভব না।’

পদত্যাগ করা মন্তাজ মিয়া বলেন, ‘বর্তমান আহবায়ক কমিটির অধিকাংশ সদস্যই অতীতে কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন না।’ আতিকুর রহমান বলেন, ‘এখন কমিটিতে নতুন নতুন মুখ। বাহার ভাই ছাড়া সবাই রাজনৈতিকভাবে আমার ছোট।’

জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. জিল্লুর রহমান অবশ্য সাংবাদিকদেরকে জানান, পদ না পেলে অনেকেই অনেক কিছু বলেন। দলে ইয়ং ফোর্স দরকার বলে সেভাবেই নতুন কমিটি দেয়া হয়েছে। যারা পদত্যাগ করেছেন তাঁরা মূলত পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন।

দেশে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ

সরকার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জাতীয় ভ্যাকসিন কার্যক্রমের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। মারাত্মক এই ভাইরাসের প্রকোপ দূর করতে ১৩.৮২ কোটি লোকের প্রত্যেককে ভ্যাকসিনের দুটি করে ডোজ দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা তথ্য অনুযায়ী, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাঁচটি ধাপে তিনটি পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার ভারতের উপহার হিসেবে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার ২০ লাখ ডোজ বাংলাদেশে এসে পৌঁছে।

কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ (অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন) সংগ্রহের জন্য বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মাধ্যমে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এসআইআই) সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রোববার সচিবালয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি অনুযায়ী অক্সর্ফোড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড-১৯ টিকার (ভ্যাকসিন) তিন কোটি ডোজের মধ্যে প্রথম ধাপে ৫০ লাখ টিকা সোমবার বাংলাদেশে আসবে।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের ২০ লাখ টিকা দিয়েছে ভারত সরকার। চুক্তি অনুয়ায়ী কাল আসবে ৫০ লাখ। এরপর পর্যায়ক্রমে বাকী টিকা আসবে। এসব ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পরের ধাপে টিকা আসলে ঢাকাসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কোথায় তা রাখা হবে সেটিও ঠিক করে রাখা হয়েছে।’

তিনি জানান, আগামী ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে নার্সদের থেকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

‘ভ্যাকসিন কীভাবে প্রয়োগ করা হবে সেজন্য আমাদের জাতীয় কমিটি আছে। তারা এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি শেষ করেছেন,’ বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিয়ে কিছু কথাবার্তা হচ্ছে। অনেকে বলছেন ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে। অনেক ওষুধেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। তাই এই ভ্যাকসিনে যে সেটি হবে না, তা বলতে পারছি না।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনেক ভ্যাকসিনেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় । করোনা ভ্যাকসিনে যদি কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, সেজন্য আমরা প্রতিটি হাসপাতালে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রেখেছি।’

ভ্যাকসিন গ্রহণে মানুষকে কীভাবে আশ্বস্ত করা হবে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এই পর্যন্ত যতগুলো ভ্যাকসিন পৃথিবীতে রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি, এসব ভ্যাকসিন থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম হয়েছে। ভারত ও যুক্তরাজ্যে লাখ লাখ ভ্যাকসিন প্রয়োগ হয়েছে। তাই এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের প্রয়োজন নেই।’

তিনি আরো বলেন, ভ্যাকসিন কাউকে জোর করে দেয়া হবে না। ভ্যাকসিন স্বাধীনভাবে যে যে নিতে চায় তাকেই দেয়া হবে।

মন্ত্রী জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আগে ফ্রন্টলাইনারদের ভ্যাকসিন দেব। পর্যায়ক্রমে যাদের ভ্যাকসিন লাগবে তাদের সবাইকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে এখনো বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আনার অনুমতি দেয়া হয়নি। যদি কেউ বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন দিতে চায়, সে বিষয়ে আমরা পরে দেখব।’

৩ পর্যায়ে ৫ ধাপে মোট ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হবে।

স্বাস্থ্যকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক ও অন্যান্য বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার কর্মচারী এবং ধর্মীয় নেতারা প্রথম ধাপে টিকা পাবেন।

প্রথম পর্যায়ে টিকা পাবেন ১ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৯ জন। দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকা পাবেন ১ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার। তৃতীয় পর্যায়ে টিকা পাবেন ১০ কোটি ৩৬ লাখ ৮৪ হাজার মানুষ।

প্রথম পর্যায়ের প্রথম ধাপ

প্রথম ধাপে ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ২৮২ জন টিকা পাবেন। তার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত ১০ লাখ ৫২ হাজার, মুক্তিযোদ্ধা ২ লাখ ১০ হাজার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সেনা ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্য ৯ লাখ ৭ হাজার ৫৩২ জন, সরকারি কর্মকর্তা ৫০ হাজার, ফ্রন্টলাইনের সাংবাদিক ৫০ হাজার টিকা পাবেন।

এছাড়াও জনপ্রতিনিধি ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৯৮, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কর্মী ১ লাখ ৫০ হাজার, ধর্মীয় নেতা ৫ লাখ ৪১ হাজার, দাফন ও সৎকারে নিয়োজিত কর্মী ৭৫ হাজার, ওয়াসা, ডেসা, তিতাস ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ৪ লাখ, সমুদ্র ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মী ১ লাখ ৫০ হাজার, ব্যাংক কর্মী ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬২১ জন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন রোগী ৬ লাখ ২৫ হাজার, জরুরি ও মহামারি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মী ৭৭ হাজার ৮০৪ জন টিকা পাবেন।

দ্বিতীয় ধাপ

সারাদেশে টিকাদানের দ্বিতীয় পর্যায়ে এক কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার জন টিকা পাবেন। এর মধ্যে ৫৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী ৫৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫৭ প্রবীণ নাগরিক, কো-মরবিডিটিসহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা ৩০ লাখ ২১ হাজার ৯৩৬ জন, শিক্ষক ও সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মী ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩ জন, প্রথম পর্যায়ে বাদ পড়া গণমাধ্যম কর্মী ৫০ হাজার, দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী ১০ লাখ ১১ হাজার ২২৮ জন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের ১০ লাখ সদস্য, ৫ লাখ গণপরিবহন কর্মী, ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৬৪ জন হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং ওষুধের দোকানের কর্মী, ৩৬ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক, দেড় লাখ যৌনকর্মী ও তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যকে টিকা দেয়া হবে।

তৃতীয় ধাপ

তৃতীয় ধাপে দুই স্তরে বাংলাদেশের সর্বাধিক সংখ্যক লোককে টিকা দেয়া হবে।

পরিকল্পনা অনুসারে, তৃতীয় ধাপে দুই পর্যায়ে মোট ১০ কোটি ৩৬ লাখ ৮৪ হাজার জনকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এর মধ্যে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার প্রথম পর্যায়ে এবং ৬ কোটি ৯১ লাখ ২৩ হাজার দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকা পাবে।

তৃতীয় ধাপে যারা টিকা পাবেন তারা হলেন- টিকা পাননি এমন শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬ লাখ ৬৭ হাজার ২০৪ শিক্ষক ও কর্মচারী, প্রসূতি (অনুমোদন সাপেক্ষে) ৩৮ লাখ ১৫ হাজার ২০১ জন, অন্যান্য সরকারি কর্মচারী ১২ লাখ ১৭ হাজার ৬২ জন, অন্য আইন প্রয়োগকারী কর্মী ৪৩ লাখ, অন্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কর্মী ৬ লাখ, অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ২২ লাখ, রপ্তানি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মী ২০ লাখ ৮১ হাজার ৮৮৪, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বন্দর কর্মী ২৫ লাখ, কয়েদি ও জেলকর্মী ১ লাখ ৫৮৬, শহরের বস্তিবাসী বা ভাসমান জনগোষ্ঠী ২২ লাখ ৩২ হাজার ১১৪, কৃষি ও খাদ্য সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মী ১৬ লাখ ৫০ হাজার, ডরমেটরির বাসিন্দা ৫ লাখ, গৃহহীন জনগোষ্ঠী ২ লাখ, অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মী ৫১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৪, বাদ পড়া গণপরিবহন কর্মী ৩ লাখ, বাদ পড়া ৫০ থেকে ৫৪ বছর বয়সী নাগরিক ৬৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩২৩, জরুরি ও মহামারি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মী ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯, বাদ পড়া যুব জনগোষ্ঠী ৩ কোটি ২২ লাখ ৩৪ হাজার, শিশু ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী ৩ কোটি ২২ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৭ এবং পূর্বের ধাপে বাদ পড়া ৮ কোটি ৪২ লাখ ৫৯৭ জনকে চূড়ান্ত ধাপে টিকা দেয়া হবে।

ঝেড়ে ফেলুন নেতিবাচক মনোভাব

আমাদের চারপাশে প্রায়ই বিভিন্ন অত্যাচার, নিপীড়ন, দুর্নীতি এবং সহিংস কর্মকান্ডের খবর পাই। দৈনন্দিন জীবনে এই সহিংস ঘটনাগুলো আমাদের মস্তিষ্কে কতটা প্রভাব ফেলছে অথবা কতটা নেতিবাচক মানসিকতা তৈরি হওয়ার কারণে দিনের পর দিন এমন নৃশংস কর্মকান্ড বেড়ে চলছে, তা কি আমাদের উদ্বেগের বিষয় নয়?

২০১৮-১৯ এর মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ বা দুই কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নানাভাবে মানসিক রোগে আক্রান্ত। এছাড়া ১৩.৬ শতাংশ শিশু রয়েছে যারা যে কোনো অনাকাক্সিক্ষত, অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রভাবে নানাভাবে মানসিক সমস্যায় ভোগে এবং বিপর্যস্ত থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বা পারিপার্শ্বিক নানা পরিবর্তন আসার পরেও তারা সেই ট্রমা থেকে বের হয়ে আসতে পারে না। এবার আসি মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সামাজিক ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।  জীবনে সফলতা যেহেতু ব্যর্থতার চেয়ে অনেক বেশি দৃশ্যমান তাই সফলতার সুযোগকেই মানুষ অতি মূল্যায়ন করে। বেঁচে থাকার চেয়ে এখন টিকে থাকার দৌড়েই মানুষ ব্যস্ত। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কে কার চেয়ে বেশি এগিয়ে গেল, কার কত বেশি অর্জন-এই প্রতিযোগিতা মানুষকে অনেকটাই হতাশার দিকে ঠেলে দেয়। কারণ জয়ের কদরের চেয়ে পরাজয়ের ক্ষতিকে আমরা বেশি ভয় পাই। তার মানে এই না আমরা সফলতার উদযাপন করব না। অবশ্যই করব, কিন্তু অন্যকে অবমূল্যায়ন করে নয়।

অন্যদিকে, টিকে থাকার দৌড়ে সাময়িকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর মাঝে চলে আসে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ভীতি। ব্যর্থতা তাদের যতটা না গ্রাস করে, তার চেয়ে বেশি সেই প্রতিযোগী মনোভাব তাদের দুর্বল করে তোলে এবং মানসিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে। তাই ঝেড়ে ফেলুন নেতিবাচক মনোভাব। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টান, হয়ে উঠুন ইতিবাচক।

কুমিল্লায় ঘরে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে স্কুলছাত্রীকে (৯) ধর্ষণের অভিযোগে দুলাল মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার দাউদকান্দি মডেল থানায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আসামি ও ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাড়ি একই গ্রামে। এজাহারের বরাত দিয়ে এমদাদুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলছাত্রীকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসামি। ঘটনার পর ওই ছাত্রী কান্না করায় পরিবারের সদস্যরা কারণ জানতে চাইলে সে ধর্ষণের কথা জানায়। এজাহারে বলা হয়েছে, এ ঘটনা নিয়ে ছাত্রীর অভিভাবকেরা গ্রামের আরও বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনার পর মামলার সিদ্ধান্ত নেন।

এমদাদুল হক শনিবার বলেন, ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

ট্রাম্পকে হুমকি দেয়ায় খামেনির নামে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল টুইটার

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হুমকি দেয়ার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনির নামে একটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার।

টুইটারের এক মুখপাত্রের দাবি, এই অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করা হয়েছে। তাই ‘@খামেনেই_সাইট’ নামে ওই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করা হয়েছে। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।

টুইটার আরও জানিয়েছে, খামেনির যে অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেটি হল @খামেনেই_ফা। যা এখনও সচল রয়েছে। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে খামেনির তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়ায়া যায়নি।

খামেনির ওই অ্যাকাউন্টে শুক্রবার পোস্ট করা একটি ছবি এবং সেই সঙ্গে হুমকির বার্তা ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। ওই অ্যাকাউন্টে এক গল্ফারের ছবি পোস্ট করা হয়েছে।

যাকে দেখতে অনেকটা আমেরিকার সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতোই। তাকে একটি ড্রোন থেকে হামলা করার ছবি ওই অ্যাকাউন্টে পোস্ট করার এক ঘণ্টা পরই শুক্রবার খামেনির নামে করা অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয় টুইটার।

আমেরিকার ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের সেনা কম্যান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানির বদলা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল অ্যাকাউন্টটি থেকে।

‘নায়ক রাজ’ রাজ্জাকের জন্মদিন

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক রাজ রাজ্জাকের ৭৯তম জন্মদিন আজ (২৩ জানুয়ারি)। ১৯৪২ সালের এই দিনে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কলকাতার থিয়েটারে অভিনয় করার মাধ্যমে রাজ্জাক তার অভিনয় জীবন শুরু করেন।

সিনেমার নায়ক হওয়ার অদম্য স্বপ্ন ও ইচ্ছা নিয়ে রাজ্জাক ১৯৫৯ সালে ভারতের মুম্বাইয়ের ফিল্মালয়ে সিনেমার ওপর পড়াশোনা ও ডিপ্লোমা করেন। এরপর কলকাতায় ফিরে এসে শিলালিপি ও আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেন। তবে ১৯৬৪ সালে কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কবলে পড়ে রাজ্জাক তার পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় এসে রাজ্জাক ‘উজালা’ সিনেমায় পরিচালক কামাল আহমেদের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন।

ষাটের দশকে সালাউদ্দিন পরিচালিত হাসির সিনেমা ‘তেরো নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’ এ একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রাজ্জাক ঢাকায় তার অভিনয় জীবনের সূচনা করেন। যদিও এর আগেই চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছিল এই অভিনেতার। এরপর নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে নায়ক রাজের যাত্রা শুরু হয় জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। ‘বেহুলা’ সিনেমায় সুচন্দার বিপরীতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেন রাজ্জাক।

১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সঙ্গেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়ক রাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা। এ ছাড়া রাজ্জাক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন।

রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘ময়নামতি’, ‘মধু মিলন’, ‘পিচ ঢালা পথ’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘কী যে করি’, ‘অবুঝ মন’, ‘রংবাজ’, ‘বেঈমান’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অশিক্ষিত’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘বাদী থেকে বেগম’ ইত্যাদি। প্রায় ৩০০ সিনেমায় নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক।

সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন চিত্রনায়ক রাজ্জাক। প্রযোজক হিসেবে নায়ক রাজের যাত্রা শুরু ‘রংবাজ’ ছবিটি প্রযোজনার মধ্য দিয়ে। এটি পরিচালনা করেছিলেন জহিরুল হক। রাজ্জাকের বিপরীতে ছিলেন কবরী। ববিতার সঙ্গে জুটি বেঁধে নায়করাজ প্রথম নির্দেশনায় আসেন ‘অনন্ত প্রেম’ চলচ্চিত্র দিয়ে। এই ছবিটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে আছে। নায়ক হিসেবে এ অভিনেতার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল শফিকুর রহমান পরিচালিত ‘মালামতি’। এতে তার বিপরীতে ছিলেন নূতন।

নায়করাজ রাজ্জাক সর্বশেষ তার বড় ছেলে নায়ক বাপ্পারাজের নির্দেশনায় ‘কার্তুজ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চলচ্চিত্রে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রয়াত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামও অভিনয় করেছিলেন। চাষী নজরুল ইসলামের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমায়ও রাজ্জাক অভিনয় করেছিলেন।

২০১৭ সালের ২১ আগস্ট নায়করাজ চলে যান না ফেরার দেশে।

মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ২৩৪২৫ টাকা

বেড়েই চলছে বৈদেশিক ঋণের বোঝা। দেশের প্রতিটি মানুষের ঘাড়ে এই মুহূর্তে (গত জুন পর্যন্ত) ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ৫২ পয়সা করে বৈদশিক ঋণ রয়েছে।

আজ যে শিশু জন্মগ্রহণ করবে, ওর মাথায়ও এই ঋণের বোঝা চাপবে। এদিকে দিনে দিনে কমছে সহজ শর্তের বা স্বল্পসুদের ঋণ। ইতোমধ্যে ঋণের সুদ ও শর্ত বাড়িয়েছে উন্নয়নসহযোগীরা।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশ থেকে নেওয়া ঋণের অর্থ সঠিক এবং প্রয়োজনীয় প্রকল্পে ব্যয় করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, চড়া সুদসহ বিভিন্ন কঠিন শর্তে ঋণ নিয়েও প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে সরকার। কিন্তু সেই টাকার যদি কার্যকর ব্যবহার না হয় কিংবা রিটার্ন ঠিকমতো না আসে, তাহলে সাধারণ মানুষের ঘামের টাকায় পরিশোধ করা এই ঋণের প্রকৃত উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে পারে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ‘ফ্লো অব এক্সটার্নাল রিসোর্স ইন টু বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে (গত জুন পর্যন্ত) বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি রয়েছে ৪ হাজার ৪০৯ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) দাঁড়ায় ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮৯৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ধরে হিসাব করলে প্রত্যেকের মাথায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।

এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ৩ হাজার ৮৪৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলার এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ৩ হাজার ৩৫১ কোটি ১৮ লাখ ডলার।

এ প্রসঙ্গে ইআরডির সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম যুগান্তরকে বলেন, আমাদের ঋণের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে এবং সক্ষমতাও রয়েছে। আরও বেশি ঋণ নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোসহ যেসব খাতে ঋণের টাকা খরচ করলে বেশি রিটার্ন আসবে, সেসব খাতেই ঋণ নেওয়া উচিত।

সেই সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধসহ যথাসময়ে প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বাস্তবায়ন দেরি হলে খরচ বেড়ে যায় এবং যথাসময়ে প্রকল্প থেকে সবিধা পাওয়া যায় না।

ইআরডির সর্বশেষ প্রকাশিত ‘ফ্লো অব এক্সটার্নাল রিসোর্স ইন টু বাংলাদেশ’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট যে পরিমাণ ঋণের স্থিতি রয়েছে, এর মধ্যে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জাপান, সুইজারল্যান্ড, ইউএসএ, দক্ষিণ কোরিয়া, ডেনমার্ক ও জার্মানি বা কেএফডব্লিউ মিলে মোট ঋণ ৮২৫ কোটি ১০ লাখ ডলার।

এছাড়া বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি), ইফাদ, ওপেক, এশিয়ান ইনফ্রাসট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) এবং ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) মিলে মোট ঋণের স্থিতি ২ হাজার ৯১০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার।

এসবের বাইরে চীন, ভারত, স্পেন, যুগোস্লাভিয়া, রাশিয়া এবং বেলারুশ মিলে মোট ঋণের স্থিতি ৫১৩ কোটি ৫৯ লাখ ডলার এবং সাপ্লায়ার্স ক্রেডিড (সরবরাহ ঋণ) হিসাবে চীনের কাছ থেকে নেওয়া আছে আরও ১২৮ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। তবে বেশি সুদে ঋণ নিলেও তা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে মনে করছে ইআরডি।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের মানদণ্ডে জিডিপির ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের স্থিতি যে কোনো দেশের জন্য নিরাপদ। বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ জিডিপির সাড়ে ১৫ শতাংশের নিচেই রয়েছে।

সূত্র জানায়, দিনে দিনে চড়া সুদের বৈদেশিক ঋণ বাড়ছে। সেই সঙ্গে থাকছে অধিক শর্তও। আগে যেসব উন্নয়নসহযোগী সংস্থার কাছ থেকে সুদবিহীন কিংবা নামমাত্র সুদে ঋণ পাওয়া যেত, এখন সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ এবং দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি বিবেচনায় সস্তা ঋণ পাওয়া থেকে বাদ পড়ছে দেশ। এছাড়া আগে থেকেই কমে গেছে অনুদান। এক্ষেত্রে ১৯৭১-৭২ অর্থবছরে প্রাপ্ত বিদেশি সহায়তার ৮৬ শতাংশ অর্থ এসেছিল দ্বিপক্ষীয়ভাবে। এসব সহায়তার সিংহভাগই ছিল অনুদান। ঋণ হিসাবে আসা দ্বিপক্ষীয় সহায়তার সুদের হার ছিল বেশি।

পরিশোধের সময়ও ছিল কম। রাষ্ট্র খাতের কলকারখানা সচল রাখা এবং বিদ্যুৎসহ অবকাঠামো তৈরির জন্য বাংলাদেশের হাতে তখন বিকল্প ছিল না। ১৯৭১-৭২ অর্থবছরে বৈদেশিক অর্থ সহায়তার মাত্র ১৪ শতাংশ পাওয়া গিয়েছিল বহুপক্ষীয় সংস্থা থেকে। এরপর ১৯৭২-৭৩ সময়ে বৈদেশিক সহায়তার ৩৮ শতাংশ এসেছিল খাদ্য বাবদ, প্রায় ৫২ শতাংশ উপকরণ ও ১০ শতাংশ উন্নয়ন প্রকল্পে। সহায়তার ৮৯ শতাংশ ছিল অনুদান আর ১১ শতাংশ ছিল ঋণ।

২০০৮-০৯ অর্থবছরে মোট বৈদেশিক সহায়তার ৬৪ শতাংশ ঋণ, অনুদান এসেছিল ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি। প্রকল্প সহায়তা বাবদ এসেছে ৯৯ শতাংশ অর্থ, খাদ্য সহায়তা ১ শতাংশের মতো। এরপর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছাড় হওয়া বিদেশি সহায়তার ৯৯ দশমিক ২০ শতাংশই এসেছে প্রকল্প সহায়তা হিসাবে। এর মধ্যে ঋণ ছিল ৮৭ শতাংশ। আর অনুদান ছিল মাত্র সাড়ে ১২ শতাংশ। এভাবে অনুদান কমছে আর বাড়ছে ঋণের পরিমাণ।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, এটা ঠিক আগের তুলনায় বেশি সুদ বা শর্তযুক্ত ঋণ বাড়ছে। কিন্তু বর্তমানে যে স্থিতি রয়েছে, এর অধিকাংশই সহজ শর্তের এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ।

এক্ষেত্রে মাথাপিছু হিসাব করার চেয়ে দেশের অর্থনৈতিক আকারের সঙ্গে তুলনা করা যৌক্তিক হবে। কেননা বিশ্বব্যাংক ও আইএমএ-এর মতে, একটি দেশের ঋণ ধারণের যে মাপকাঠি, এর অনেক নিচে রয়েছে বাংলাদেশ। সুতরাং ঋণ পরিশোধ করতে না পারার ঝুঁকি কম। এরকম কোনো ঘটনা অতীতেও হয়নি, ভবিষ্যতে হয়তো হবে না।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আর্থিক দুর্যোগ, ঋণের ফাঁদে পড়া কিংবা ঋণদাতাদের আস্থা হারানোর শঙ্কা কম। তবে যেটি মুখ্য বিষয় সেটি হলো-ঋণ ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার সঠিক হতে হবে। অর্থাৎ যে উদ্দেশ্যে ঋণ নেওয়া হচ্ছে, সেটি যেন সঠিক হয়। বিনিয়োগের রিটার্ন যেন আসে। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ইআরডি সূত্র জনায়, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ঋণের কঠিন শর্ত ও উচ্চ সুদ কার্যকর করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি সুদের হার শূন্য থেকে বাড়িয়ে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ কার্যকর করেছে। এর সঙ্গে আগে থেকে অব্যাহত থাকা সার্ভিস চার্জ দশমিক ৭৫ শতাংশ বলবৎ রয়েছে।

তাই সব মিলিয়ে এখন সুদের হার দাঁড়িয়েছে ২ শতাংশ। এছাড়া ঋণ পরিশোধের সময়ও কমিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি। অর্থাৎ আগে আইডিএ তহবিল থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধে সময় পাওয়া যেত ৩৮ বছর আর রেয়াতকাল ছিল ৬ বছর। এখন ৮ বছর কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রেয়াতকাল কমিয়ে করা হয়েছে ৫ বছর। এছাড়া জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছ থেকে বার্ষিক শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ সুদহারে ঋণ পেত বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ১০ বছরের রেয়াতকালসহ ৪০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি সময়ে এই ঋণ পরিশোধের সুযোগ ছিল।

কিন্তু এখন সুদহার বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ করেছে জাইকা। তাছাড়া পরিশোধের ক্ষেত্রে রেয়াতকাল ঠিক থাকলেও পরিশোধের সময় ১০ বছর কমিয়ে করা হয়েছে ৩০ বছর।

এভাবে সস্তা ঋণ কমে যাওয়ায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় বেশি সুদ বা শর্তযুক্ত ঋণের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে সরকারকে। বেশি সুদ ও শর্তযুক্ত ঋণ যেসব দেশ থেকে নেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম চীন, রাশিয়া, ভারত, ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি)-সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক উৎস।

সিঙ্গাপুর বিএনপির সভাপতি ফিলিপ, সাধারণ সম্পাদক কামরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিঙ্গাপুর শাখা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে শামসুর রহমান ফিলিপকে সভাপতি এবং মোহাম্মদ কামরুলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এদিকে নবনির্বাচিত সিঙ্গাপুর বিএনপির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাকিরুল ইসলাম খান শাকিল ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মধ্যপ্রাচ্য সাংগঠনিক সমন্বয়ক সৌদি আরব বিএনপির সভাপতি আহমদ আলী মুকিব।

এক অভিনন্দন বার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, নবনির্বাচিত  সভাপতি শামসুর রহমান ফিলিপ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুলের নেতৃত্বে আগামী দিনে বহির্বিশ্বে অবৈধ সরকার পতন আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রাখবে সিঙ্গাপুর বিএনপি। একই সঙ্গে দলের অগ্রযাত্রাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রকৃত মুক্তির আন্দোলনে এ কমিটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।