বেক্সিমকোর আনা করোনা ভ্যাকসিন ছাড়পত্র দিল ঔষধ প্রশাসন

কোনো সমস্যা না পাওয়ায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আনা করোনার ভ্যাকসিন ছাড়পত্র দিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

বিস্তারিত আসছে…

কুমিল্লায় ঘরে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে স্কুলছাত্রীকে (৯) ধর্ষণের অভিযোগে দুলাল মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার দাউদকান্দি মডেল থানায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আসামি ও ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাড়ি একই গ্রামে। এজাহারের বরাত দিয়ে এমদাদুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলছাত্রীকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসামি। ঘটনার পর ওই ছাত্রী কান্না করায় পরিবারের সদস্যরা কারণ জানতে চাইলে সে ধর্ষণের কথা জানায়। এজাহারে বলা হয়েছে, এ ঘটনা নিয়ে ছাত্রীর অভিভাবকেরা গ্রামের আরও বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনার পর মামলার সিদ্ধান্ত নেন।

এমদাদুল হক শনিবার বলেন, ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ এম আর খানের মেয়ের

‘ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি যে বাবার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই একটি চক্র আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরবে। আমি চিন্তাও করতে পারিনি, ডাক্তার এম আর খানের সহায় সম্পত্তিকে গ্রাস করবে। আমি বাবার একমাত্র সন্তান এবং কন্যাসন্তান। আমার কোনো ভাই নেই। সেই আমাকেই কেউ আমার ন্যায্য উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করবে।’

আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলছিলেন প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এম আর খানের মেয়ে ম্যান্ডি করিম।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি’ এবং ‘সেন্ট্রাল হাসপাতাল’ জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের অভিযোগে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ম্যান্ডি করিমের স্বামী রেজা করিম ও তাঁদের আইনজীবী তামিম রহমান উপস্থিত ছিলেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন নাট্যকার মামুনুর রশীদ।

বিজ্ঞাপন

ম্যান্ডি করিম বলেন, ‘বাবার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আমার পাওনা শেয়ার, উত্তরাধিকার এবং ট্রাস্টি পদ থেকে আমাকে কৌশলে সরিয়ে রাখা ও বঞ্চিত করা হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমার কোনো অধিকার নেই, আমি এম আর খানের কেউ নই। আমার বাবা প্রয়াত অধ্যাপক এম আর খানকে ভালোবেসে এবং তাঁর ওপর ভরসা করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার নাম “সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি”।

ম্যান্ডি করিম বলেন, ‘আমার বাবা যখন হাসপাতালে মৃত্যুপথযাত্রী, তখন গাজী সালাম নামের এক ব্যক্তি চক্রান্ত ও জালিয়াতি করে ইউনিভার্সিটির সকল প্রকার রেজুলেশন, ডকুমেন্টস এবং ট্রাস্টি বোর্ডের তালিকা থেকে আমার বাবার নাম বাদ দিয়ে দেন। আমার বাবা এবং ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যান্য সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তিনি এ কাজ করেন। আমার বাবার নাম বাদ দিয়ে নিজেকে ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান করে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েদের সমন্বয়ে একটি ভুয়া ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে জমা দেন।’

ম্যান্ডি করিম অভিযোগ করেন, ‘আমার বাবার অসুস্থতার সুযোগে তাঁর জমানো এফডিআরের টাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির নামে আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকে জমা দেন গাজী সালাম। এসবের বিষয়ে আমি বা আমার পরিবারের কোনো সদস্য কিছুই জানতাম না। আমি অবগত হওয়ার পর একটি চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসিকে জানাই। এবং আমার বাবার অনুপস্থিতিতে আমাকে চেয়ারম্যান করে নতুন একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের অনুরোধ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন (বাঁ থেকে) নাট্যকার মামুনুর রশীদ, ডা. এম আর খানের জামাতা রেজা করিম, মেয়ে ম্যান্ডি করিম ও তাঁদের আইনজীবী তামিম রহমান। সাগর-রুনি মিলনায়তন, ডিআরইউ, ২০ জানুয়ারি

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন (বাঁ থেকে) নাট্যকার মামুনুর রশীদ, ডা. এম আর খানের জামাতা রেজা করিম, মেয়ে ম্যান্ডি করিম ও তাঁদের আইনজীবী তামিম রহমান। সাগর-রুনি মিলনায়তন, ডিআরইউ, ২০ জানুয়ারি
 ছবি: প্রথম আলো

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অধ্যাপক এম আর খান ছিলেন অ্যাডভান্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। তাঁর এই ফাউন্ডেশনের নামে তিন বিঘা জমি বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। সেই জমিটিও বেদখল হয়ে গেছে। এম আর খানের হাতে গড়া অ্যাডভান্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন থেকেও অত্যন্ত কৌশলে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডে পরিবারের কাউকেই রাখা হয়নি। নানা মানুষের কাছ থেকে ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য করার কথা বলে কোটি কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে।

ম্যান্ডি করিম বলেন, তাঁর এক চাচাতো ভাই এই হাসপাতালে আমার বাবার শেয়ারের অংশ দাবি করে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে প্রভাবিত হয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালের বর্তমান পরিচালনা পরিষদ আজ অবধি কোনো বোর্ড মিটিংয়ে শেয়ার ট্রান্সফারের ব্যাপারটি উপস্থাপন করেননি। এ ছাড়া ধানমন্ডিতে আরও একটি প্রতিষ্ঠান নিবেদিতা নার্সিং হোম, যা এম আর খান প্রতিষ্ঠা করেন। এখানেও সেই সেন্ট্রাল হাসপাতালের মতো কয়েকজন পরিচালক তাঁকে সব কার্যক্রম থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। এই প্রতিষ্ঠানের তিনজন পরিচালক আবার সেন্ট্রাল হাসপাতালেরও পরিচালক।

রাজশাহীতে সার্জেন্টকে পেটানো যুবক শনাক্ত, মামলা

রাজশাহীতে তল্লাশিচৌকিতে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবকের নাম-পরিচয় শনাক্ত করেছে। তবে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এদিকে এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে মারপিটের শিকার সার্জেন্ট বিপুল ভট্টাচার্য বাদী হয়ে নগরের রাজপাড়া থানায় মামলা করেছেন।

অভিযুক্ত যুবকের নাম বেলাল হোসেন (২৬)। তিনি নগরের রাজপাড়া থানাধীন লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার শামসুল হকের ছেলে। বেলালকে ধরতে রাজপাড়া থানা ছাড়াও নগর পুলিশের একটি কেন্দ্রীয় বিশেষ টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (সদর) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে নগরের রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার ঐতিহ্য চত্বরের মোড়ে সার্জেন্ট বিপুল ভট্টাচার্যকে (৩২) কাঠের চলা দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন বেলাল। পরে আহত অবস্থায় বিপুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখন মেডিকেলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় তাঁর বাঁ হাত ভেঙে গেছে বলে চিকিৎসকের বরাতে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনের কাগজ পরীক্ষা–নিরীক্ষা করছিলেন সার্জেন্ট বিপুল ভট্টাচার্য (৩২)। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল আরোহী যুবককে থামিয়ে তাঁর মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। এ নিয়ে প্রথমে বিপুলের সঙ্গে ওই যুবকের কথা–কাটাকাটি হয়। পরে একপর্যায়ে ওই যুবক সার্জেন্ট বিপুলের ওপর হামলা করেন। ওই যুবক বিপুলকে কাঠের চলা দিয়ে পিটিয়ে জখম করে মোটরসাইকেল ফেলে রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে আহত সার্জেন্টকে হাসপাতালে নেয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হেলমেট না পরায় সার্জেন্ট ওই যুবককে থামায়। পরে হেলমেট না থাকায় এবং মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকার কারণে মামলা দিতে শুরু করলে আচমকা চেলাকাঠ নিয়ে এসে হামলা করেন বেলাল হোসেন।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, সার্জেন্টকে মারধরের ঘটনায় যুবক ছিলেন একজন। তাঁর নাম-পরিচয়-ঠিকানা শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় যুবকের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তিনি পালিয়ে গেছেন।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ওই যুবককে গ্রেপ্তারে নগর পুলিশের একটি বিশেষ কেন্দ্রীয় টিম কাজ করছে। দ্রুতই ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হবে।

গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিএনপির মিছিলে পুলিশের হামলা-একই পরিবারের ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা-প্রবাসে থেকেও মামলার আসামী!

নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ এর নির্বাচনকে বাংলাদেশের এক কলংকিত অধ্যায় আখ্যায়িত করে  ৩০ ডিসেম্বরকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো। ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ এও এর ব্যাত্যয় ঘটেনি। গোটা দেশজুড়ে অসংখ্য কর্মসূচী দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলো। এর মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ঢাকা জেলা ও মহানগর বিএনপি। কিন্তু দেশজুড়ে সমস্ত সভা-সমাবেশ, মিটিং-মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে আগাতে পারেনি – বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনুমতি মেলেনি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন অভি্যোগে সরকার-দল সমর্থিত ছাত্রলীগ/যুবলীগ ও পুলিশ-এর হামলায় গণতন্ত্র হত্যা দিবস পুরোপুরি পালন করা গেছে বলা যায়না। অসংখ্য গ্রেপ্তার, হাজারের-ও বেশির বিরূদ্ধে মামলা দেয়া, হয়রানি করার মতো অভিযোগ বিএনপি করেছে।

বিএনপির এইসব অভিযোগ অনুসন্ধান করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মিরপুরের রূপনগর থানায় ৩০ ডিসেম্বর বিক্ষোভ মিছিল হতে উলিয়ার হোসাইন ও এনামুল হক (দুজনেই একই পরিবারের সদস্য এবং বিএনপির সাবেক এমপি জহির উদ্দীন স্বপন এর ঘনিষ্ঠ সমর্থক) গ্রেপ্তার দেখানো হয় জি.আর মামলা নং – ৫২২০/২০২০ এ।

সেই একই মামলায় আরো সাত জনকে আসামী করা হয় এবং ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়। এই মামলায় ফৌজদারী আইনের ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত করা হয় আসামীদের। সম্প্রতি এই মামলার অগ্রগতি নিয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায় – যদিও উলিয়ার হোসাইন ও এনামুল হক জামিন পেয়েছেন, ঐ একই মামলায় তাদেরই আরেক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মোঃ শহীদুল ইসলাম-কে আসামী দেখানো হয়েছে যিনি গত ১২ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন বলে জানান তার পারিবারিক সূতর।

শুধু তা-ই না, মোঃ শহিদুল ইসলাম এর আরো তিন সহোদরকেও এবং তাদের আরেক মামা, আওলাদ হোসাইন, যিনি উলিয়ার হোসাইন এর ভাই, তাকেও সাম্প্রতিক সময়ে এই মামলার আসামী তালিকায় ওঠানো হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করে হাজতবাসী করা হয়েছে। এদের মধ্যে আওলাদ হোসাইন এর জামিন হয়েছে কিন্তু মোঃ মেজবাহ উল ইসলাম, মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং শফিকুল ইসলাম এখনো জামিন পাননি যদিও তারা জামিন পাওয়ার অধিকার রাখেন।

একই মামলায় মোঃ মইন উদ্দিন চৌধুরীকে দেখানো হয়েছে যিনি নিজেও যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বহু বচর ধরে। শহীদুল ইসলামের একজন পারিবারিক সদস্য নাম না প্রকাশ করার শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান – এইসব তাদের পরিবারে নতুন নয়। উলিয়ার হোসাইন দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতি করে আসার ফলে এবং পুরো পরিবার-ই বিএনপি সমর্থক হওয়ার কারণে এসব ভোগান্তি আগেও পোহাতে হয়েছে।

উলিয়ার হোসাইন এর বিপক্ষে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি জেল করা হচ্ছে গত ১০ বছর ধরে, তবে এইবারের ঘটনা একদমি নজিরবিহীন। এইভাবে পরিবারের প্রায় সব পুরূষকে অত্যাচার হেনস্থা করা হবে, এটা কেউই কল্পনায় আনেননি। স্থানীয় যুবদল নেতা জুয়েল বলেন এই ধরণের হয়রানি লাখ লাখ বিএনপি সমর্থক, নেতা কর্মীর জন্যে চরম অবমাননাকর এবং কষ্টের। একদল এক-রাষ্ট্র করবার জন্যে আওয়ামী লীগ এমন করছে বলে উনি জানান।

এই ব্যাপারে  গত রোববার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, অসংখ্য মৃত ব্যাক্তি, প্রবাসী ব্যাক্তিদের নামে যত্রতত্র মামলা দেয়া হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আদালত এইসমস্ত মামলা খারিজ না করে উলটো আমলে নেন যেকারণে মানুষের হয়রানি করবার সুযোগ পুলিশ পায়। আইনের শাসন না থাকলে এই-ই হয় বলে উনি জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৯৯টি আসনে একযোগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে। মোট ২৯৮ জন সংসদ সদস্যের নামে গেজেট জারি করা হয়।নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই জিতে ২৫৭টি আসনে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় দলটি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে। এই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোট পায় ৭টি আসন।

আইসিটির তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন সানাউল হক

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম. সানাউল হক। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি নিজে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবগত করেন।

সানাউল হক বলেন, আজ আমি তদন্ত সংস্থার সমন্বয়কের দায়িত্ব পাওয়ার অফিস আদেশ পেয়েছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান মারা যান। আব্দুল হান্নান খানের স্থলাভিষিক্ত হলেন এম সানাউল হক।

২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে এম. সানাউল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

তীব্র শীতে জবুথবু কেশবপুরের জনজীবন

মাঘের তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে কেশবপুরের মানুষের জীবন। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ঘন কুয়াশা থাকায় বেলা ১১টায়ও দেখা মেলেনি সূর্যের। সকাল ১০টায়ও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত হচ্ছে।

ঘন কুয়াশার কারণে যশোর-চুকনগর সড়কে যানবাহন কিছুটা হলেও কম চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে যে সকল যানবাহন চলাচল করছে সেগুলোর হেডলাইট জ্বালিয়ে নিয়েছে। যাত্রীবাহী বাসের এক চালক জানান, ‘ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে চালাতে হচ্ছে। অন্যদিনের তুলনায় আজ যাত্রী কম।’

মধ্যকুল গ্রামের কৃষক নওশের আলী বলেন, ‘সকালে ক্ষেতে ধানের পাতা (চারা) রোপণ করতে গিয়েছিলাম। মাঠের মধ্যে ঠান্ডা বাতাস বইছে। প্রচন্ড শীতে কাজ করত না পেরে ফিরে আসছি।’

ইঞ্জিন চালিত ভ্যান চালক খলিল হোসেন বলেন, প্রতিদিন ভোরে ভাড়ায় খাটতে ভ্যান নিয়ে বের হই। আজ বেলা ১১টায় বের হয়েও যাত্রী না পেয়ে বসে আছি।

পৌষসংক্রান্তির মাছের মেলায় ৭৫ কেজির বাগাড়

পৌষসংক্রান্তি বা মকরসংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। দিনটি উপলক্ষে নতুন ধানের চাল গুঁড়া করার ধুম পড়ে, ঘরে ঘরে তৈরি হয় নানান স্বাদের পিঠাপুলি। নদীমাতৃক গ্রামবাংলার কোথাও এখনো দিনটিতে বসে জমজমাট মাছের মেলা। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সে রকমই এক মাছের মেলায় সাড়া ফেলে দিয়েছে ৭৫ কেজির এক বাগাড়। বিক্রেতা মাছটির দাম হেঁকেছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা!

যুগ যুগের ঐতিহ্য মেনে দিনব্যাপী এ মেলা বসেছে আজ বুধবার শ্রীমঙ্গল শহরের নতুন বাজারে। পৌষসংক্রান্তি কাল বৃহস্পতিবার হলেও পুরো মৌলভীবাজারে বিভিন্ন স্থানে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই বসতে শুরু করেছে পৌষসংক্রান্তির মাছের মেলা। এসব মেলায় দূরদূরান্ত থেকে আসছে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় সব মাছ। এর বেশির ভাগই নদী-হাওর-পুকুরের দেশি মাছ। কোনো কোনোটি চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে ক্রেতাদের।

আজকের মেলায় এ রকমই একটি এই ৭৫ কেজির বাগাড়। মেলায় আসা সব মাছের মধ্যে সবার আকর্ষণ হয়ে উঠেছে বিশাল এই মাছ। মাছটি বাজারে এনেছেন হাফিজ আহমেদ নামের এক মাছ বিক্রেতা। দুপুর পর্যন্ত এই বাগাড়ের দাম উঠেছে ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু বিক্রেতা হাফিজ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা না হলে মাছটি বিক্রি করবেন না পণ করেছেন। প্রত্যেকে একবার হলেও মাছটির কাছে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। কেনার সাধ্য না থাকলেও নজর বোলাতে তো অসুবিধা নেই!

পৌষসংক্রান্তি বা মকরসংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়।

হাফিজ বলেন, তাঁর আনা বাগাড় মাছটির ওজন ৭৫ কেজি। এই মাছটি মেঘনা নদী থেকে ধরা হয়েছে। মাছটির দাম ৮০ হাজার টাকা উঠলেও আরও বেশি দামে বিক্রির অপেক্ষায় আছেন তিনি। প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম পাবেন বলে তিনি মনে করছেন।

সকালে মাছবাজারে দেখা যায়, বাগাড়টি ছাড়াও বড় বড় রুই, কাতলা, বোয়াল নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া রয়েছে বাগাড়, চিতল, আইড়, ব্রিগেড, সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। ক্রেতা ও বিক্রেতার আগমনে জমে উঠেছে মাছের এই মেলা। উৎসবমুখর পরিবেশে একেকজন ক্রেতা মাছ কিনে হাসিমুখে হাঁটা ধরছেন বাড়ির পথ।

জোনাইদ মিয়া নামের এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে শ্রীমঙ্গল মাছবাজারে বড় বড় মাছ উঠেছে। এ মাছগুলো হাকালুকি হাওর, হাইল হাওর ও মেঘনা নদী থেকে আনা হয়েছে।

পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে কমলগঞ্জের শমশেরনগর বাজারে বসেছে এই মাছের মেলা। আজ বুধবার দুপুরে

পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে কমলগঞ্জের শমশেরনগর বাজারে বসেছে এই মাছের মেলা। আজ বুধবার দুপুরে
প্রথম আলো

সনেট দেব চৌধুরী নামের এক ক্রেতা বলেন, সারা বছরের তুলনায় পৌষসংক্রান্তিতেই বেশি মাছ আসে। দূরদূরান্ত থেকে এখানে মাছ নিয়ে আসা হয়। এত বড় বড় মাছ একসঙ্গে সব সময় বাজারে ওঠে না। এই সময়ই পাওয়া যায় বলে ক্রেতা সমাগমও বেশি।

পৌষসংক্রান্তির মাছের মেলা বসেছে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর, শহীদনগর ও মুন্সীবাজারেও। মুন্সীবাজারে মাছের মেলা বসেছিল গতকাল। আজ সকাল থেকে মাছের মেলা বসেছে শমশেরনগর ও শহীদনগরে। সকাল থেকেই এই দুই মাছের মেলায় লেগেছে প্রচণ্ড ভিড়।

করোনা সংক্রমণের কারণে মৌলভীবাজারের শেরপুরে বৃহত্তর সিলেটের অন্যতম বৃহৎ মাছের মেলাটি এবার বসছে না। তাই এবার শমশেরনগরে ক্রেতাদের ভিড় বেশি।

সকালে শমশেরনগর মাছের মেলায় এক কোণে দেখা যায়, আড়তদার জোরে জোরে হাঁক দিচ্ছেন মাছের দাম। খুচরা বিক্রেতারা এসে কিনে নিচ্ছেন পছন্দের মাছ। আড়তদারের কাছে খুচরা ক্রেতাদের কেনার সুযোগ নেই। পাইকারি মাছ কিনে বিক্রেতারা তাঁদের থালায় সাজিয়েছেন বড় আকারের রুই, চিতল, কাতল, মৃগেল, কালবাউশ, বাউশ, গ্রাস কার্প, বোয়াল, পাবদা, শোল, গজার, তেলাপিয়া, আইড়, কমন কার্প (কার্পু), বাঘ মাছসহ নানা জাতের মাছ। মেলায় সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের রুই, বোয়াল, চিতল, কার্প, আইড় ও বাঘ মাছ উঠেছে।

এসব বড় মাছের একেকটির দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। তবে কেজি হিসাবে চাচ্ছেন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। শমশেরনগর মাছের মেলায় আসা ক্রেতা অলক সাহা ও বাচ্চু সেন শর্ম্মা বলেন, পৌষসংক্রান্তিতে বাসায় তৈরি হয় নানা ধরনের পিঠাপুলি। তার সঙ্গে মেলা থেকে বড় আকারের পছন্দের মাছ না কিনলে উৎসব জমে না।

পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে কমলগঞ্জের শমশেরনগর বাজারে বসেছে এই মাছের মেলা। আজ বুধবার দুপুরে

পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে কমলগঞ্জের শমশেরনগর বাজারে বসেছে এই মাছের মেলা। আজ বুধবার দুপুরে
প্রথম আলো

একই কথা জানান স্বপন ও সুজিত দেবনাথ নামের আরও দুই ক্রেতা। তাঁরা বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে মৌলভীবাজারের শেরপুরে বৃহত্তর সিলেটের অন্যতম বৃহৎ মাছের মেলাটি এবার বসছে না। তাই এবার শমশেরনগরে ক্রেতাদের ভিড় বেশি।

মাছের মেলায় দেখা যায়, যাঁদের সামর্থ্য আছে, তাঁরা পছন্দমতো বড় আকারের মাছ কিনছেন। আর স্বল্প আয়ের মানুষজন তুলনামূলক ছোট আকারের মাছ কিনছেন।
শমশেরনগর মাছের মেলায় মাছ বিক্রেতা মানিক মিয়া ও আবদুল মন্নান জানান, পৌষসংক্রান্তি কাল হলেও এখানে আজ গভীর রাত পর্যন্ত এক দিনব্যাপী মাছের মেলা থাকবে। দেশের বিভিন্ন হাওর অঞ্চল, ভৈরব, চাঁদপুর, ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে এখানে মাছ আনা হয়েছে।

মুন্সীবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল সাপ্তাহিক হাটবার বলে সেখানে সেদিনই এক দিনের মাছের মেলা বসেছিল। পতনঊষার ইউনিয়নের শহীদনগর বাজারেও আজ ছোট আকারে পৌষসংক্রান্তির মাছের মেলা বসেছে।

চট্টগ্রামে ধর্ষণের শিকার হওয়া ৬৪ শতাংশই শিশু-কিশোরী

কন্যাশিশুটির বয়স পাঁচ বছর। বাবা রিকশাচালক। মা মানুষের বাসায় কাজ করেন। ঘরে একাই থাকে শিশুটি। প্রতিবেশী এক নারী শিশুটিকে দেখাশোনা করেন। সারা দিন বাসায় একা থাকা শিশুটির মন চায় খেলতে। বাসার পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে শিকার হয় ধর্ষণের। স্থানীয় লোকজন ধর্ষণের অভিযোগে নির্মল চন্দ্র নামের স্থানীয় এক ব্যক্তিকে ধরে পুলিশে দেন। কিন্তু ‘দায়সারা’ তদন্ত শেষে আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।

গত বছরের ৪ মে বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানার বেলতলী ঘোনা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছিল। দুই দিন পর ৭ মে শিশুটি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেয়। সেখানে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয় সে। এ ছাড়া শিশুটির বাবা বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় নির্মলকে আসামি করে মামলা করেন। শারীরিক পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকেরা প্রতিবেদন দিয়েছেন, শিশুটি ধর্ষিত হয়েছে। শিশুটির ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির সঙ্গে নমুনা মিলিয়ে দেখেননি তদন্ত কর্মকর্তা।

রাজাপুরে ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঝালকাঠির রাজাপুরের মেডিকেলমোড় এলাকা থেকে ৫০ পিস ইয়বাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- উপজেলা সদর ইউনিয়নের তুলাতলা গ্রামের মো. সরোয়ারের ছেলে মো. মাইনুল ইসলাম (১৯), আলগী গ্রামের মো. সেকান্দার ভান্ডারীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (২০) ও মো. ইউনুচ হাওলাদারের ছেলে মো. ইমরান হোসেন (২০)।

বৃহস্পতিবার সকালে তাদের ঝালকাঠি আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল খুলনা মহাসড়কের মেডিকেল মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইমরান হোসেন দীর্ঘ দিন থেকে এলাকায় মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। অপর দু’জন তার সহযোগী।

রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে বুধবার রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার দায়ের করে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের ঝালকাঠি আদালতে পাঠানো হয়েছে।