রাজশাহীতে তল্লাশিচৌকিতে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবকের নাম-পরিচয় শনাক্ত করেছে। তবে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এদিকে এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে মারপিটের শিকার সার্জেন্ট বিপুল ভট্টাচার্য বাদী হয়ে নগরের রাজপাড়া থানায় মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত যুবকের নাম বেলাল হোসেন (২৬)। তিনি নগরের রাজপাড়া থানাধীন লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার শামসুল হকের ছেলে। বেলালকে ধরতে রাজপাড়া থানা ছাড়াও নগর পুলিশের একটি কেন্দ্রীয় বিশেষ টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (সদর) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে নগরের রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার ঐতিহ্য চত্বরের মোড়ে সার্জেন্ট বিপুল ভট্টাচার্যকে (৩২) কাঠের চলা দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন বেলাল। পরে আহত অবস্থায় বিপুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখন মেডিকেলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় তাঁর বাঁ হাত ভেঙে গেছে বলে চিকিৎসকের বরাতে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনের কাগজ পরীক্ষা–নিরীক্ষা করছিলেন সার্জেন্ট বিপুল ভট্টাচার্য (৩২)। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল আরোহী যুবককে থামিয়ে তাঁর মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। এ নিয়ে প্রথমে বিপুলের সঙ্গে ওই যুবকের কথা–কাটাকাটি হয়। পরে একপর্যায়ে ওই যুবক সার্জেন্ট বিপুলের ওপর হামলা করেন। ওই যুবক বিপুলকে কাঠের চলা দিয়ে পিটিয়ে জখম করে মোটরসাইকেল ফেলে রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে আহত সার্জেন্টকে হাসপাতালে নেয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হেলমেট না পরায় সার্জেন্ট ওই যুবককে থামায়। পরে হেলমেট না থাকায় এবং মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকার কারণে মামলা দিতে শুরু করলে আচমকা চেলাকাঠ নিয়ে এসে হামলা করেন বেলাল হোসেন।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, সার্জেন্টকে মারধরের ঘটনায় যুবক ছিলেন একজন। তাঁর নাম-পরিচয়-ঠিকানা শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় যুবকের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তিনি পালিয়ে গেছেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ওই যুবককে গ্রেপ্তারে নগর পুলিশের একটি বিশেষ কেন্দ্রীয় টিম কাজ করছে। দ্রুতই ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ এর নির্বাচনকে বাংলাদেশের এক কলংকিত অধ্যায় আখ্যায়িত করে ৩০ ডিসেম্বরকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো। ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ এও এর ব্যাত্যয় ঘটেনি। গোটা দেশজুড়ে অসংখ্য কর্মসূচী দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলো। এর মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ঢাকা জেলা ও মহানগর বিএনপি। কিন্তু দেশজুড়ে সমস্ত সভা-সমাবেশ, মিটিং-মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে আগাতে পারেনি – বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনুমতি মেলেনি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন অভি্যোগে সরকার-দল সমর্থিত ছাত্রলীগ/যুবলীগ ও পুলিশ-এর হামলায় গণতন্ত্র হত্যা দিবস পুরোপুরি পালন করা গেছে বলা যায়না। অসংখ্য গ্রেপ্তার, হাজারের-ও বেশির বিরূদ্ধে মামলা দেয়া, হয়রানি করার মতো অভিযোগ বিএনপি করেছে।