এক ‘সেক্সটেপ’ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে ফ্রান্স ফুটবল অধ্যায় প্রায় শেষ করে ফেলেছেন করিম বেনজেমা। তদন্তে আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত এই স্ট্রাইকারের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদন তার বিরুদ্ধে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ তারকাকে।
করিম বেনজেমা
এই কেলেঙ্কারির কারণে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফ্রান্স জাতীয় দল থেকে দূরে আছেন বেনজেমা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘সেক্সটেপ‘ ইস্যুতে সতীর্থ ফুটবলার ম্যাথু ভালবুয়েনাকে হুমকি দিয়েছেন। এরপর ফরাসি ফুটবলের প্রধানকর্তা নোয়েল লে গ্রাত বেনজেমার আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরার আভাস দেন।
যদিও পরবর্তীতে সুর পাল্টান তিনি। বন্ধ হয়ে যায় বেনজেমার ফ্রান্স দলের দরজা। এরপর অন্য দেশের হয়ে খেলার আবেদন জানান তিনি। বেনজেমার কাছে অবশ্য ঐচ্ছিকতা অনেক আগেই এসেছিল। ২০০৬ সালে আলজেরিয়ার হয়ে আফ্রিকান নেশনস কাপ খেলার সুযোগ ছিল তার। যদিও বেনজেমা বেছে নেন ফ্রান্সকে।
কোচের সঙ্গে খুনসুটি
এখন সেই আলজেরিয়ার হয়েই খেলার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। এ যাত্রায় তার সামনে সবচেয়ে বড় বাধা মামলার মারপ্যাচ। যেখানে অনেকটাই গেঁথে গেছেন তিনি। খুব শিগগিরই বেনজেমার ট্রায়াল শুরু হবে আদালতে। তার আইনজীবীর দাবি, রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার কাউকে কোনো ধরনের হুমকি দেননি এবং সেক্সটেপে তার সম্পৃক্ততা নেই।
বৃহস্পতিবার ফরাসি গণমাধ্যম এল’ইকুইপকে বেনজেমার আইনজীবী পল-আলবার্ট লেভিন্স বলেছেন, ‘তার বিচার করার সিদ্ধান্তটা অযৌক্তিক, অন্যায় এবং নিষ্ঠুরতা। এক্ষেত্রে বেনজেমার লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই।’ জাতীয় দল থেকে নির্বাসনে যাওয়ার আগে ফ্রান্সের হয়ে ৮১ ম্যাচ খেলেছেন বেনজেমা।