সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নির্মূল করতে না পারাটা আমাদের দুর্বলতা: তথ্যমন্ত্রী

স্বাধীনতার এত বছরেও দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নির্মূল করতে না পারাটা নিজেদের দুর্বলতা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ রোববার সকালে আওয়ামী লীগের পক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যাঁরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করেন না, সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনো বিষবাষ্প ছড়ায়। এখনো আমাদের ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে তাঁরা কথা বলেন ও আস্ফালন করেন। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশ থেকে তাঁদের নির্মূল করতে না পারাটা আমাদের দুর্বলতা। মহান শহীদ দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যাঁরা ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যে আস্ফালন করেন, তাঁদের নির্মূল করা। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলনের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আজকের দিনে আমাদের লক্ষ্য, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।’

মানুষের মুক্তচিন্তা ও বাক্‌স্বাধীনতার প্রশ্নে বাসদ ও বিএনপির নেতাদের অভিযোগের প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করেই বলা হচ্ছে, তাঁরা কথা বলতে পারেন না। আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেই বলছেন, কথা বলতে পারেন না। এতেই প্রমাণিত হয়, আসলে তাঁরা যত দরকার, তার চেয়ে বেশি কথা তাঁরা প্রতিদিন বলেন।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির পথ ধরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতাসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল।

পাকিস্তান সৃষ্টির আগেই ১৯৪৭ সালে যখন উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার আলোচনা চলছিল, তৎকালীন তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান তখন বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করেছিলেন। ঢাকায় ১৯৪৮ সালের ১১ জানুয়ারি যে আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল, সেই কর্মসূচি সফল করতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রথম বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জানুয়ারি তিনি গ্রেপ্তার হন। ১৫ জানুয়ারি মুক্তিলাভের পর তাঁর নেতৃত্বে ছাত্রসমাবেশ হয়েছিল এবং ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত তিনি কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকাকালে মাতৃভাষা আন্দোলনের জন্য তিনি সেখানে অনশন করেছিলেন। এই ইতিহাসটা অনেকে জানেন না।

এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দেন তাঁদের সামরিক সচিবেরা। রাত সোয়া ১২টার দিকে সর্বসাধারণের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আজ রোববার ভোর থেকে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি ফুল দিতে আসতে থাকেন শহীদ মিনারে।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আজ সকালে শহীদ মিনারে আসেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।

জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপি ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে: ওবায়দুল কাদের

দিনক্ষণ ঠিক করে সরকার পতনের ঘোষণা বিএনপির নতুন কোন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা, সে জন্য জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি শনিবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একথা বলেন।

এক বছরের মধ্যে সরকার পতনের ভাবনা বিএনপির আকাশ-কুসুম কল্পনা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা জন্মলগ্ন থেকেই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে আসছে।

‘সরকার পতনের সাইরেন বেজে গেছে’—বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার গ্লানি ঢাকতে বিএনপি নেতাদের এটি আত্মতুষ্টি লাভের অপচেষ্টা মাত্র।

জনবিরোধী কর্মসূচির কারণে জনগণ বিএনপিকে অনেক আগেই লালকার্ড দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে এবং পদ-পদবি ধরে রাখতে বিএনপির কিছু কিছু ফরমায়েশি নেতা ধান ভানতে শিবের গীত গেয়ে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের শেকড় মাটির অনেক গভীরে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি জনমানুষের আস্থা ইস্পাত কঠিন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ঠুনকো কোন জিনিস নয়—যে ধাক্কা লাগলেই পড়ে যাবে।

বিএনপির রাজনীতি বৈপরীত্যে ভরা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের কোন কোন নেতার মস্তিষ্ক অপপ্রচার আর গুজব তৈরির উর্বর কারখানা।

তিনি বলেন, সরকারের সবকিছুতেই অন্ধ সমালোচনা আর নেতিবাচকতা বিএনপির রাজনীতি। এ রাজনীতি থেকে বেরিয়ে না এলে জনগণই বিএনপিকে বিদায়ের সাইরেন বাজিয়ে দিবে।

কাদের মির্জাকে আ. লীগের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি, চূড়ান্ত বহিষ্কারের সুপারিশ

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে দলীয় গঠনতন্ত্রপরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করার জন্য আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে সুপারিশ করা হয়েছে।

আজ শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এটি পাঠানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে মিথ্যা, অশালীন ও আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে সংগঠনবিরোধী অশোভনীয় মন্তব্য ও নেতা-কর্মীদের হুমকি দিয়েছেন। এসব অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।’

এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে কল করা হয়। কিন্তু তিনি কল না ধরায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য কিংবা প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।

আজ সকালে কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জার ডাকে হরতাল চলাকালে তাঁর মিছিলে লাঠিপেটা করে পুলিশ।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধেই দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ করে আসছেন আবদুল কাদের মির্জা।

হাঁটুর নিচে মারতে বললেন কাদের মির্জা

কোম্পানীগঞ্জে অপরাজনীতি বন্ধের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি শনিবার বসুরহাট বাজারে লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।  কেউ অবস্থান কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা করলে হাঁটুর নিচে মারতে বলেছেন।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় এসব কথা বলেন তিনি। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তিনি।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি এবং ওসি (তদন্তকে) প্রত্যাহার এবং নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধের দাবিতে এ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে থানা ফটকের সামনে সারারাত অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বুধবার সকাল ৯টায় তা স্থগিত করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস হরতাল শেষে আবারও একই দাবিতে তিনি শুক্রবার ও শনিবার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল শনিবার বসুরহাট বাজারে অবস্থান কর্মসূচি করবেন কাদের মির্জা। আজকের কর্মসূচি থেকে আগামীকালের অবস্থান ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানান তিনি।

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হুশিয়ার করে কাদের মির্জা বলেন, বসুরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী থেকে অপরাজনীতি নির্মূল করা হবে।  কেউ বাধা দিতে এলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। লাঠি দিয়ে হাঁটুর ওপরে নয়, নিচে আঘাত করবেন।

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে সেদিন ৫ চীনা সেনাও নিহত হয়েছিল

পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় গত বছর ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ চীনা সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে নিহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছে।

ওই পাঁচ কর্মকর্তা ও সেনাকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার কথা জানিয়েছে চীনা কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন। চীনা সামরিক বাহিনীর পত্রিকা পিএলএ ডেইলি এমন খবর দিয়েছে।

নিহতদের মধ্যে পিএলএ জিংজিয়াংয়ের রেজিমেন্টাল কমান্ডার কিই ফাবো রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বাধীন পিএলএ নেতৃবৃন্দ নিহত কিই ভাবো, চেন হনজুসন, চেন জিয়ানগ্রোং, জিয়াও সিইউন ও ওয়াং জোরানকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।

ভারত বলেছে, সংঘাতে ৩০ চীনা সেনা নিহত হয়েছে। কিন্তু বেইজিং তা কখনই স্বীকার করেনি। ১০ ফেব্রুয়ারি এক খবরে ৪৫ চীনা সেনা নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে রুশ সংবাদ সংস্থা তাস।

গেল বছরের ১৫ জুনের ওই সংঘাতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে যা ছিল চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত।

টিসিংগুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কৌশল ইনস্টিটিউটের গবেষণা বিভাগের পরিচালক কিয়ান ফেং বলেন, হতাহতের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে এই ঘটনায় প্রচারিত ভুল তথ্যকে খণ্ডন করা হয়েছে। ভারতীয়দের চেয়ে যে চীনা সেনারা বেশি হতাহত হয়েছে বলে প্রচার করা হয়েছিল, তা আর ধোপে টিকল না।

অনলাইনে নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে ৩ বিয়ে, যুবক গ্রেফতার

বিভিন্ন নারীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রতারণা করে বিয়ের কথা বলে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মো. নাজমুল হাসান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তার স্ত্রী পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তার এসব প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ করার পর তা তদন্ত করে দোষী প্রমানিত হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

অভিযোগপত্রে ওই নারী উল্লেখ করেন, তার স্বামী অনেক মেয়েকে এভাবে প্রতারিত করেছেন। কিন্তু লোকলজ্জায় কেউ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে তিনি জানান।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে অভিযোগটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিএমপি’র শ্যামপুর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়। শ্যামপুর থানা পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে।

পরবর্তীতে থানায় ওই নারীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শ্যামপুর মডেল থানার ওসি মফিজুল আলম এবং এসআই দেবকুমার আচার্যের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা সাপেক্ষে ওই টিম তথ্যপ্রযুক্তি ও নানা গোয়েন্দা কৌশল অবলম্বন করে অভিযুক্ত মো. নাজমুল হাসানকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।

কিন্তু, চতুর আসামি বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। পুলিশও তার পিছু ছাড়েনি। অবশেষে ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার পৌর এলাকাধীন সয়াধানবাড়ি এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

আসামিকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি ভার্চুয়াল রিলেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে প্রতারণামূলক অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনসহ ইতোমধ্যে তিনটি বিয়ে করেছে বলে স্বীকার করেন।

সিরাজগঞ্জের যে স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেখানেও তিনি এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন বলে স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা যুগান্তরকে জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : হাই কোর্টের রায় আজ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় দুই দশক আগে বোমা পুঁতে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দেবেন হাইকোর্ট। গত ১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট দণ্ডপ্রাপ্তদের আপিলের শুনানি শেষে রায়ের এ তারিখ ঘোষণা করেন।

মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যারয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ১৩ জন কারাগারে এবং ১১ জন পলাতক। ১০ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই বছরের ২৪ আগস্ট রায়ের সব নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

এরপর তৎকালীন প্রধান বিচারপতির কাছে নথি উপস্থাপন করা হলে তিনি জরুরিভিত্তিতে পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেন। মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত শেষে কার্যতালিকায় দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াসিম আকতার, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর।

সেইসঙ্গে মেহেদি হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। আনিসুল ওরফে আনিস, মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান এবং সারোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেওয়া হয়।

মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যারয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ১৩ জন কারাগারে এবং ১১ জন পলাতক। ১০ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

পশ্চিমবঙ্গে ভোটের জন্য জোট চূড়ান্ত করল বাম-কংগ্রেস

পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে একসাথে লড়াই করার লক্ষ্যে কংগ্রেস এবং বাম নেতৃত্ব আজ বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা সম্পন্ন করলেন।

যদিও কে ক’টি আসন পাচ্ছেন তা নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানালেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। একই কথা জানান সিপিএম-এর বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র. মহম্মদ সেলিমরা।

যদিও ভারতীয় গণমাধ্যমের ধারণা পশ্চিমবঙ্গে এবারের নির্বাচন হতে চলেছে বিজেপির সাথে তৃণমূলের লড়াই , বাম এবং কংগ্রেস নেতাদের দাবি লড়াই হবে আসলে ত্রিমুখী।

অধীরের মতে, আগামী দিনে বাংলায় সরকার গড়তে চাইছে বাম-কংগ্রেস জোট।

“এবার লড়াই হবে ত্রিমুখী। ‌অর্থাৎ বাম-কংগ্রেস জোট একই সঙ্গে লড়বে বিজেপি এবং তৃণমূলর বিরুদ্ধে,” অধীর আরও বললেন।

তাঁর মতে, বাম এবং কংগ্রেসকে ছোট করে দেখলে ভুল করবে গণমাধ্যম। “কয়েকটি ছোট ছোট দল যেমন ইন্ডিয়ান সেক্যুলাকর ফ্রন্ট, আরজেডি, ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি এই জোটে অংশ নিতে চাইছে। তাঁদের জন্যও জায়গা ছাড়বে জোটের দুই বড় শরিক,” বলেন অধীর বাবু, যিনি ভারতের লোকসভাতে কংগ্রেসের নেতা।

এবার বিধানসভায় যে বাম-কংগ্রেস জোট করে লড়বে তা স্থির হয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু ধোঁয়াশা ছিল আসন সমঝোতা নিয়ে। আজকের বৈঠক থেকে অধীর-বিমানরা বার্তা দিতে চাইলেন, আর কোনো দোলাচল নেই।

জোটে প্রায় ৪০টি আসন চেয়েছিল হুগলিতে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। মালদহেই তাঁদের ৬টি আসনের দাবি ছিল। এইসব শর্তাশর্ত পেরিয়ে সেকুলার ফ্রন্টকে কি জোটসঙ্গী করবে বাম-কংগ্রেস, এখন প্রশ্ন সেটাই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে হানা দিতে জোটে আইএসএফ-কে চাইছে বাম-কংগ্রেস।

কে কত আসনে প্রার্থী দিচ্ছে, কেন বলতে চাইছেন না জোটের মুখ্য শরিকরা? অধীর চৌধুরীর যুক্তি, “বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে বিগত কয়েক দিনে। বেশ কিছু ছোট দল আমাদের হাত ধরতে চাইছে। আমরা যদি আগে থেকে ঘোষণা করে দিই কংগ্রেস এবং বামেদের আসন রফা, তাহলে তাঁদের কাছে ঠিক বার্তা যাবে না।”

অধীর জানাচ্ছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রকে প্রাধান্য দিতে চায় যে রাজনৈতিক দল, তাঁদের সম্মান দিতে চায় বাম কংগ্রেস।

“আগামীকাল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সাথে কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতাদের মিটিংয়ে আশা করা যাচ্ছে আসনসংখ্যা চূড়ান্ত হবে ,”জানিয়েছেন এক সূত্র।

মা ক্যানটিনে ৫ টাকায় মিলবে দুপুরের খাবার

কলকাতা পৌর করপোরেশনে গরিব মানুষের জন্য পাঁচ টাকায় দুপুরের খাবারের প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মা ক্যানটিন’। সোমবার ভার্চ্যুয়ালি এই ক্যানটিনের উদ্বোধন করেন তিনি। আপাতত ১টি করে মোট ১৬টি ক্যানটিন চালু হয়েছে পৌর করপোরেশনের ১৬টি প্রশাসনিক এলাকা বা বরাতে। এ জন্য প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১০০ কোটি রুপি।

মূলত বরার ক্যানটিনগুলোতে ব্যবস্থা করা হবে এ খাবারের। সেখানে পাঁচ টাকায় দুপুরে মিলবে প্রয়োজনীয় ভাতের সঙ্গে ডাল, সবজি ও ডিম। প্রতিদিন দুপুরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এসব ক্যানটিনে গিয়ে খাবার খেতে পারবে গরিব মানুষেরা। প্রতিদিন কাজের জন্য গ্রাম ও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে কলকাতায় আসেন অনেক গরিব মানুষ। মূলত তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

জানা গেছে, পরবর্তী সময় এই ক্যানটিন প্রকল্প চালু হবে রাজ্যের সবখানে। কলকাতা করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, করপোরেশনের ‘স্বনির্ভর গোষ্ঠী’ এসব ক্যানটিনের খাবার রান্না করবে। আর তা পরিবেশন করবে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

এর আগে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে গরিব মানুষের মুখে কম দামে আহার দিতে বাম দল কলকাতা শহরে চালু করেছিল শ্রমজীবী ক্যানটিন। প্রথম চালু করা হয় দমদমে গত বছরের মার্চের শেষ দিকে। চাঁদা তুলে ওই ক্যানটিন চালু করা হয়েছিল। এখনো কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় চালু রয়েছে এই ক্যানটিন। এসব ক্যানটিনে এখনো শ খানেক গরিব মানুষকে প্রতিদিন বিনা মূল্যে খাবার দেওয়া হয়। আর সাধারণ মানুষ খেতে চাইলে ২০ টাকা দিতে হয়। এই ক্যানটিন এখন কলকাতায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এই শ্রমজীবী ক্যানটিন চালানোর জন্য এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষও। তাঁরা চাঁদা তুলে সচল রেখেছেন এই শ্রমজীবী ক্যানটিন।

আবারও গৃহবন্দি কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী

উত্তপ্ত কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন, তাদের গৃহবন্দি করে রেখেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

টুইট বার্তায় ওমর আবদুল্লাহ বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। এটা খুবই ঘৃণ্য কাজ; তারা আমার বাবাকে (বর্তমান পার্লামেন্ট মেম্বার) ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না। তারা আমার বোন এবং তার বাচ্চাদেরও ঘরে আটকে রেখেছে।’

২০০৯ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ওমর আবদুল্লাহ।

গুপকারে নিজের বাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি বুলেটপ্রুফ পুলিশ ট্রাকের ছবি শেয়ার করেন তিনি। ওই এলাকায় আঞ্চলিক রাজনৈতিক ক্ষমতাবানদের বসবাস।

ওমর আবদুল্লাহর বাবা ফারুক আবদুল্লাহ তিনদফা কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ প্রথম দফায়, ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ দ্বিতীয় মেয়াদে এবং ১৯৯৬ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ভারত এবং পাকিস্তান কাশ্মীর দখল করে আছে। দু’পক্ষই পুরো কাশ্মীর নিজেদের বলে দাবি করে। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর থেকে এ পর্যন্ত তিনদফা যুদ্ধে জড়িয়েছে দু’দেশ। দুবারই যুদ্ধ করেছে কাশ্মীর নিয়ে। কয়েকটি গোষ্ঠী স্বাধীনতা বা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার জন্য ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টির মুখপাত্র ইমরান নবি বলেন, সাবেক মুখ্যমন্ত্রীদের গৃহবন্দির ঘটনা অবিচার এবং নিন্দনীয়। কেন তাদের ঘরে আটকে রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো কারণ ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।

তবে পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার দ্বিতীয় বছরপূর্তি। ২০১৯ সালের এদিনে দক্ষিণ কাশ্মীরের মহাসড়কে বোমা হামলায় ৪০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। দিবসটি উপলক্ষে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভিআইপিদের চলাচল না করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের রাজনৈতিক স্বায়ত্বশাসন বাতিল করে শত শত ভারতপন্থী এবং স্বাধীনতাপন্থী রাজনৈতিককে হয় জেলে পুরেছে না হয় গৃহবন্দি করেছে মোদি সরকার। ওমর এবং ফারুক আবদুল্লাহ ২০২০ সালের মার্চে মুক্তি পান।

সাবেক মন্ত্রী এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা নাঈম আখতার এবং সারতাজ মান্দি দলের অন্যান্য নেতাকর্মীর সঙ্গে এখনো আটক রয়েছেন।