হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারী, ভার নিতে পারছে না ডিএসই

হাজার হাজার বিনিয়োগকারী হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে। বিনিয়োগকারীদের সেই ভার নিতে পারছে না সংস্থাটির আইটি ব্যবস্থা। ফলে লেনদেন করতে গিয়ে নানাভাবে সমস্যার মুখে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা।

আজ মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের ভার নিতে না পেরে ডিএসইর ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের স্বাভাবিক কার্যক্রম লেনদেন চলাকালে হঠাৎ হঠাৎ ব্যাহত হয়। তাতে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিএসইর ওয়েবসাইটের যে সক্ষমতা, তাতে প্রতি সেকেন্ডে একসঙ্গে ৪ হাজার ৮০০ হিট নিতে পারে। কিন্তু গতকাল লেনদেন শুরুর পরপর প্রতি সেকেন্ডে ওয়েবসাইটটিতে হিট হয় ৫ হাজারের বেশি। এতে ওয়েবসাইটটির গতি কমে যায়। তাতে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য-উপাত্ত (রিয়েল টাইম ডেটা) পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী বা বিনিয়োগকারীরা। পরে হিট কমিয়ে দিয়ে ওয়েবসাইটের স্বাভাবিক অবস্থা ধরে রাখা হয়। একই অবস্থা ছিল ডিএসইর মোবাইল অ্যাপেও।

হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারী, ভার নিতে পারছে না ডিএসই

ডিএসইর সংশ্লিষ্ট সূত্রটি আরও জানায়, ডিএসইর মোবাইল অ্যাপের যে সক্ষমতা, তাতে প্রতি সেকেন্ডে একসঙ্গে ৩০০ জন ব্যবহারকারী বা বিনিয়োগকারীর হিট নিতে পারে অ্যাপটি।

কিন্তু গতকাল লেনদেন শুরুর বিভিন্ন পর্যায়ে গিয়ে এ অ্যাপে বিনিয়োগকারীর হিট প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ ছাড়িয়ে যায়। যখনই হিট ৫০০ ছাড়িয়েছে, তখনই অ্যাপ ব্যবহারকারীরা কোনো লেনদেন করতে পারেননি। পরে হিট কমে গেলে লেনদেনও স্বাভাবিক হয়। এভাবে দিনভর বিভিন্ন সময়ে হিট বেড়ে যাওয়ার কারণে মোবাইল অ্যাপের লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে।

জানতে চাইলে ডিএসইর জনসংযোগ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, আজ লেনদেনের শুরুতে ও শেষে কিছুটা প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছিল। দ্রুততার সঙ্গেই তা সমাধান করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের ভার নিতে না পেরে ডিএসইর ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের স্বাভাবিক কার্যক্রম লেনদেন চলাকালে হঠাৎ হঠাৎ ব্যাহত হয়। তাতে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল থেকে ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপসহ লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত কোনো সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকল্প একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এদিকে, আজ শুরু থেকে ঢাকার বাজারে লেনদেনে বেশ ভালো গতি দেখা যায়। তাতে অনেকে ধারণা করেছিলেন আজ দিন শেষে লেনদেনে রেকর্ড হবে। কিন্তু সেটি হয়নি। বিনিয়োগকারীদের অনেকে বলছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণেই লেনদেন বিঘ্নিত হয়েছে।

ধোনিকে মানতে পারছেন না আকাশ

কয়েকদিন আগে গত এক দশকের সেরা টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। যেখানে অধিনায়ক করা হয় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। নেতৃত্ব তো অনেক দূরের কথা, এই দলে মাহি কীভাবে জায়গা পান সেটাই বুঝতে পারছেন না ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া।

আকাশের মতে, এই সময়কালে ধোনি তেমন ভালো কিছু করে দেখাতে পারেনি। তাছাড়া ভারতও কোনো শিরোপা ঘরে তোলেনি। তাই কয়েকমাস আগে অবসরে যাওয়া উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কীভাবে সেরা টি-টোয়েন্টি দলে থাকে সেটাই প্রশ্ন সাবেক ক্রিকেটারের। তিনি বলছেন, এই দলে ইংল্যান্ডের জস বাটলারের জায়গা পাওয়া উচিৎ ছিলো।

গণমাধ্যমকে আকাশ বলেন, ‘বিষয়টার সাথে আমি একমত হতে পারলাম না। কারণ টি-টোয়েন্টিতে গত এক দশকে ভারত কোনো শিরোপা জেতেনি। এছাড়া ধোনিও বলার মতো পারফর্ম করতে পারেননি। তবে এই দলে জস বাটলার থাকতে পারতো।

akash chopraআকাশ চোপড়া

আইসিসি ঘোষিত গত এক দশকের সেরা টি-টোয়েন্টি দল: মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, ক্রিস গেইল, অ্যারন ফিঞ্চ, বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল, কাইরন পোলার্ড, রশিদ খান, জাসপ্রিত বুমরাহ এবং লাসিথ মালিঙ্গা।

বছরের শুরুতেই ম্যানইউ‘র বাজিমাত

সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ ছয় ম্যাচে অপরাজিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২০২১ সালের প্রথমদিনেও (১ জানুয়ারি) এর ব্যতিক্রম হলো না। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) নিজেদের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে অ্যাস্টন ভিলাকে হারালো ২-১ গোলে। তাতেই টেবিলে উন্নতি দেখলো ওলে গুনার সুলশারের শিষ্যরা।

ম্যানইউ বনাম অ্যাস্টন ভিলা

এই জয়ে চলতি ইপিএলের ১৬ ম্যাচ থেকে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো ম্যানইউ। ১০ জয়ের পাশাপাশি ৩টি করে ড্র এবং পরাজয় আছে তাদের। সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে লিভারপুল। ক্রিস্টাল প্যালেসকে হারানোর পর ওয়েস্টব্রুম এবং নিউক্যাসলের বিপক্ষে ড্র করে গতবারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

হারলেও ছেড়ে কথা বলেনি ভিলা। বল দখল কিংবা আক্রমণ, পুরো খেলায় কোন অংশেই কম যায়নি তারা। অতনু মার্সিয়ালের গোলে স্বাগতিরা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা ফেরান বারট্রান্ড ট্রাউরে। এরপর স্পট কিক থেকে ব্রুনো ফার্নান্দেস গোল করলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সফল দলটি।

ম্যাচের দশম মিনিটে ভিলাকে বাঁচিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেস। ঠেকিয়ে দেন মার্সিয়ালের জোরালো গতির শট। ১৩ মিনিটে অতিথিদের গোল বঞ্চিত করেন ডেভিড ডি গিয়া। ফিরিয়ে দেন জন ম্যাকগিলের দুর্দান্ত ভলি।

manu epl 1পেনাল্টি নিচ্ছেন ফার্নান্দেস

অবশেষে ৪০ মিনিটে প্রথম এগিয়ে যায় ম্যানইউ। অ্যারন ওয়ান বিসাকার ক্রস থেকে মার্সিয়ালে মাথাস্পর্শী বল জালের দেখা পায়। পিছিয়ে পড়ে মরিয়া হয়ে ওঠে ভিলা। বিরতির আগে এবং পরে বেশ কয়েকবার স্বাগতিক শিবিরে হানা দেয় তারা। কিন্তু নিজেদের ভুল এবং প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের দৃঢ়তার সামনে ব্যর্থ হয় তারা।

বেশ কয়েকটি ভুলের পর ৫৮ মিনিটে সমতায় ফেরে ভিলা। জ্যাক গোয়ালিশের কাছ থেকে বল পেয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ট্রাউরে। তার ঠিক তিন মিনিট পর পেনাল্টি থেকে ম্যানইউ‘র হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ফার্নান্দেস। এর আগে নিজেদের ডি বক্সে পল পগবাকে ফাউল করেন ডগলাস লুইস।

তারিনের উপস্থাপনায় ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’

অভিনেত্রী তারিনের উপস্থাপনায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রতি শুক্র ও শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হচ্ছে লাইভ কুইজ শো ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’। দর্শকরা এসএমএস-এর মাধ্যমে কুইজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। চার সেগমেন্টে দর্শকদের জন্য চারটি কুইজ থাকছে।

প্রতিটি কুইজের উত্তর দিতে দর্শক চার মিনিট সময় পাবেন। টেলিভিশনের স্ক্রলে দেওয়া নির্দিষ্ট নাম্বারে এসএমএস-এর মাধ্যমে উত্তর পাঠাবেন। র‌্যান্ডম বাছাইয়ের মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে পাচ্ছেন মোবাইল রিচার্জ।

প্রথম সেগমেন্টে ৭১ জন বিজয়ী পাবেন ৩০ টাকা করে, দ্বিতীয় সেগমেন্টে ২৬ জন পাবেন ১০০ টাকা করে, তৃতীয় সেগমেন্টে ১৬ জন পাবেন ২০০ টাকা করে এবং চতুর্থ সেগমেন্টে ৭ জন পাবেন ৩০০ টাকা করে মোবাইল রিচার্জ। আর সাপ্তাহিক কুইজ বিজয়ী একজন পাবেন ১০০০ (এক হাজার) টাকা মোবাইল রিচার্জ।

কুইজের পাশাপাশি অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে একজন অতিথি থাকছেন। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) পর্বের অতিথি হিসেবে থাকবেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ এবং শনিবার (৯ জানুয়ারি) অতিথি হিসেবে থাকবেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করছেন স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া ও অজয় পোদ্দার।

খালি হাতে ফিরছেন বাবর

বড় আশা করে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন বাবর আজম। প্রথমবারের মতো তিন ফরম্যাটে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব করবেন। দলকে এনে দেবেন বড় সাফল্য। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। ইনজুরি পিছু না ছাড়ায় কোনো ম্যাচ না খেলেই খালি হাতে তাসমান পাড় থেকে ফিরতে হচ্ছে এই ওয়ার্ল্ড ক্লাস ব্যাটসম্যানকে।

টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর হওয়ার আগের ঘটনা। নেটে অনুশীলনের সময় ডান হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পান বাবর। এজন্য ছোট ওভারের কোনো ম্যাচেই খেলতে পারেননি। সুস্থ না হওয়ায় প্রথম টেস্টের দলেও অনুপস্থিত থাকেন। আগামীকাল ক্রাইস্টচার্চে শুরু হবে দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট। তার আগে জানা গেল, এই ম্যাচেও তাকে পাচ্ছেনা পাকিস্তান। তাই যথারীতি নেতৃত্বভার সামলাবেন পিসিবি কর্তৃক নির্বাচিত ২০২০ সালের লাল বলের সেরা ক্রিকেটার মোহাম্মদ রিজওয়ান।

পূর্ণাঙ্গ সুস্থ না হওয়ায় বাবরকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছেনা পাকিস্তান। এমনটাই জানালেন পিসিবির চিকিৎসক সোহেল সেলিম, ‘বাবর আজমের ইনজুরি বর্তমানে উন্নতির পথেই আছে। তবে সে এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি। ও আমাদের দলের অধিনায়ক এবং সেরা ব্যাটসম্যান। তাই কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজে তাকে পেতে আশাবাদী আমরা।’

pakistan logo 1পিসিবি লোগো

বাবরের অনুপস্থিতিতে পাকিস্তানের অবস্থাও ভালো না। টানা দুই টি-টোয়েন্টি হারার পর শেষ ম্যাচ জিতে কোনোমতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ায় তারা। মাউন্ট ম্যাঙ্গানুই টেস্টে লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত সঙ্গী হয় ১০১ রানের পরাজয়। এবার তাই ক্রাইস্টচার্চে চোখ থাকবে রিজওয়ান, ফাওয়াদ আলমদের।

দুই ডলারের টিকা পাঁচ ডলারে কেন?

অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা (যা করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশে আমদানি ও বিতরণ করা হবে) ঘিরে যেসব ঘটনার খবর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে, সেসব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে আগ্রহী পেশাদারদের গঠিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরাম। বৈশ্বিক মহামারি করোনায় ইতিমধ্যে লাখ লাখ লোকের প্রাণ গেছে এবং কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। তদুপরি এর দ্বারা প্রতি মাসে বৈশ্বিক অর্থনীতির ৩৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়ে চলেছে।

টিকার পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধির (যেমন, মুখে মাস্ক ব্যবহার, ঘন ঘন হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা) কঠোর প্রয়োগ মহামারি নিয়ন্ত্রণ, জীবনের মর্মান্তিক ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস এবং অর্থনীতিকে ঠিক জায়গায় আনতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ওপর করোনার বিরূপ প্রভাব কমানোর একমাত্র উপায় বিশ্বব্যাপী সকল ব্যক্তির এই টিকা পাওয়ার ন্যায্য অধিকার (বিশেষত স্বাস্থ্যকর্মী ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের সুরক্ষা) নিশ্চিত করা।

কোভিড-১৯ পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং টিকার উন্নয়ন, উৎপাদন ও ন্যায়সংগত অধিকার ত্বরান্বিত করার জন্য একাধিক উন্নয়ন অংশীদারদের দ্বারা অ্যাক্সেস টু কোভিড-১৯ (এসিটি) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দ্বারা সমন্বয় করা হয়েছে। কোভাক্স এসিটির অন্যতম স্তম্ভ এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন (জিএভিআই), কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপারেডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই) এবং ডব্লিউএইচও-এর তদারকিতে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

করোনায় তীব্রভাবে আক্রান্ত অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেরও করোনার টিকার খুব প্রয়োজন। যেহেতু কোভ্যাক্স বাংলাদেশের ১৬ কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার সবার জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার ২০ শতাংশ সরবরাহ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সেহেতু বাংলাদেশ সরকারকে তার ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষকে স্বল্প সময়ের মধ্যে টিকা দেওয়া নিশ্চিত করতে দ্বিপক্ষীয়ভাবে অন্যান্য বিকল্পগুলোর সন্ধান করতে হবে।

করোনাভাইরাসের টিকা বানানো তখন ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কোভাক্সের লক্ষ্য ছিল টিকার উদ্ভাবন ও উৎপাদন ত্বরান্বিত করা এবং বিশ্বের প্রতিটি দেশের জন্য ন্যায্যমূল্য এবং ন্যায়সংগত অধিকার নিশ্চিত করা। কোভ্যাক্সের গবেষণা উন্নয়ন উৎপাদন বিনিয়োগ কমিটি একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি গ্রুপ। এই গ্রুপে রয়েছেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা, যাঁরা কোভ্যাক্সের অর্থায়নে পরিচালিত সম্ভাব্য টিকা প্রকল্পগুলোতে টিকা উন্নয়ন এবং উৎপাদন ত্বরান্বিত করতে অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন।

ইনোভিও, মডার্না, কিউরভ্যাক, নোভাভ্যাক্স, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়, থেমিস/ইনস্টিটিউট পাস্তুর/পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় (মার্ক), ক্লোভার বায়োফার্মাটিক্যালস এবং অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য টিকা প্রকল্প কোভাক্সের আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়েছে, যা তাদের রেকর্ড দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকাগুলোর দ্রুত বিকাশে সক্ষম করে তুলে।

অক্সফোর্ড (অ্যাস্ট্রাজেনেকা) তাদের করোনা টিকা বিকাশের জন্য কোভ্যাক্স থেকে ‘জনস্বার্থে’ ৩৮৪ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছিল। এই সাহায্য দুই ভাগে মঞ্জুর করা হয়: ২০২০ সালের মার্চে প্রাথমিক অনুদান, যা প্রি ক্লিনিক্যাল এবং প্রথম ধাপের পরীক্ষায় (১.১ মিলিয়ন ডলার) সাহায্য করতে এবং ২০২০ সালের জুনে টিকা উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানান্তরে সাহায্য করতে (৩৮৩ মিলিয়ন ডলার)।

এই অনুদান কঠোর শর্তে দেওয়া হয়েছিল যে অক্সফোর্ড (অ্যাস্ট্রাজেনেকা) এবং এর উৎপাদনকারী অংশীদারদের অবশ্যই মহামারি চলাকালে অলাভজনক ভিত্তিতে টিকাগুলো বিক্রি করতে রাজি থাকতে হবে এবং সে অনুসারে অক্সফোর্ড (অ্যাস্ট্রাজেনেকা) প্রকাশ্যে বিবৃতি দেয় যে এই টিকাটি মহামারিকালে অলাভজনক ভিত্তিতেই বিক্রি করা হবে।

অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকা আর্জেন্টিনা, চীন, ভারত, জাপান, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া এবং রাশিয়ার বেশ কয়েকটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তি স্থানান্তর করেছিল। সেরাম ইনস্টিটিউট হলো সেই চুক্তির অধীন ভারতের একটি টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, যেখানে কোভ্যাক্সের সহায়তা পাওয়া অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রযুক্তি সরবরাহ করা হয়েছিল। কিন্তু ভারত সরকার এই চুক্তি উৎপাদন ব্যবস্থায় কোনো পক্ষ নয়

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বেক্সিমকো ফার্মা), বাংলাদেশে নিবন্ধিত একটি বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, যা বাংলাদেশে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার একমাত্র পরিবেশক। তারা করোনাভাইরাসের টিকার ৩০ মিলিয়ন ডোজের একমাত্র উৎস সরবরাহকারী এবং পরিবেশনকারীরূপে সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) স্থান করে নেয়, যেখানে বাংলাদেশ সরকার ছিল বা সহ-স্বাক্ষরকারী।
এটি কোভ্যাক্স দ্বারা প্রকাশ্যে প্রকাশিত পূর্বের বক্তব্যের বিপরীত যে তাদের গবেষণা ও উন্নয়ন সুবিধা থেকে আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে যেকোনো টিকা তৈরি হলে তা ‘গ্লোবাল পাবলিক গুড’ হিসেবে গণ্য হবে এবং একেবারে বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে না।

করোনায় তীব্রভাবে আক্রান্ত অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেরও করোনার টিকার খুব প্রয়োজন। যেহেতু কোভ্যাক্স বাংলাদেশের ১৬ কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার সবার জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার ২০ শতাংশ সরবরাহ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সেহেতু বাংলাদেশ সরকারকে তার ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষকে স্বল্প সময়ের মধ্যে টিকা দেওয়া নিশ্চিত করতে দ্বিপক্ষীয়ভাবে অন্যান্য বিকল্পগুলোর সন্ধান করতে হবে।

তবে বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের একমাত্র পরিবেশক হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মার আত্মপ্রকাশ এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জন্ম দেয়।

প্রথমত, এটি কি আগের ঘোষণার লঙ্ঘন নয়, যেখানে বলা হয়েছিল অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাসহ কোভ্যাক্সের গবেষণা উন্নয়ন উৎপাদন বিনিয়োগ কমিটির সহায়তায় বিকশিত ও উৎপাদিত সব টিকাগুলো গ্লোবাল পাবলিক গুড এবং সব দেশ অলাভজনক ভিত্তিতে সেগুলোর অধিকার লাভ করবে?

ঢাকায় পুলিশি হামলা উপেক্ষা করে সমাবেশ, লাঠিচার্জে আহত ৭০, গ্রেপ্তার ৫০, বিবিধ মামলায় আসামী হাজারের উপরে – গায়েবী মামলার অভিযোগ

পুলিশি হামলা উপেক্ষা করে রাজধানীসহ সারাদেশে গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করেছে বিএনপি। শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচি পালনের সময়ও রাজধানী, রংপুরসহ কয়েকটি জেলায় পুলিশের বাধা, লাঠিচার্জ ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশে দলটির কমপক্ষে ৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও লাঠিচার্জে ৭০ জন আহত হয়েছে। এগুলোর সূত্র ধরে কমপক্ষে সাতটি আলাদা এবং সম্পূরক মামলা হয়েছে যেগুলোতে প্রায় ১১০০ ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। এই ১১০০ ব্যক্তির মধ্যে ৮০০-র বেশি অজ্ঞাতনামা এবং অভিযোগ উঠেছে এমন অনেককেই আসামী করা হয়েছে যারা কোনো মিছিল, সভা, সভাবেশ বা প্রতিবাদ র‍্যালীতে ছিলেননা।

প্রসঙ্গতঃ, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে এ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।

বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নেতাকর্মীদের পুলিশি বাধা ও গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপি এবং এর অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অব্যাহত গতিতে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সমগ্র দেশে পুলিশি রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সরকারের কাছে গণতন্ত্র, মৌলিক মানবাধিকার ও আইনের শাসনের কোনো মূল্য নেই। দেশে করোনা সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়ার বদলে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন চালিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখাকেই সরকার তাদের প্রধান কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

সকাল ১০টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী ব্যানার-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড হাতে সমবেত হন। এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের চারপাশে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন ছিল। তারা মৎস্য ভবন, তোপখানা সড়কের মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসতে বাধা দেয় এবং বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে বিএনপির অবস্থানের কারণে এ সময় যান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়ে জনগণ।

সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সচিবালয়ের পশ্চিম সড়ক হয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। নেতাকর্মীরা বাধা অতিক্রম করার চেষ্টা চালালে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশ এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে সমাবেশস্থল থেকে মাইকে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানোর পর উত্তেজনা থিতিয়ে আসে। মিরপুরের শিয়ালবাড়ির প্রশিকায় ৬০/৭০ জনের মিছিলে স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের নেত্তৃত্বে মিছিলে পুলিশ ও যুবলীগের কর্মীরা বেপরোয়া হামলা চালালে অনেকেই আহত হন বলে খবর পাওয়া গেছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০২১ সালে সরকার পরিবর্তনের প্রত্যাশায় জনঐক্যের সংকল্প ব্যক্ত করে বলেন, নতুন বছরে আমাদের সবার একটাই সংকল্প, একটাই শপথ হবে- ‘ঐক্য’। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব; গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব। সেই লক্ষ্যে সবাইকে এক হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্রকে উদ্ধারের যে সংগ্রাম; সে সংগ্রাম শুধু বিএনপির একার নয়। সব রাজনৈতিক দলকে, সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে সরিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সমাবেশে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আজকের এই দিনটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় একটি দিন। স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সেই আকাঙ্ক্ষা ও চেতনাকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে, প্রশাসনের জোরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। তারা বাংলাদেশের সব অর্জন ধবংস করেছে। তারা আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে এবং একটা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে।

৩০ ডিসেম্বরে পুলিশি আচরণের নিন্দা করে বিএনপির প্রচার ও গণযোগাযোগ দপ্তরের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক এম.পি. জহির উদ্দীন স্বপন বলেন,  সরকারী এমন জুলুম আর বেশিদিন চলবে না। মানুষ জেগে উঠছে। নির্লজ্জ সরকার নীতিভ্রষ্টভাবে দেশ চালাচ্ছে এবং গত দুই নির্বাচনের মহা কারচুপি কারো অজানা নয়। অবৈধ গ্রেপ্তার ও বিভিন্ন মামলায় অযাচিত ও অন্যায়ভাবে বিএনপির নেতা কর্মী ও সমর্থকদের ঝুলিয়ে দেয়া হচ্ছে বিএনপিকে পঙ্গু করে দেয়ার জন্যে, বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি। উদাহরণস্বপরূপ উনি বলেন, মিরপুরের রূপনগর থানায় আমার সমর্থক দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং শুধু তাদেরকে গ্রেপ্তার করেই আওয়ামী পুলিশ শান্তি পাননি, তারা এই দুজনের অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনকেও ঢুকিয়ে দিয়েছে মামলায়। এর ভেতর একজন থাকেনই যুক্তরাজ্যে, যার একমাত্র অপরাধ আমার সাথে তাদের পরিবারের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক। এভাবে কোনো দেশে ন্যায়বিচার চলতে পারে? ৮০০-র বেশি নাকি অজ্ঞাতনামা আসামী!! এইগুলা কী আমরা বুঝিনা? আমাদের কী তারা বোকা পেয়েছেন? তাদের ক্ষমতার অপব্যাবহারের দিন আর বেশি নেই।

এইসূত্রে রূপনগর থানার সাথে যোগাযোগ করা হলে জবাবে বলা হয়, যাদের গ্রেপ্তার করা  হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তা করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামাদের নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। যথাসময়ে তা প্রকাশ করা হবে। গায়েবী মামলার অভিযোগে থানার এস.আই  বলেন – মোঃ শহীদুল ইসলাম ও মোঃ মইন উদ্দিন চৌঃ এর নামে এজাহারে দেয়ার যথার্থ কারণ আছে। দেশের বাইরে থাকলেই কেউ অপরাধ সংগঠন করতে পারেনা বাংলাদেশে, এই ধারণা ভুল। কেইস কোর্টে উঠলে সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ আলামত সহকারে হাজির করা হবে। এর বেশি এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না।

 

চীনে গণহারে টিকা ব্যবহারের অনুমতি

প্রথমবারের মতো জনসাধারণের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে চীন।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় সহায়তাপ্রাপ্ত ওষুধ প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের তৈরি এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণহারে টিকা ব্যবহারের অনুমদোনের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কার পেক্ষাপটে এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

টিকা উৎপাদনে যুক্ত বেইজিং বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস ইনস্টিটিউট (সিনোফার্মের সহযোগী প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের শাখা) বুধবার বলেছে, এই টিকা করোনা প্রতিরোধে ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ কার্যকর।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা এখন বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে ব্যাপকহারে করোনার কয়েকটি টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে গণহারে টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিতে বেশ সময় নিল চীন।

এর আগে সর্বপ্রথম সৌদি আরব সরকার তাদের দেশে সিনোফার্মের তৈরি এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। আর টিকাটির ১২ লাখ ডোজ কিনে রেখেছে পাকিস্তান।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত ৫ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেবে কর্তৃপক্ষ। প্রথমে ফ্রিতে এই টিকা প্রয়োগের চিন্তা ছিল। তবে পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী তার দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষাপ্রধান বিপিন রাওয়াত

ভারতের বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে দেশটির প্রথম প্রতিরক্ষা প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সেনাপ্রধান পদ থেকে অবসরে যাচ্ছেন তিনি। এর আগের দিন সোমবার তাকে ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ হিসেবে নিযুক্ত করলো নয়া দিল্লি।

গত আগস্ট মাসে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য নতুন এ পদ সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছিলেন।

গত সপ্তাহে সিডিএসের দায়িত্ব ও কর্তব্য জানিয়ে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, চার তারকা জেনারেল পদমর্যাদার কাউকে প্রতিরক্ষা প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন তিনি। তিন বাহিনীর প্রধানরাও এখন থেকে এ প্রতিরক্ষা প্রধানের কাছে জবাবদিহি করবেন।

ভারতে বাহিনী প্রধানদের চাকরির বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৬২। তবে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফের ক্ষেত্রে তা ৬৫ বছর কিংবা নিয়োগের দিন থেকে সর্বোচ্চ তিন বছর করা হয়েছে। বাহিনী প্রধানরা তার আওতাধীন থাকলেও প্রতিরক্ষা প্রধান  তাদের সমান বেতন পাবেন।

বিপিন রাওয়াত সিমলার সেন্ট অ্যাডওয়ার্ড স্কুলে পড়াশোনার পর খড়কভাসলার ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি ও দেরাদুনের ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষণ নেন। এরপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টে যোগ দেন তিনি। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন বিপিন। সূত্র: এনডিটিভি

বিউটি ট্রেন্ড যা ছিল, যা থাকবে

দেখতে দেখতে একটা বছর শেষ হয়ে গেল। আমরা এখন দাঁড়িয়ে আছি ২০২০–এর একদম দ্বারপ্রান্তে। এ বছরটা ছিল একটু অন্য রকম। পৃথিবীর সব মানুষকেই একটা চ্যালেঞ্জের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে মহামারি পরিস্থিতির কারণে। এ জন্য যাপিত জীবনে এসেছে পরিবর্তন।

বিউটি ট্রেন্ড যা ছিল, যা থাকবে

পরিবর্তন এসেছে বিউটি ট্রেন্ডেও। সৌন্দর্যচর্চার এমন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, যার প্রভাব থেকে যাবে আগামী কয়েক বছর।

বোল্ড আই মেকআপ

 সৌন্দর্য সচেতন সবাই এখন নানা রঙে–ঢঙে সাজাচ্ছেন চোখ

সৌন্দর্য সচেতন সবাই এখন নানা রঙে–ঢঙে সাজাচ্ছেন চোখ
ছবি: প্রথম আলো

গত কয়েক বছর মেকআপ ট্রেন্ডে ছিল লিপস্টিকের দৌরাত্ম্য। তবে এ বছরের চিত্রটি একদম ভিন্ন। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে এখন মাস্ক পরতে হচ্ছে। এ জন্য ঢাকা পড়েছে ঠোঁট। সবার নজর তাই চোখের দিকে। সৌন্দর্য সচেতন সবাই এখন নানা রঙে–ঢঙে সাজাচ্ছেন চোখ। এ জন্য চড়া রঙের আইশ্যাডো, মাসকারা, আইলাইনারের কাটতি বেড়েছে। মাস্কের সঙ্গে মিক্সড বা ম্যাচ করে চোখ লাগাচ্ছেন অনেকে। বলা হচ্ছে, যত দিন মাস্ক থাকবে তত দিন এই ধারার কোনো পরিবর্তন হবে না।

মেকআপে স্কিন কেয়ার

এখন মেকআপ ত্রুটি আড়ালের পাশাপাশি তা সারিয়ে তোলার কাজও করবে

এখন মেকআপ ত্রুটি আড়ালের পাশাপাশি তা সারিয়ে তোলার কাজও করবে
ছবি: প্রথম আলো

স্বাস্থ্য সচেতনতার সঙ্গে এ বছর বেড়েছে সৌন্দর্য সচেতনতা। আগে সবাই মেকআপ করত শুধু নিজেদের সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে, কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে তা ঢাকতে। আর এখন মেকআপ ত্রুটি আড়ালের পাশাপাশি তা সারিয়ে তোলার কাজও করবে। এমন অনেক মেকআপ পণ্যের উত্থান হয়েছে এ বছর। নতুন প্রজন্মের এসব মেকআপের ভেতর আছে বিবি ক্রিম, সিসি ক্রিম, প্রাকৃতিক উপাদানযুক্ত লিপস্টিক, কালার লিপ বাম, ময়েশ্চারাইজারযুক্ত প্রাইমার, ফাউন্ডেশন, ব্লাশন ইত্যাদি।

মিনিমাল মেকআপ

কয়েক বছর ধরেই একটু একটু করে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছিল ‘নো মেকআপ-মেকআপ ট্রেন্ড’ এবং মিনিমাল মেকআপ। এবার লকডাউনের জন্যই এদের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে। ঘরবন্দী ও মাস্কবন্দী জীবনে খুব বেশি মেকআপ করার প্রয়োজনীয়তা কমেছে। শুধু জুম মিটিংয়ে বসার আগে অল্প কিছু জিনিসপত্র দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে নিচ্ছেন সবাই। হালকা রঙের লিপস্টিক, আইলাইনার, লাইট ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার, কনসিলার এসবের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকছে সাজ।

ঘরবন্দী ও মাস্কবন্দী জীবনে খুব বেশি মেকআপ করার প্রয়োজনীয়তা কমেছে

ঘরবন্দী ও মাস্কবন্দী জীবনে খুব বেশি মেকআপ করার প্রয়োজনীয়তা কমেছে
ছবি: প্রথম আলো

ন্যাচারাল ব্লাশ

কন্টুরিংকে হটিয়ে তার জায়গা দখল করে নিয়েছে ন্যাচারাল ব্লাশ। ছোটখাটো অনুষ্ঠানে সাজার জন্য মিনিমাল মেকআপের ওপর একটু ব্লাশ লাগানোর চল দেখা যাচ্ছে। গ্লিটারি ব্রোঞ্জ ব্লাশের বদলে চাহিদা বেড়েছ বেবি পিংক, পিচ, লাইট পাম, বেরি, রোজ ব্লাশনের।

স্কিন কেয়ার

সৌন্দর্য সচেতনতা বাড়ায় বেড়েছে স্কিন কেয়ার। ব্যস্ততার জন্য যাঁরা এত দিন নিজের ত্বকের তেমন কোনো যত্ন নিতে পারেননি, তাঁরা লকডাউনের সময়টুকু ঘরে বসেই ত্বকের ক্ষতিগুলো পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। রান্নাঘরে থাকা উপাদান দিয়ে হয়েছে রূপচর্চা। বেড়েছে শিট মাস্ক ও প্রাকৃতিক মাস্কের ব্যবহার।

রান্নাঘরে থাকা উপাদান দিয়ে হয়েছে রূপচর্চা

রান্নাঘরে থাকা উপাদান দিয়ে হয়েছে রূপচর্চা
ছবি: প্রথম আলো

কয়েক বছর ধরে স্কিন কেয়ার ট্রেন্ড ছিল অ্যান্টিএজিংকেন্দ্রিক। এ বছরও এর তেমন কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। তবে অ্যান্টিএজিং উপাদান হিসেবে রেটিনলের জায়গা দখল করেছে বাকুচিওল। এটি রেটিনলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন বিকল্প। তবে রেটিনলের চেয়েও এটি অনেক বেশি ভালো এবং কোমল। সব ধরনের ত্বকের জন্যই মানানসই। এমনকি গর্ভবতী আর প্রসূতি মায়েরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

অন্যদিকে স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে আরও আবির্ভাব হয়েছে নায়াসিনামাইডের। এটি একধরনের ভিটামিন বি৩। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায় এবং অসামঞ্জস্যতা দূর করে। পাশাপাশি অ্যাকনে, রোজেশিয়া, ইনফ্ল্যামেশনের মতো ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধ করে। স্কিন এক্সপার্টদের মতে আগামী বছরগুলোতে মেকআপ প্রোডাক্টেও নায়াসিনামাইডের ব্যবহার হবে।

হেয়ার ট্রেন্ড

ঘরবন্দী দিনে হেইলি বিবার

ঘরবন্দী দিনে হেইলি বিবার
ছবি: টুইটার

হেয়ার ট্রেন্ডে ছিল অনেক চমক। স্যালন বন্ধ তাই ঘরই হয়ে উঠেছিল স্যালন। ইউটিউব দেখে চুল কাটা থেকে শুরু করে রং করা সব হয়েছে বাসার ভেতর। চুল কাটতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকে। সে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে নিজেদের মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করাও একটা ট্রেন্ডে দাঁড়িয়েছিল। মেয়েদের ছোট চুল (যেমন ফ্রেয়া বেহা এরিকসেনের বব) আর ছেলেদের বড় চুল রাখার চল শুরু হয়েছে। আর যাঁরা চুল ছাঁটার ধারেকাছেও যাননি, তাঁরা বেলা হাদিদ, হেইলি বিবারের মতো সেলিব্রেটিদের দেখাদেখি চুল সাজিয়েছেন আশি দশকের স্ক্রাঞ্চি দিয়ে।