গোপন নথি ফাঁস, করোনা নিয়ে ভয়ানক মিথ্যাচার চীনের

করোনা নিয়ে চীনের মুখোশ খুলে দিয়েছে গোপন নথি।সম্প্রতি, চীনের করোনা মহামারি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন। সেখানে স্থানীয়ও স্বাস্থ্যকর্মীদের রিপোর্টের ভিত্তিতে দাবি করা হযেছে যে, প্রথমদিকে করোনা সংক্রমণের কথা গোপন রেখেছিল হুবেই প্রশাসন।

হুবেই প্রভিন্সিয়াল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের এক কর্মীর কাছ থেকে ১১৭ পৃষ্ঠার একটি গোপন নথি সংগ্রহ করেছে সিএনএন। জানা গেছে, অন্তত ছ’জন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সেই নথি খতিয়ে দেখে এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। ওই নথিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে অক্টোবর ২০১৯ থেকে এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত করোনা সংক্রান্ত খবর চেপে গিয়েছে চীন সরকার।

নথিতে বলা হয়, স্থানীয় চিকিৎসকদের মতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত হুবেইয়ে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৯১৮। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যানে এর অর্ধেক দেখানো হয়েছিল। ফলে, কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি।

এখনো অনেকেই মনে করেন উহানের একটি গবেষণাগার থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আবার অনেকের দাবি, উহানের একটি সামুদ্রিক মাছের ও মাংসের বাজার থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নভেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়।

ট্রাম্পের ক্ষমার জন্য ঘুষ: যুক্তরাষ্ট্রে তদন্ত শুরু

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য হোয়াইট হাউজে ঘুষ লেনদেনের পরিকল্পনার সম্ভাব্য এক ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট জজ বেরিল হাওয়েল মঙ্গলবার প্রসিকিউশনকে এই তদন্ত শুরুর অনুমতি দেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া যোগসূত্র নিয়ে এফবিআইয়ের কাছে মিথ্যা বলার কারণে বরখাস্ত হয়েছিলেন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ অবশ্য বলেছে, সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে নিশানা করে এই তদন্ত তারা শুরু করছে না। বার্তা রয়টার্স জানিয়েছে, আদালতের নথিতে এ বিষয়টিকে ‘ক্ষমার জন্য ঘুষ নিয়ে তদন্ত’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

তবে ১৮ পৃষ্ঠার ওই নথির যে সংস্করণটি সবার দেখার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে অর্ধেক তথ্যই ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যে অংশটুকু পড়া যায়, তাতে কারও নাম বা অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেই।

ওয়াশিংটনে ফেডারেল প্রসিকিউটররা আদালতকে বলেছেন, ঘুষ লেনদেনের পরিকল্পনার কিছু প্রমাণ তারা পেয়েছেন, যেখানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমা বা দণ্ড মওকুফের বিনিময়ে ‘বড় ধরনের রাজনৈতিক সুবিধা’ দেওয়ার প্রস্তাব করার কথা রয়েছে।নিয়ম ভেঙে গোপনে তদবির করার একটি অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করার অনুমতি পেয়েছেন ফেডারেল প্রসিকিউটররা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন লিখেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদের শেষ বেলায় বিচার বিভাগের এই তদন্তের ঘোষণা নতুন আলোচনার জন্ম দিল।

তবে এই বিষয়ে এখনো হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এবার অক্সফোর্ডের টিকার সুখবর

একদিন পার হতেই আরেক সুখবর করোনাভাইরাস টিকায়। এবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই স্বস্তির খবর। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের তৈরি টিকা বয়স্কদের শরীরেও সিদ্ধহস্ত। রোগটি প্রতিরোধে খুব ভালো কাজ করে।

অক্সফোর্ড বলছে, তাদের হাতে এসেছে সাম্প্রতিকালের সমীক্ষার তথ্য। যাতে দেখা গেছে, প্রবীণদের ক্ষেত্রেও প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সিদ্ধহস্ত এই টিকা। খবর বিবিসি ও স্কাই নিউজের

বৃহস্পতিবার ‘দ্য ল্যানসেট’ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকি বয়স্কদের। সেই শ্রেণির মানুষকে টিকা দিয়ে দেখা গেছে, তাদের শরীরেও প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিচ্ছে এই টিকা। দ্বিতীয় ধাপে মোট ৫৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। তাতেই এই ফলাফল দেখা গেছে।

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আগামী কয়েক সপ্তাহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন গবেষকরা। ওই ফলের ওপরই নির্ভর করবে উৎপাদনের অনুমোদন। অক্সফোর্ডের এই টিকার লাইসেন্স আছে বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার নামে।

এদিকে, ফাইজার-বায়োএনটেক জোট ও মডার্নার তৈরি টিকা দুটিও ট্রায়ালের শেষ লগ্নে। এরমধ্যে বুধবার ফাইজার দাবি করে, তাদের তৈরি টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর। এরমধ্যে বয়স্কদের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যাদের বয়স ৬৫ এর ঊর্ধ্বে, তাদের কাজ করবে ৯৪ শতাংশ।

এর আগে মডার্নাও দাবি করে নিজেদের তৈরি টিকা ৯৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ কার্যকর।

করোনাভাইরাস মহামারিতে আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছেই। মৃত্যুও বাড়ছে। এরমধ্যেই এগিয়ে চলছে টিকা উদ্ভাবন ও ট্রায়াল গবেষণা। বিশ্বজুড়ে ১৪০টিরও বেশি গবেষণার কাজ চললেও মাত্র কয়েকটি চূড়ান্ত পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

গির্জায় হামলাকারী ‘কয়েকদিন আগে তিউনিসিয়া থেকে ফ্রান্সে আসেন’

নিস শহরের একটি গির্জায় দুই নারীসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা ব্যক্তি কয়েকদিন আগে তিউনিসিয়া থেকে ফ্রান্সে এসেছিলেন।

ফ্রান্সের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ২১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ইতালির রেডক্রসের কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে। গত মাসে এক অভিবাসীবাহী নৌকায় ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে আসার পরে ওই কাগজটি তাকে দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশ তাকে গুলি করায় তিনি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ফ্রান্সের নিস শহরের নটরডেম গির্জায় বৃহস্পতিবার হামলা চালিয়ে তিনজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই ঘটনাকে ‘ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

তিনি জানান, গির্জা এবং স্কুলের মতো জনসমাগম স্থানগুলোতে সুরক্ষার জন্য সৈন্য সংখ্যা তিন হাজার থেকে বাড়িয়ে সাত হাজার করা হবে। দেশটিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারে ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর পুলিশ হামলাকারীকে গুলি করে। সে সময় হামলাকারী ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ফ্রান্সের সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটররা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।

পুলিশ সূত্র বলছে, হামলাকারীর নাম ব্রাহিম আউইসাউই। তার কাছ থেকে একটি কোরআন, দুটি টেলিফোন এবং একটি ১২ ইঞ্চি ছুরি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধান সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটর জ্যঁ-ফ্রাসোয়া রিকার্ড।

তিনি বলেন, ‘আমরা হামলাকারীর একটি ব্যাগও পেয়েছি। এই ব্যাগের পাশে দুটি ছুরি ছিল, যা আক্রমণে ব্যবহৃত হয়নি।’

মালাওয়ির রাস্তাঘাটে বিক্রি হচ্ছে ভাজা ইঁদুর

আফ্রিকার দেশ মালাওয়ির রাস্তায় রাস্তায় এখন বিক্রি হচ্ছে তেলে ভাজা ইঁদুর। অসম্ভব দরিদ্র এই দেশের জনগণের বেশিরভাগেরই সামর্থ্য নেই যে বাজার থেকে মাছ বা মাংস কিনে খাবে। তাই করোনাপীড়িত এই দেশটিতে মানুষের জন্য বিকল্প জৈব প্রোটিনের উৎস হিসেবে স্থান দখল করেছে ইঁদুর।

করোনার পীড়নে লকডাউন চলছে মালাওয়িতে। খাবারের দোকান বেশির ভাগই বন্ধ। যেগুলো খোলা আচে, সেগুলো মাথা গলানো সাধারণ মানুষের জন্য অসম্ভব ব্যাপার। মালাওয়ির রাস্তাঘাটের পার্শ্ববর্তী গ্রামের অনেকেই হাতে করে বিক্রি করছেন ইঁদুর ভাজি। এক শহর থেকে আরেক শহরে যাতায়াতের সময় অনেকের কাছে ইঁদুর ভাজি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। খবর ডেইলি মেইলের।

মালাওয়ির অর্ধেকের বেশি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করেন। এমনিতেই খাদ্যভাব ও অপুষ্টিজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত দেশটির জনগণ। করোনার বিধিনিষেধ এই দরিদ্র মানুষদের নিয়ে গেছে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ফলে নিজেদের খাদ্য ও উপার্জনের জন্য কৃষি জমিতে বাসা বাধা ইঁদুর ধরতে হাত লাগাচ্ছেন সবাই।

স্থানীয় এক ইঁদুর শিকারী ও বিক্রেতা বার্নার্ড সিমেওন বলেন, করোনা শুরুর পর থেকে জীবন অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে জীবিকার জন্য আমাদের ইঁদুর শিকার ও বিক্রির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

মালাওয়ি সরকার এই করোনাকালে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। করোনার কারণে যারা বেকার হয়ে পড়েছেন, তাদের মাসপ্রতি ৫০ ডলার করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা রক্ষা করতে পারছে না।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান পুষ্টিবিদ সিলভেস্টার কাথুম্বা জনগণকে ইঁদুর  খেতে উৎসাহিত করেছেন। কিন্তু পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, ব্যাপকহারে ইঁদুর হত্যা করা হলে পরিবেশগত বিপর্যয় নেমে আসবে।

করাচি হামলার নেপথ্যে রয়েছে ভারত, দাবি ইমরান খানের

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে স্টক এক্সচেঞ্জের অফিসে হামলার ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে তিনি এই দাবি করেন।

তিনি বলেন, ‘আমার কোনো সন্দেহ নেই যে, করাচি হামলার নেপথ্যে রয়েছে ভারত। বিগত দুমাস ধরেই এমন হামলার আশঙ্কা করছিলেন আমাদের গোয়েন্দারা। এই বিষয়ে আমার মন্ত্রিসভার সদস্যরাও জানেন।’ তবে সোমবার নয়াদিল্লি পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জ হামলায় ভারতের কোনো হাত নেই। খবর দ্য প্রিন্ট।

গত সোমবার পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে ভবনে হামলা  সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হন। মৃতদের মধ্যে দুজন সাধারণ নাগরিক ও কমপক্ষে চারজন বালুচ বিদ্রোহী রয়েছে বলে জানা যায়। হামলার ঘটনার কিছুক্ষণ পরে বিষয়টির দায় স্বীকার করে ‘বালুচ লিবারেশন আর্মি’।

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বহুদিন ধরে কেন্দ্রীয় শাসকদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ রয়েছে। তাদের অভিযোগ, বেলুচিস্তানের খনিজ সম্পদ উত্তোলন করে তা বেলুচিস্তানের প্রকৃত প্রয়োজনে না লাগিয়ে কেন্দ্রীয় শাসকগোষ্ঠী নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়ছে।

গত মাসেই বালুচ বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন ৯ পাকিস্তানি সেনা। প্রদেশটিতে ক্রমেই জোরাল হচ্ছে স্বাধীনতার দাবি। রাস্তায় নেমে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। আন্দোলন দমাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।

পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পাকিস্তানি সেনাদের অমানুষিক অত্যাচার। এরকম  পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেছেন হাজার হাজার মানুষ।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সালে স্বাক্ষর হওয়া একটি চুক্তির ভিত্তিতে চীন-পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি নির্মাণকার্য শুরু হয়েছে। চীনের প্রস্তাবিত ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ নীতির ওপর ভিত্তি করে তাদের অর্থ সাহায্যেই এই করিডর তৈরি হচ্ছে। পাকিস্তানের গদর পোর্ট থেকে চীনের শিনজিং প্রদেশ পর্যন্ত মোট দুই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথটি তৈরি করা হচ্ছে।

তবে এই করিডর নিয়ে প্রথম থেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন বালুচিস্তানসহ গিলগিট, বালতিস্তান ও পিওকের জনগণ। তাদের অভিযোগ, পেশিশক্তির জোরপূর্বক তাদের বাসভূমি কেড়ে নিয়ে এই করিডর তৈরি করছে পাকিস্তান। এই অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানি প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন বালুচ নাগরিকরা।

ভারতে লকডাউন কিছুটা শিথিল

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে টানা লকডাউনে রয়েছে ভারত। তবে এবার এই ব্যবস্থা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মেনে খোলা যাচ্ছে কিছু দোকানপাট।

শনিবার থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এক মাসের বেশি সময় ধরে দেশটিতে লকডাউন চলছে; যা আগামী ৩ মে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে । এই সময়ের মধ্য সবাইকে ঘরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

লকডাউন কিছুটা শিথিল করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক নির্দেশিকায় বলেছে, রাজ্যগুলোর পুরসভা এলাকার বাইরে বসতিপূর্ণ এলাকা ও বাজার এলাকায় এখন থেকে দোকানপাট খোলা যাবে। শপস অ্যান্ড এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইনের আওতায় যেসব দোকান নথিভুক্ত আছে, তারা শনিবার থেকে ব্যবসা চালু করতে পারবে।

তবে দোকান খুলতে হবে করোনা সংক্রান্ত কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে। নতুন নির্দেশিকার ফলে পুরসভা এলাকার বাইরে বাজার, বা আবাসনের আশেপাশে সব ধরণের দোকান খোলার অনুমতি পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে, শপিং মল বা সুপার মার্কেটগুলি এখনও বন্ধ থাকছে। ফলে, মল বা মার্কেট কমপ্লেক্সে থাকা দোকানগুলো এখনই খোলা যাবে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দোকান খোলা গেলেও বাধ্যতামূলকভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে। একইসঙ্গে মাস্ক পরতে হবে আবশ্যিকভাবে। তবে হটস্পট ও সংক্রামক এলাকায় কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ সেই এলাকাগুলিতে কোনও দোকান খোলা যাবে না বলে জানিয়েছে সরকার।

কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনযায়ী, আবাসিক অঞ্চল এবং আশেপাশের বাজারগুলির সমস্ত দোকান খোলা থাকবে। ‘শপস অ্যান্ড এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট’-এ নথিভুক্ত সমস্ত দোকান এবং বাজার খুলতে পারে। শহরাঞ্চলে, কেবল স্ট্যান্ড স্টোন শপ এবং আবাসিক দোকান খোলা যাবে। সেলুন আবার খুলতে পারে, তবে শপিং কমপ্লেক্সের মধ্যে ওই দোকানগুলো থাকলে তা খোলা যাবে না।

আবাসিক অঞ্চলে ছোটছোট টেলারিং শপ বা সেলাই-ফোঁড়াইয়ের দোকান খোলা যাবে। সমস্ত দোকান ও বাজারে আগে যে পরিমাণ লোক কাজ করতো এখন তার থেকে অর্ধেক অর্থাৎ ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ চালাতে হবে। ই-কর্মাস সংস্থাগুলি শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ডেলিভারি দিতে পারবে। পুর নিগম এবং পুরসভা অঞ্চলের বাইরে কিছু কিছু শপিং কমপ্লেক্স খোলা যাবে।

লকডাউনের মধ্যে বন্ধ থাকবে যেসব দোকান সেগুলো হলো- মল ও সিনেমা হল। মুম্বইয়ের বিকেসি বা দিল্লির খান মার্কেট এবং নেহরু প্লেসের মতো কমপ্লেক্সে থাকা দোকানগুলি।পুর নিগম ও পুরসভা এলাকার বাইরে থাকা মাল্টি-ব্র্যান্ড এবং সিঙ্গল-ব্র্যান্ডের মলগুলির দোকান। শপিং কমপ্লেক্স, মার্কেট কমপ্লেক্সে থাকা দোকানগুলো, মাল্টি ব্র্যান্ড এবং সিঙ্গেল ব্র্যান্ডের মল। জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল, থিয়েটার, বার এবং অডিটোরিয়াম। মদের দোকান। মলে থাকা বুটিকগুলো।

করোনা: সংকটে পড়া পরিবারগুলোকে অর্থিক সহায়তা দিচ্ছে পাকিস্তান সরকার

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সংকটে পড়া পরিবারগুলোকে অর্থিক সহায়তা দিচ্ছে পাকিস্তান সরকার।

এহসাস ইমারজেন্সি ক্যাশ প্রোগ্রামের আওতায় এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এই সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. সানিয়া নিশতার।

এক টুইট বার্তায় নিশতার জানান, করোনার সংকট মোকাবিলায় ক্যাশ পোগ্রামের জন্য দেশজুড়ে ১৭ হজার পেমেন্ট পয়েন্ট গড়ে তোলা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ১২ হাজার রুপি করে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে হাত ধোয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণসহ করোনা পরিস্থিতিতে নানা সংকট মোকাবিলার বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সহায়তা প্রত্যাশীদের এই সেবা নিতে সরকারের দেওয়া একটি নম্বরে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বে ম্যাসেজ পাঠাতে হবে। সার্বিক বিষয়ে জানতে ফোন করার জন্যও একটি নম্বর দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি এক প্রশ্নের জবাবে ড. নিশাত বলেন, গড়ে একেকটি পরিবারে সাতজন সদস্য ধরলে অন্তত আট কোটি মানুষকে সহায়তা দেয়া হবে। যদি দেখা যায়, প্রকৃত বিপদগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখের বেশি হয়ে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য মন্ত্রিসভায় আবারও প্রস্তাব তোলা হবে।

একে একে ৪৬ সহকর্মীর মধ্যে ছড়িয়ে গেল করোনা

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানে ৪৬ কর্মীর শরীরে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। রাজধানী সিউলের ওই কল সেন্টারটি এখন পর্যন্ত দেশের একই প্রতিষ্ঠানে আক্রান্তের হিসেবে সবচেয়ে বেশি মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়া প্রতিষ্ঠান।

স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের; এতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৫১৩ জন মানুষ।

একই প্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের করোনায় আক্রান্তের তথ্য নিশ্চিত করে মঙ্গলবার সিউলের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সেন্টারের উপপরিচালক নোন জুন-উক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৪ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মীর শরীরে করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি জানান, ওই প্রতিষ্ঠানের ৪৬ কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর কর্মীদের চারজন স্বজন তাদের মাধ্যমে আক্রান্ত হন। কাজ করার সময় কেউই অফিসে মাস্ক পরেননি বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কল সেন্টারটির আরও ২০৭ জনকে করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়েছে সারাবিশ্বে। এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৯ জন; মৃত্যু হয়েছে ৪০১৮ জনের।

ফিলিপাইনের শপিং মলে গুলি করে ৩০ জনকে জিম্মি

ফিলিপাইনের একটি শপিং মলে ৩০ জনকে জিম্মি করে রেখেছে এক বন্দুকধারী। দেশটির রাজধানী ম্যানিলার গ্রিন হিলসের ভিরা মলে তাদের জিম্মি করে রাখা হয়েছে।

সোমবার সকালে শপিং মলে ঢুকে গুলি চালিয়ে লোকজনকে জিম্মি করেছেন হামলাকারী। তিনি ওই শপিং মলের নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে। খবর সিএনএনের।

জেলা পুলিশের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জনসন আলমাজানা জানান, ‘বিপথগামী’ এক নিরাপত্তারক্ষী অস্ত্র ও গ্রেনেড নিয়ে শপিং মলের ভেতরে জিম্মিদশার সৃষ্টি করেছে। লোকজনকে জিম্মি করার পর ভেতর থেকে গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এতে এক নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

তিনি জানান, শপিং মলটির বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত নিরাপত্তাকর্মীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল।

জিম্মিদের উদ্ধারে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সান জুয়ান জেলার মেয়র ফ্রান্সিস জামোরা।